কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের দুর্ভোগ দূর করুন
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর আশা করা গিয়েছিল বন্দি ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। এক সপ্তাহের বেশি সময় হলো কারাগার স্থানান্তর হয়েছে কিন্তু এখনো অনেক সুযোগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে বন্দি ও তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। এ দুরবস্থা লাঘবে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬ হাজার ৫১১ বন্দি রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক বন্দির তিন বেলা খাওয়ার জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই কারাগারে ৬০টি চুলায় ২৫০ পাতিলে প্রতিবেলার জন্য বন্দিদের খাবার রান্না হয়। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে কারা কর্তৃপক্ষ গলদঘর্ম হচ্ছে। তবে অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হবে এমন আশ্বাসও মিলেছে আইজি প্রিজনের পক্ষ থেকে।
এছাড়া বন্দিদের সাথে স্বজনদের দেখা করতেও সমস্যা হচ্ছে। সাক্ষাৎ কক্ষের ভিতরের কাচের কারণে বন্দি এবং দর্শনার্থীরা একে অপরের কথা শুনতে পাচ্ছেন না। এ জন্য কাচ অপসারণ করে গ্রিল স্থাপন করা জরুরি। এছাড়া হাইওয়ের পাশে অবস্থিত কেন্দ্রীয় এই কারাগারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। এটি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এক বিরাট হুমকি।
কারাগার অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে সামান্যতম শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া বন্দিরা যাতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। এই কারাগার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘যাদের মানুষ হবার সুযোগ রয়েছে তাদের যেন সংশোধনের সুযোগটা করে দিতে পারি।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে কারাগারকে সংশোধনাগার বানানোর যে তাগিদ দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষকে এই নীতি ও আদর্শের আলোকে চলতে হবে। কেরানীগঞ্জে কারাগারকে কেন্দ্র করে যেন নতুন কোনো সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে না পারে সেদিকে কঠোর নজদারি রাখতে হবে। দেশের সকল কারাগার হয়ে উঠুক সংশোধনাগার।
এইচআর/আরআইপি