এখনই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নয়


প্রকাশিত: ০৬:১৮ এএম, ০৮ আগস্ট ২০১৬

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর  শুরু হয়েছে গণশুনানি। শুনানিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বিইআরসি, ভোক্তা প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর অংশ নেয়। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলে গণশুনানি অনেকটা লোকদেখানো আনুষ্ঠানিকতা। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তাই থাকে। এ কারণে  শুনানিতে অংশ নিতেও সংশ্লিষ্টদের বিশেষ কোনো আগ্রহ থাকে না। বিশেষ করে সাধারণ  ভোক্তারা থাকে উপেক্ষিত। অথচ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির  সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে তাদের ওপরই। এ অবস্থায় ভোক্তাস্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক-এটিই সংশ্লিষ্টরা চান।

আমরা বরাবরাই দেখেছি ভর্তুকির কথা বলে মূল্যবৃদ্ধির শর্টকাট পথে সরকার এগোয়। দুর্মূল্যের বাজারে এমনিতেই জনসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর ওপর গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হলে তা হবে তাদের জন্য ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’। অধিকাংশ যানবাহন এবং ট্রাক, লরি এখন গ্যাসচালিত।গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে যাত্রীভাড়া বাড়বে। বাড়বে পণ্য-দ্রব্য বহনের খরচও। এর ফলে নিত্যপণ্যের বাজার আরও অস্থির হবে।  এই বৃদ্ধির কুফল মানুষজনকে নানা ভাবে ভোগাবে।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ভর্তুকি কমানোর জন্য মূল্যবৃদ্ধির শর্টকাট রাস্তায় চলে। অথচ দুর্নীতি কমানো, সিস্টেমলস বন্ধ করাসহ নানাবিধ উপায়ে আয় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সেটি করা গেলে জনসাধারণকে আর বাড়তি পয়সা গুণতে হতো না। খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়ালে শেষ পর্যন্ত এর সুফল পাওয়া যায় না। ভোক্তা অধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে মূল্যবৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের দিকে যেতে হয় না। এখনও সময় আছে। আমরা আশা করবো জনসাধারণের সার্বিক দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জনহিতকর সরকারের এটিই দায়িত্ব।

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।