বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই, তবে অবশ্যই রামপালে নয়


প্রকাশিত: ০৪:০৪ এএম, ০৯ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হলেই বামপন্থিদের একটা অংশ লাফ দিয়ে সামনে চলে আসে। নানা ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে সে প্রকল্পের বিরোধিতা করা হয়। বিশেষ করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি যেভাবে সবকিছুর বিরোধিতা করে, তার সব মানলে দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে। আগের ধারাবাহিকতায় এবারও তারা রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করে ফেলেছে। আমি তাদের সব পদক্ষেপের সঙ্গে একমত নই। কিন্তু আমি তাদের পক্ষে। তাদের সব অবস্থান আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। কিন্তু আমি মনে করি, সরকারের ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য তাদের মাঠে থাকাটা জরুরি। আর যাই হোক তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার মধ্যে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু আমাদের দেশের সমস্যা হলো, আমরা কখনোই মূদ্রার দুই পাশ দেখতে পারি না।

আমাদের অধিকাংশেরই এক চোখ অন্ধ। হয় তুমি আওয়ামী লীগ; নইলে তুমি বিএনপি-জামায়াত, নইলে তুমি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে, নইলে তুমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে, নইলে তুমি রাষ্ট্রদ্রোহী, নইলে তুমি উন্নয়নের বিপক্ষে। আবার হয় তুমি বিএনপি; নইলে তুমি সরকারের দালাল, তুমি ভারতের দালাল, তুমি বাকশালী, তুমি স্বৈরাচারী, তুমি গণতন্ত্রের বিপক্ষে। আমরা আমাদের সর্বস্তরে এভাবে নিজেদের আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে বিভক্ত করে রাখি। বাংলাদেশের পক্ষের লোকের দেখা খুব পাই না। এই যেমন বর্তমান সরকার যেহেতু রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চাইছে, তাই আওয়ামীপন্থিরা সব বুঝে না বুঝে এর পক্ষে দাঁড়িয়ে গেছে। এমনকি যারা সুন্দরবন বাঁচাতে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করছে; তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আগেই বলেছি, তাদের সব যুক্তির পক্ষে আমি একমত নই। কিন্তু তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই। এই যেমন এখন তারা সুন্দরবনের পক্ষে বলছে, সুন্দরবন বাঁচাতে চাইছে। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি যতই থাক, তারা তো সুন্দরবন বাঁচাতে চাইছে, ক্ষতি তো নয়। যারা সুলতানা কামাল, আনু মুহাম্মদদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আমার বরং তাদের উদ্দেশ্য নিয়েই সংশয় তৈরি হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক লেখা পড়েছি, টক শো’তে অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত শুনেছি। সব কিছু শুনে আমার  মনে হয়েছে, মাত্র ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে রামপালে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনের ক্ষতি করবে। ক্ষতি কম হবে না বেশি হবে, সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে ক্ষতি যে হবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সরকার পক্ষ বলছে, রামপালে তারা সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যাতে ক্ষতি কম হয়। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে পরিবেশের ক্ষতি ১০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। তার মানে ক্ষতির বিষয়টি স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা এখন সবার মুখস্ত। তার সবগুলো কপি পেস্ট করে আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না। আবার ব্যাপারটা এমনও নয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে রাতারাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনে এসিড বৃষ্টি হবে, এমন হাস্যকর কথাবার্তা যারা বলেন, তারাও যুক্তির উর্ধ্বে। এসিড বৃষ্টি না হলেও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন বহুমাত্রিক ঝুঁকিতে পড়বে। সেটা কয়লা পরিবহন থেকে শুরু করে উড়ে যাওয়া ছাই বা ধোয়া- সবগুলো পর্যায়ই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। কয়লা পরিবহন করা হবে ঢেকে, চিমনি থাকবে অনেক উচুতে, চিমনির মুখ থাকবে অন্যদিকে- এ ধরনের হাস্যকর ও ছেলে ভোলানো যুক্তি দিয়ে সরকার ক্ষতি কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সুন্দরবন নিয়ে আমি কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। সুন্দরবন, বনের ইকোসিস্টেম, পশুর নদীর স্বল্পমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী যে কোনো ক্ষতির সামান্যতম আশঙ্কা থাকলেও আমি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার পক্ষে।  

