টিকিট নিয়ে বিড়ম্বনা কেন যাচ্ছে না?


প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ২২ জুন ২০১৬

ঈদে ঘরমুখি মানুষজনের টিকিট সংগ্রহ নিয়ে বিড়ম্বনা যাচ্ছেই না। এটা খুবই দুঃখজনক। সোমবার থেকে দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। টিকিট নিয়ে শুরু হয়েছে যথারীতি টালবাহানা। সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিন্ডিকেট চক্র। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাচ্ছে না যাত্রীরা। আবার বেশি টাকায় কালোবাজারিতে তা পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই। এ নৈরাজ্যকর অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে রেলের পরিচালনা বিভাগের করা সময়সূচি অনুসারে আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ বিক্রি হবে ১ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট। ২৩ জুন পাওয়া যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। একইভাবে ৩, ৪ ও ৫ জুলাই ট্রেন ভ্রমণের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে যথাক্রমে ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন। এ ছাড়া ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য ফিরতি ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৪ জুলাই। ওইদিন ৮ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৫ জুলাই ৯ জুলাইয়ের, ৭ জুলাই ১০ ও ১১ জুলাইয়ের এবং ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে। জাগো নিউজে খবর বেরিয়েছে বিক্রি শুরুর প্রথম দিনেই লম্বা লাইন। রাতভর অপেক্ষা করে অবশেষে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা অপক্ষোর পর টিকিট পেয়ে খুশি মনে ঘরে ফিরেছেন অনেকে। আবার অনেকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও পাননি কাঙ্খিত সেই সোনার হরিণ।

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নানা ধরনের বিড়ম্বনা সইতে হয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গন্তব্যে যাওয়ার কাঙ্খিত টিকিট পাওয়া। আশা করা গিয়েছিল এবার টিকিট প্রাপ্তির বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাবে যাত্রীরা। কিন্তু অবস্থা তথৈবচ। আমরা পূর্বেও এ  সম্পাদকীয় স্তম্ভে যাত্রীদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার কথা বলেছি। কিন্তু অবস্থার যে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি, সেটা তো পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে। যদিও সরকার বলছে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও কালোবাজারি রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন মানুষজন যাতে কাঙ্খিত টিকিট পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। যানবাহনের মালিকদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই টিকিট সংগ্রহ করতে পারুক যাত্রীরা।

এইচআর/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।