সন্তানের প্রতি মায়েদের ‘সুপার পজিটিভ আচরণ’ এবং কিছু ভাবনা

শাহানা হুদা রঞ্জনা
শাহানা হুদা রঞ্জনা শাহানা হুদা রঞ্জনা
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ২২ মে ২০২৪

এসএসসির রেজাল্ট বের হবার পর ছাত্রছাত্রীদের সাথে সাথে মায়েদের আনন্দ চোখে পড়ার মত। একজন মা হিসেবে আমিও মনে করি সন্তানের যেকোনো অর্জন বাবা-মায়ের কাছে সবচেয়ে বেশি পাওয়া। এরচাইতে বেশি খুশি বাবা-মা নিজের জীবনের অর্জনেও হন না। বিশেষ করে সেইসব মায়েরা যারা তাদের জীবনের একটা বড় সময় সন্তানকে গড়ে তোলার পেছনে ব্যয় করেন। গর্ভধারণ, জন্মদান, সন্তান প্রতিপালন থেকে শুরু করে সন্তানকে পড়াশোনা শেখানো, টিফিন বানিয়ে দেয়া, হাত ধরে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, গরমে ঘেমে নেয়ে স্কুলের সামনে বা কোচিং ক্লাসের সামনে বসে থাকা, এমনকি নিজের চাকুরিক্ষেত্র থেকে অসময়ে অবসর নেয়া- এসব কিছুই করেন তারা শুধু সন্তানের মুখ চেয়ে। সন্তানের মঙ্গলের জন্য এবং সন্তান যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে একথা ভেবে। শ্রেণি-পেশা, জাতি-গোষ্ঠী ভেদে মায়েরা এই দায়িত্বপালন করেন।

বাবারা যেমন সংসার চালনার মূল দায়িত্ব পালন করেন আয়-উপার্জন করে, তেমনি মায়েরাও আরেকটি বড় দায়িত্ব পালন করেন সংসার পরিচালনা, সবার দেখভাল করা, গৃহস্থালির কাজ ও সন্তান লালনপালন করার মাধ্যমে। এর পাশাপাশি অনেক মা চাকরি করেন, কৃষিকাজ করেন, ব্যবসা করেন। কিন্তু সবারই মূল দৃষ্টি থাকে সন্তান পালনে। মায়েরা বিশেষ করে এদেশের মায়েরা নিজের জীবনের সব আনন্দ, চাহিদা ও অর্জনকে বিসর্জন দিতে পারেন, সন্তানের জন্য। মা স্বপ্ন দেখেন তার সন্তান একদিন যোগ্য হয়ে উঠবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মনেমনে হয়তো এটাও ভাবেন এরাই একদিন বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেবে এবং তখন নিজেদের জীবনে অবসর আসবে। অবশ্য সন্তান দায়িত্ব-কর্তব্য পালন না করলেও বা কম পালন করলেও বাবা-মা খুশি থাকেন। মায়েরা হেলাফেলা সহ্য করেও সন্তানের পাশে থাকতে চান। কিন্তু কয়জন মা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে আশ্রয় পান, কয়জন ছেলে বা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারেন? কিন্তু পুকুর ঘাটে বা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসা মা-ও তার সন্তানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেন না। এই যে মায়েদের এই অতিরিক্ত দরদ, ধৈর্য্য ও অভিযোগহীন আচরণ দেখে আমার এক বন্ধু সেদিন দুঃখ করে বলেছেন, আমাদের মায়েদের টক্সিক পজিটিভিটি জাতি হিসাবে আমাদের পথভ্রষ্ট, স্বার্থপর ও আত্মঘাতি করে তুলেছে। তার মন্তব্যটা নিয়ে ভাবলাম এবং মা হিসেবে নিজেকে মেলানোর চেষ্টা করলাম। মায়েদের ভেতরের এই নেগেটিভ পজিটিভিটি বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে। যাকে আমরা সন্তানের প্রতি অন্ধ বা আপাত্য স্নেহ বলি, সেটাকেই আমার বন্ধু বলছে টক্সিক পজিটিভিটি, যা অত্যাধিক ইতিবাচকতা বা ইতিবাচক বিষাক্ততা নামেও পরিচিত। নেতিবাচক আবেগ, বিশেষ করে রাগ, চাপ এবং দুঃখকে অগ্রাহ্য করে যে মানসিক ব্যবস্থাপনা আমরা ভেতওে ভেতওে করে থাকি এবং সামাজিকভাবে সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করি, সেটাকেই নেগেটিভ পজিটিভিটি বলা যায়।