কেউ কেউ বলতে পারেন, সরিয়ে যেখানে নেয়া হবে, সেখানে কি পরিবেশে ক্ষতি হবে না? অবশ্যই হবে। শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, সবধরনের উন্নয়ন কাজ করতে গেলেই পরিবেশের কম বেশি ক্ষতি হবে। পরিবেশের কথা ভাবলে কোনো কাজই করা যাবে না। রাস্তা করতে গেলে ধানী জমি নষ্ট হবে। শিল্প করতে গেলে বর্জ্য হবে। সেই বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করবে। গাবতলির দিকে গেলেই সারি সারি ইটের ভাটার চিমনির দেখা মেলে। রাস্তায় গাড়ি চললেও ধোয়া হয়, তাতেও পরিবেশের ক্ষতি হয়। পরিবেশের কথা ভাবলে, সব উন্নয়ন, অগ্রগতি বন্ধ করে দিতে হবে। সব খনি, সব গ্যাস ক্ষেত্র বন্ধ করে দিতে হবে। এটা সম্ভব নয়। বাস্তবতা হলো, ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তবে লাভক্ষতি যাই হোক, সুন্দরবন নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে আমি রাজি নই। কেন?

কারণ অন্য অনেক ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অখণ্ড বনভূমিও। একসময় সুন্দরবন ছিল ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের। কমতে কমতে তা এখন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এর ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশে, বাকিটা ভারতের। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা সুন্দরবনের ৩১ ভাগ জুড়ে রয়েছে জলাভূমি। সুন্দরবন অভূতপূর্ব এবং ইউনিক। এমনটি কোথাও নেই, কোথাও ছিল না, কখনও হবেও না। সুন্দরবন কেন গুরুত্বপূর্ণ? সুন্দরবনে রয়েছে ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা। রয়েছে ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও চিত্রল হরিণসহ ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, আট প্রজাতির উভচর, ৩০০ প্রজাতির পাখি। বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, কুমির, ২১০ প্রজাতির মাছ, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, এক প্রজাতির লবস্টার ও ৪২ প্রজাতির শামুক, ঝিনুক। সুন্দরবনে রয়েছে সাতটি ইকোসিস্টেম।

এরপরও যারা সুন্দরবনের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না, যারা সবকিছু টাকায় মাপতে চান, তাদের জন্য বলছি, সুন্দরবনে দৃশ্যমান সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি ৯ হাজার ৮০৮ বিলিয়ন টাকা। যদিও আমি বিশ্বাস করি সুন্দরবনের গুরুত্ব কখনোই টাকা দিয়ে মাপা যাবে না। মানুষ চাঁদে যেতে পারবে, মঙ্গলে যেতে পারবে, একশোটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে পারবে। কিন্তু হাজার কোটি টাকা দিলেও একটি সুন্দরবন বানাতে পারবে না। সুন্দরবনের বাণিজ্যিক দিকটা আমি আলোচনা করতেই চাই না। কারণ সুন্দরবনের বাণিজ্যিক গুরুত্ব আমার কাছে নেই। তাই সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে কত লোক জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের কথা বলিনি আমি। আমি কিন্তু এখন পর্যন্ত একবারও সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য্য’র কথাও বলিনি। সুন্দরবন সত্যি অসাধারণ সৌন্দর্য্য’র লীলাভূমি। কিন্তু সুন্দরবন তার সৌন্দর্য্য’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। সারাবছরই অনেক পর্যটক সেখানে যান বটে, তবে পর্যটক কম গেলেই ভালো। সুন্দরবনকে যত কম বিরক্ত করা যায়, ততই ভালো। সুন্দরবনকে তার মতো থাকতে দিলেই আমাদের জন্য লাভ। কিন্তু এই লাভের হিসাবটা সবাই বুঝতে পারবেন কিনা জানি না।

