পরিচয় সংকটে ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্ম


প্রকাশিত: ০৬:৩৫ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ব্রিটেনের মূলধারায় প্রায়শঃই একথাটি আলোচনায় আসে যে, ব্রিটেনের বিশাল মুসলমান জনগোষ্ঠী (প্রায় তিন মিলিয়ন যা ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫%) কি ক্রমশঃ মূলধারা-বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি সমান্তরাল জনগোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করছে? এইসব প্রশ্ন তখনই প্রকট হয় যখন কোনো ব্রিটিশ-মুসলিম সিরিয়া কিংবা অন্য কোনো দেশে গিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, যাকে ব্রিটিশ-মুসলিমদের অনেকেই জিহাদ আখ্যা দিয়ে থাকে। ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি মুসলমানের ক্ষেত্রে এ প্রশ্নটি বেশি পুরোনো নয়। পুরোনো নয় এ কারণেই যে, নব্বইয়ের দশক অবধি ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটি মূলধারায় সংযুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এদেশের বর্ণবাদী শক্তির সঙ্গে তীব্র লড়াই করে গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করেছে। যার ফল হিসেবে আমরা হাউস অব কমন্সে তিন বাঙালি বংশোদ্ভূত নারীকে সাংসদ হিসেবে পেয়েছি, তারও আগে একজন বাঙালি নারীকে আমরা পেয়েছি ব্রিটেনের লর্ডসভার সদস্য হিসেবে।

এছাড়া ব্রিটেনের মূলধারার বহু ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাঙালিকে পাওয়া যায়। কিন্তু গত কয়েক বছরে ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটি থেকে একের পর এক তরুণ/তরুণীর সন্ত্রাসী সংগঠন আইসিস-এ যোগদানের লক্ষ্যে সিরিয়া গমন এবং বাংলাদেশে ঘটা সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কারো কারো সংযুক্তি এই প্রশ্নকেই উস্কে দিয়েছে যে, ব্রিটিশ মূলধারা থেকে বাংলাদেশি মুসলিম সমাজ কি বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন কোনো আত্মপরিচয় খুঁজছে?

ইউরোপ তথা ব্রিটেন তাদের অভিবাসী সম্প্রদায়কে সুযোগ দিয়েছে আত্মপরিচয়ের গর্ব নিয়ে বসবাসের। এখানে যে কেউ চাইলেই নিজের পরিচয় বজায় রেখে মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও জীবন কাটিয়ে দিতে পারেন এবং করেও থাকেন। কিন্তু এই বিচ্ছিন্ন থাকার সুযোগ যে নেতিবাচক ধারার জন্ম দেয় তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। ধরা যাক ষাটের দশকে বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল থেকে একজন বাংলাদেশি ব্রিটেনে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। সত্তরের দশকে তিনি এদেশে তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেন এবং সে সময়ে তিনি তার সন্তানদের এদেশের স্কুলে বা কলেজে লেখাপড়ার জন্য পাঠান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদেশে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটি যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল তা বাঙালির জাতি-ইতিহাসে অনন্য নজির হয়ে থাকবে। সে সময় বাঙালি ও পাকিস্তানি কমিউনিটির মধ্যে সহিংস বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। বাঙালি হিসেবে সে সময় নিজের পরিচয়কে মূলধারা ও ব্রিটেনের বহুসংস্কৃতি থেকে আলাদা রাখার তাগিদে অনেক পিতামাতাই তখন তাদের ছেলেমেয়েকে বেশি লেখাপড়া করাননি। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগেই তাদের ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়া ছেড়ে উপার্জনের সুযোগ খোঁজায় উদ্বুদ্ধ করেন। সে সময়ের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতাও সেরকম ছিল না, আগেই বলেছি যে, গোটা আশির দশক ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটি পার করেছে বর্ণবাদী আক্রমণ প্রতিহত করতে করতে এবং একই সঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করায়। কমিউনিটি হিসেবে বাঙালিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তবে ব্রিটেনের মূলধারায় বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি ব্রিটেনের বাঙালির অন্যতম বিজয় হিসেবে চিহ্নিত হবে।

