বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে


প্রকাশিত: ০২:১৫ এএম, ১০ জুন ২০১৬

যে কোনো দেশের বিমানবন্দর একটি স্পর্শকাতর এলাকা। কাজেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে এর আগেও নানা প্রশ্ন উঠেছিল। সেই প্রশ্ন যে অমূলক ছিল না তার প্রমাণ পাওয়া গেল সৌদি আরব সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী  বিমানটির নির্ধারিত সময়ের পরে অবতরণের মধ্য দিয়ে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেন এই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হলো সেটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সৌদি আরব সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বিজি (০৩৬) ফ্লাইটে ঢাকার আকাশে পৌঁছেন। সে দিন শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ৩১ মিনিট আকাশে চক্কর দিতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের আগে এসএসএফ বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। রানওয়ে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এসএসএফ সদস্যরা দেখতে পান সেখানে বেশ কিছু মেটালিক বস্তু পড়ে আছে। পরে এসএসএফ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে এসব মেটালিক বস্তু সরিয়ে নেয়ার পর ফ্লাইটটিকে অবতরণের সংকেত বার্তা পাঠান ককপিটে। তারপর রাত ৮টার দিকে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি। বিষয়টি সংসদ পর্যন্ত গড়ায়। এ ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে সংসদে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এই দাবি করেন।

বিষয়টি নিয়ে দুইটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।