একজন মায়ের নিজের জীবনের উপর যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, মা তার আঁচ সন্তানের উপর পড়তে দিতে চান না। নিজের পিঠ পেতে দেন সন্তানকে রক্ষার জন্য। এমনকি সন্তানের নেতিবাচক আচরণও অধিকাংশ সময় তাদের চোখে পড়ে না। টক্সিক ইতিবাচকতা হলো এমন একটা বিষয় যে "যতই ভয়াবহ পরিস্থিতি হোক না কেন” তা মেনে নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকার চাপ গ্রহণ করা। টক্সিক ইতিবাচকতা তখনই ঘটে, যখন মানুষ মনে করতে থাকে যে তারপাশে ঘটমান পরিস্থিতি সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এড়িয়ে চলা উচিত। যে ঘটনাগুলির প্রতিক্রিয়ায় সাধারণত মানুষের মনে দুঃখ তৈরি হয়, ক্ষতি বা কষ্ট হয়, সেগুলোকেই মোকাবিলা করার উপায় হিসেবে এই টক্সিক ইতিবাচকতাকে উৎসাহিত করা হয়, যদিও এর মাধ্যমে বহু সত্যি চাপা পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে, এরকম অনেক ‘সত্যি’ অনেক মা-ই চেপে রাখেন পরিবার ও সমাজের সামনে।

মা-বাবা দুজনের প্রতি আমাদের দায়িত্বপালন যেন শুধু লোক দেখানো বা স্ট্যাটাস নির্ভর না হয়। এবং শুধুই বাণিজ্যের রসদ না হয়।

শুধুমাত্র গাড়িভাড়া বাঁচাবেন বলে বা সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে যে মায়েরা শীত, গ্রীস্ম ও বর্ষা সব ঋতুতেই স্কুলের সামনে, শপিং মলের সিঁড়িতে বা ফুটপাতে চাদর বিছিয়ে বসে থাকেন, গল্প করেন, হাতের কাজ করেন, বাজার সদাই করেন তারা কিন্তু খুব শখ করে বা বিনোদিত হওয়ার জন্য এভাবে সময় কাটান, তা নয়। তারা এভাবেই সন্তানের পাশে থাকেন এবং থাকতে চান। এজন্য অবশ্য সংসারের অন্যসব কাজ থেকে মা নিষ্কৃতি পান না। সব কাজ শেষ করে তবেই তাকে সংসার বিশ্রাম দেয়।

একজন মা মনেকরেন সংসারকে গুছিয়ে রাখা, স্বামী-সন্তান ও বাড়ির সকলের যত্নআত্তি করা মায়ের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এর পাশাপাশি আছে সন্তানের পড়াশোনা দেখা। অনেকে রোজগারও করেন, চাকরি-বাকরিও করেন। মায়েদের লক্ষ্য সন্তানকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া। কিছুদিন আগে যখন এসএসসির রেজাল্ট প্রকাশিত হলো, তখন একজন মা বলেছেন, ”আমার মেয়ে যে ফলাফল করেছে সেটাই আমার জন্য একটি দুর্দান্ত উপহার। আমি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মা।” আরেকজন মা বলেছেন তার ছেলে যাতে সর্বোত্তম শিক্ষা পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার পুরো জীবন উৎসর্গ করতে পারেন। এটাই হচ্ছে আমাদের মায়েদের আরাধনা।

যেহেতু এসএসসির ফলাফলের দিন মা দিবস ছিল, তাই অনেক মা বলেছেন এবারের মা দিবসের সবচেয়ে বড় উপহার সন্তানের ভালো ফলাফল। মা দিবসে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় মায়েদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। প্রতিটি মা তাদের সাক্ষাৎকারে বলেছেন আমাদের সন্তানের একটি ভাল জীবন নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি... আজ তাই আমরা বলতে পারি যে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য খুব গর্বিত। একজন মায়ের দিক থেকে এই অনুভ‚তি একেবারে সাচ্চা। এরমধ্যে কোন বাড়াবাড়ি নেই। কিন্তু আমরা জানতে চাই সন্তান মায়ের এই অবদান কতটা স্বীকার করে, কতটা মনে রাখে এবং কতটা পাশে থাকার চেষ্টা করে?

মা দিবসকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা, ভালবাসা, উপহার বিনিময়, ছবি প্রকাশ কত কী দেখা যায়, এর কতটা সন্তানরা মন থেকে করে, কতটা সামাজিকতার বা লোক দেখানোর জন্য করে? তারা মাকে স্মরণ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেয়, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে, ভালো ভালো কথা বলে, স্মৃতিচারণ করে। আমিও করেছি, কিন্তু মা বেঁচে থাকতে তাঁকে কতটা ভালবেসেছি, সম্মান দিয়েছি, চাহিদা মিটিয়েছি, এর কোন চুলচেরা বিশ্লেষণ করিনি। কারণ করলে আমিই পরাজিত হবো। আমার মা আমার জন্য যা যা করেছেন, এর সিকিভাগও আমি করতে পারিনি তার জন্য। এমনকি আমি আমার সন্তানের জন্য যা যা করি বা করেছি, তার চাইতে অনেক কম করেছি আমার মায়ের জন্য। অবশ্য সর্বংসহা মায়ের এজন্য কোন অভিযোগ ছিল না। আমরা যা করেছি, যতটুকু করেছি তাতেই খুশি ছিলেন। এটাই মায়েদের সুপার পজিটিভিটি।

এবার আসি মা দিবস নিয়ে আলোচনায়। এখানে স্পষ্টতই দুটি ভাগ আছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের মা দিবস নিয়ে কোন ধারণা নেই, তারা প্রয়োজনও বোধ করেন না এমন একটা দিবস থাকার। তাদের কাছে মা নিত্যদিনের। তবে নগরবাসী মানুষ, পাশ্চাত্য ধরন-ধারণে বিশ্বাসীরা, সামাজিক মাধ্যমে বিচরণশীল মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা মা দিবসকে বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকেন। তারা ভাবেন, মা কে কেন্দ্র করে একটি দিবস পালিত হলে মন্দ কী?