কিন্তু দ্বিতীয় প্রজন্মের বাঙালি যখন বেড়ে উঠতে শুরু করে এদেশে তখন এদেশের মূলধারাও ক্রমশঃ উদার হতে শুরু করে এবং “মাল্টিকালচারালিজম”কে এদেশের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে। এর সুযোগে অবহেলিত কমিউনিটিগুলি নানাবিধ সুযোগ লাভ করে এগিয়ে যাওয়ার। যার অন্যতম হলো উচ্চশিক্ষায় সুযোগ লাভ। যে বাঙালি ভদ্রলোক তার সন্তানদের এদেশের মূলধারা থেকে দূরে সরিয়ে রেখে বাঙালিত্বের দীক্ষা দিয়ে বড় করতে চেয়েছিলেন সেই ভদ্রলোকের সন্তানরাই যখন আবার পিতামাতা হলো তখন দেখা গেলো যে, তারা আসলে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে সন্তানদের খুব বেশিকিছু শেখাতে পারছে না, কারণ তারা বাঙালি-সংস্কৃতি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। প্রথমতঃ তারা বাংলা লিখতে ও পড়তে শিখেছে কেবল, কিন্তু যে সব বই বা প্রচার-মাধ্যম বাঙালি-সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম সেসব থেকে তারা বিচ্ছিন্ন থেকেছে। আর প্রতিবছর বাবামায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণেও বাঙালি-সংস্কৃতি বিষয়ে খুব বেশি কিছু জ্ঞানার্জন সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে ব্রিটিশ মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গেও তাদের সম্মোক পরিচয় ঘটেনি, পরিবারের পক্ষ থেকেই তাদেরকে সে সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। বাংলা ভাষার সংবাদপত্র থেকে শুরু করে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলা অনুষ্ঠান পারিবারিক আবহকে “বাংলাময়” করে রেখেছে ঠিকই কিন্তু তারাতো এর সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনি। আবার ব্রিটিশ মূলধারার সংবাদপত্র, সিমেনা, গান, কিংবা পাবে গিয়ে জনপ্রিয় ব্রিটিশ ডেইলি সোপ “ইস্ট এন্ডার্স” বা “করোনেশন স্ট্রীট” নিয়ে আলোচনার সুযোগও তারা পায়নি। ফলে তারা কি জেনে বা কী বুঝে বড় হয়েছে তা নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। কিন্তু ওপর ওপর যে সকল তথ্য বা উপাত্ত পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, স্কুলের লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আরবি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআন পাঠের জন্য এবং স্কুল শেষে যখন একটি শ্বেতাঙ্গ ছেলে বা মেয়ে খেলাধুলা করেছে বা মিউজিক ক্লাবে অংশ নিয়েছে তখন একটি বাংলাদেশি ছেলে বা মেয়েকে শিখতে হয়েছে সম্পূর্ণ অবোধ্য একটি ভাষা এবং নামাজ পড়ার নিয়মাবলী। অনেক ক্ষেত্রেই পাড়ার মসজিদটি এই কাজে ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে মূলতঃ পাকিস্তানি কমিউনিটির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একত্রে বসে আরবি ভাষা শিখতে হয়েছে বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের। একথা কেবল দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে সত্য নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরাও একই ভাবে বড় হয়েছে বা হচ্ছে।

এর মধ্যে পৃথিবীতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ৯/১১-এর ঘটনা এবং তার পরবর্তীকালে ইরাক আক্রমণ। এর সঙ্গে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে ধর্মযুদ্ধ হিসেবে প্রচারণার ফলে শুধু ব্রিটেনেই নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই ইসলামে বিশ্বাসীদের ভেতর নতুন যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তাকে যদি আমরা মাইকেল হগ-এর “আনসার্টেনিটি-আইডেনটিটি থিওরি” দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি তাহলে বোধকরি সুবিধে হয়। কারণ এই থিওরি অনুযায়ী, মানুষ যখন আত্মপরিচয় নিয়ে সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে তখন সে সেই পরিচয়টিকেই আঁকড়ে ধরে যে পরিচয়টি তার অন্য যে কোনো পরিচয়ের তুলনায় তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। ওপরের এই সকল ঘটনার অভিঘাতে দেশে দেশে ইসলামে বিশ্বাসীগণ মনে করতে শুরু করেছেন যে, তাদের ধর্মবিশ্বাস আক্রান্ত হয়েছে, বাংলাদেশি মুসলিমদের ক্ষেত্রেও এটা সমানভাবে সত্য। মূল ভূখণ্ড বাংলাদেশের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, অসাম্প্রদায়িক ও সেক্যুলার বাঙালি-পরিচয় থেকে সরে গিয়ে ধর্মভিত্তিক বাংলাদেশি পরিচয়ে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকেই। এমনকি ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতে যে নতুন প্লাটফরমটিকে দাঁড় করানো হয়েছিল তা মূলতঃ মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত একটি গোষ্ঠী, যাদেরকে জোর করে মূলধারা থেকে সরিয়ে রেখে কেবলমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করে রেখে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলেছে বাংলাদেশে। এমনকি দেশের মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণদের ধর্মীয় উগ্রবাদে দীক্ষা দিয়ে তাদেরকে দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টাও বাংলাদেশে হয়েছে।