আমরা খুবই সৌভাগ্যবান সুন্দরবনের মত একটি অমূল্য সম্পদ সৃষ্টিকর্তা আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু আমরা আবার দুর্ভাগা, সেই সুন্দরবনকে আমরা একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে তুলনা করি। সুন্দরবন এমনই অসাধারণ, নিজেকে রক্ষা করার প্রাকৃতিক ক্ষমতা এর রয়েছে। সিডরের ভয়াল ছোবল বুকে আগলে নিয়েছিল সুন্দরবন। নিজের ক্ষতি করে আমাদের বাঁচিয়েছে। সুন্দরবন না থাকলে সিডর বা আইলা আরও অনেক বেশি বিধ্বংসী ও প্রাণসংহারকারী হতে পারতো। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের সক্ষমতা যতটা, মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় ততটা নাও থাকতে পারে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের সক্ষমতাটা সহজাত। তাই তো সিডরে ধ্বংসপ্রায় সুন্দরবন মাত্র একবছরের মাথায় কারো সাহায্য ছাড়াই নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা যদি নিজেরা হাতে ধরে সুন্দরবন নিয়ে বাজি ধরি, জুয়া খেলি; তাহলে কে বাঁচাবে সুন্দরবনকে, কে বাঁচাবে আমাদের।

বিদ্যুৎ আমরাও চাই। বিদ্যুৎ মানেই উন্নয়ন। একসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ছিল ভোগান্তির আরেক নাম। বিদ্যুৎ কখন আসতো, কখন যেতো; তা নিয়ে রীতিমত ধাঁধা চলতো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রায়োরিটি দেয়। নাটকীয় উন্নতি হয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতির। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলা এখন অতীত। এ নিয়েও নানা কথা আছে। কিন্তু বিদ্যুৎ পাচ্ছি, এতেই আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে স্বল্পমেয়াদী সাফল্যের পর এখন নজর দিতে হবে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে। এজন্য আমাদের কয়লাভিত্তিক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যেতে হবে। ঝুঁকি সব জায়গাতেই আছে। রাস্তায় বেরুলে দুর্ঘটনায় মরার ঝুঁকি আছে। তাই বলে তো আমরা ঘরে বসে থাকবো না। সতর্ক থাকতে হবে। সেটা সব ক্ষেত্রেই। কয়লাভিত্তিক ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে।

আমি জানি, এই সরকার ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই আঁকড়ে ধরে থাকতে চায় না। বিভিন্ন সময়ে তারা জনগণের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট প্রত্যাহার থেকে শুরু করে আরিয়ল বিলে বিমানবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ থেকেও সরকার পিছিয়ে এসেছে জনগণের দাবির মুখে। এমনকি রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রশ্নেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিরোধিতাকারীদের ডেকে তাদের কথা শুনেছেন। টক শো’তেও প্রতিমন্ত্রী বিরোধীদের কথা শুনছেন। কিন্তু গত ২৮ জুলাই সুন্দরবন বাঁচানোর দাবির মিছিলে পুলিশী হামলা সরকারের অসহিষ্ণুতার প্রমাণ দেয়। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে সরকার এত গো ধরেছে কেন বোঝা যাচ্ছে না। রামপাল ছাড়াও তো দেশে আরো অনেক জায়গা আছে। দুদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম প্রতিবছর বাংলাদেশের ভূমি বাড়ছে। সেখান থেকে কোনো একটা জায়গা পছন্দ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। কয়লা পরিবহন ও পানির জন্য নদীর পাড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা দরকার। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সেটাও কোনো সমস্যা হবে না আশা করি। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন অব ইন্ডিয়া-এনটিপিসি’র যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এনটিপিসি কিন্তু ভারতে এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি পায়নি। ভারতে যেটা হয়নি, সেটা বাংলাদেশে হতে হবে কেন?

শেখ হাসিনার অন্য অনেক সমালোচনা করতে পারবেন। কিন্তু তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বরং তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর সরকার সুন্দরবনের ক্ষতি হবে বা ক্ষতি হওয়ার সামান্যতম ঝুঁকি আছে এমন কোনো কাজ করবে না, করতে পারে না। সুন্দরবন প্রশ্নে আসলে কোনো প্রায়োরিটি নেই। সুন্দরবনই টপ প্রায়োরিটি। পিছিয়ে আসা মানেই পরাজয় নয়। জনগণের দাবি মানলে সরকার ধন্যবাদই পাবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরাও চাই, তবে সেটা অবশ্যই রামপালে নয়।

Provash-amin

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।