সকলেই হয়তো উগ্রবাদে বিশ্বাস করেন না কিংবা ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদে ফিরে যেতে আগ্রহী নন, কিন্তু ধর্মকে আক্রান্ত প্রমাণ করে এই সাধারণ ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠীকে উগ্রবাদের প্রতি সমর্থনপুষ্ট করে তোলায়ও সফলতা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে যতোটা না বাংলাদেশে সফলতা এসেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সফলতা এসেছে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্ষেত্রে, কারণ এখানে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটির ভেতর অনেকগুলো “ছিদ্র” রয়েছে যেমন এদের ভেতর কোনো শক্তিশালী জাতীয়তাবোধ তৈরি হয়নি, ব্রিটেনের মূলধারার সঙ্গে এরা নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি, এদের কোনো শক্তিশালী আত্ম-পরিচয়ও তৈরি হয়নি। ফলে তাদের এই “আনসার্টেন-আইডেনটিটি” বা অনিশ্চিত-পরিচিতি’র সুযোগ গ্রহণ করে তাদেরকে একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী “আইডেনটিটি” বা পরিচিতি দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছে, যা হয়েছে মূলতঃ এই মসজিদ-কেন্দ্রিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার ফলে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ-তরুণীরা যখন পাকিস্তানি কিংবা আরবের মুসলিম তরুণ সমাজের সঙ্গে মিশেছে তখন তার অপেক্ষাকৃত উদার ও সহনশীল বাঙালি সাংস্কৃতিক পরিচয়কে পুরোপুরি ভুলে গেছে কিংবা অস্বীকার করেছে। কারণ সেটি করতে না পারলে এই বৃহৎ মুসলিম-পরিচয়ে পরিচিতরা তাদেরকে গ্রহণ করেনি কিংবা সুযোগ দেয়নি যুক্ত হওয়ার। মোটকথা, বাঙালি-পরিচয়ের সঙ্গে বৃহৎ ও শক্তিশালী মুসলিম-পরিচয় একটি সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে, যার অভিঘাতে তাদের অনেকের ভেতরই চরম বিভ্রান্তির জন্ম হয়েছে এবং ফলশ্রুতিতে তারা যোগ দিয়েছে আইএস-এর সঙ্গে কিংবা বাংলাদেশে গিয়েছে সন্ত্রাসী তৎপরতায় অংশ নিতে।

ওপরের এই বিশ্লেষণ সর্বাংশে ও সর্বৈব সত্য সে দাবি করছিনে কিন্তু একথা জোর দিয়েই বলছি যে, ব্রিটেনের বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি এখন একটি আত্মপরিচয়ের সংকটকাল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে পূর্ববর্তী প্রজন্ম যারা বাঙালি সংস্কৃতি ও জাতি-পরিচয়ে গর্ব বোধ করতেন তারা একে একে বিদায় নিচ্ছেন, দ্বিতীয় প্রজন্ম নিজেদের না ব্রিটিশ না বাঙালি এই অর্ধ-চেতন পরিচয়ে কাল কাটিয়েছেন, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মে এসে ধর্মীয় ও জাতি-পরিচয়ের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে ধর্ম সর্বাংশে জয়লাভ করায় বাঙালি জাতি-পরিচয়ের মৃত্যু ঘটতে চলেছে, যা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ঘটেনি কিংবা ঘটেনি অন্যান্য অমুসলিম কমিউনিটির ক্ষেত্রে। কেউ যদি নিজের ধর্ম-পরিচয়কেই জাতি-পরিচয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার কিন্তু যখন একটি বিশাল কমিউনিটির জাতি-পরিচয় ধর্ম-ভিত্তিক পরিচয়ের কাছে পরাজিত হয় তখন আত্ম-পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং আগেই বলেছি যে, বিভ্রান্তির সুযোগ গ্রহণ করার জন্য এ পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর সব গোষ্ঠী সদা তৎপর রয়েছে। দুঃখজনক হলো, বাংলাদেশে এবং ব্রিটেনে, দু’জায়গাতেই এই আত্মপরিচয়জনিত বিভ্রান্তির সুযোগ গ্রহণ করে অপশক্তিগণ ভয়ানক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

লীডস/১ সেপ্টেম্বর, বৃহষ্পতিবার/ ২০১৬
[email protected]

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।