তবে আমার কথা একটাই সেটা হচ্ছে- মা-বাবা দুজনের প্রতি আমাদের দায়িত্বপালন যেন শুধু লোক দেখানো বা স্ট্যাটাস নির্ভর না হয়। এবং শুধুই বাণিজ্যের রসদ না হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে চাই যে ইতিহাসবিদ ক্যাথরিন আন্তোলিনি লিখেছেন, এই মা দিবসের যিনি প্রবক্তা, তার নাম আনা জার্ভিস। তিনি একজন মার্কিন নারী। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো পরবর্তীতে কয়েক দশক ধরে আনা জার্ভিসই দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এমনকি এই লড়াইয়ের পেছনে তিনি তার জীবন ও সব সম্পদ উৎসর্গ করেছিলেন। মূলত মা দিবস উপলক্ষ্যে মায়েদের জন্য একটি ছুটির দিন প্রবর্তন করা, এটিকে স্থায়ী করা এবং সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেয়াই ছিল জার্ভিসের জীবনের উদ্দেশ্য।

কিন্তু কেন আনা এরকমভাবে তাঁর লড়াই থেকে সরে এসেছিলেন? জার্ভিস দেশে প্রথম মা দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কয়েক বছর পর ১৯০০- এর দশকের গোড়ার দিকে একটি সংবাদপত্রে এই ঘটনাটি নিয়ে নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল। এরপর থেকে দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণ হতে থাকে এবং পরবর্তী কয়েক দশক ধরে মা দিবসকে আজকের বাণিজ্যিক ছুটির দিনে পরিণত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য কঠিন লড়াই শুরু করেছিলেন জার্ভিস।

মা দিবসকে নিয়ে ব্যবসা করার মানসিকতা তাঁকে আঘাত দিয়েছিল। একবার আনা জার্ভিস ছোট্ট রেস্তোরাঁয় খাচ্ছিলেন। এসময় একটি সালাদের নাম দেখে তিনি চরম বিরক্ত হন। তিনি সেই সালাদ অর্ডার করেন। ওয়েটার সালাদ দিয়ে যাওয়ার পর, সবার সামনে তিনি এগুলো মাটিতে ফেলে দেন। কারণ সালাদটির নাম ছিল 'মাদার্স ডে সালাদ', মা দিবস নিয়ে বাণিজ্য দেখে ঘৃণায় তিনি এ কাজটি করেছিলেন। উনি এভাবে দিবসটি পালন করাকে সম্মান হিসেবে নয়, বরং খুব অনুভূতির অবমাননা হিসেবে মনে করেছেন। ঘটা করে দিবসটি পালন তার কাছে মুনাফা অর্জনের একটি সস্তা বিপণন কৌশল বলে মনে হয়েছিল।

আর তাই দিবসটির প্রকৃত মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ব্যবসায়ীদের গালমন্দ করেন, মামলার হুমকি দেন, রাজনীতিবিদদের কাছে চিঠি লেখেন, সংবাদপত্রে নিবন্ধ লেখেন, প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে অনেক চেষ্টার পরও জার্ভিসের লড়াই ব্যর্থ হয়েছিল এবং এই লড়াই করতে গিয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৪৮ সালে ৮৪ বছর বয়সে একা, অন্ধ ও নিঃস্ব অবস্থায় তিনি একটি স্যানিটরিয়ামে মারা যান। (সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)

আমরা জানি না বর্তমানে মা দিবসের কর্পোরেট রুপ দেখে জার্ভিস কেমনটা বোধ করতেন? হতাশ হতেন নিঃসন্দেহে। কারণ মা দিবসে মায়েদের ছুটি প্রদানের বিষয়টি হারিয়ে গেছে। যদিও ইতিহাসবিদ আন্তোলিনি মনেকরেন আজ যদি জার্ভিস বেঁচে থাকতেন, মা দিবস এতটা জনপ্রিয় হয়েছে দেখে তিনি হয়ত রোমাঞ্চিত হতেন। তবে এ কথা ভেবেও ক্রুদ্ধ হতেন যে মানুষ তাকে আর মনে রাখেনি। ১৯৮৬ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, 'তারা আমার মা দিবসকে বাণিজ্যিকীকরণ করছে। আমার উদ্দেশ্য এটা ছিল না।' ইতিহাসবিদ আন্তোলিনি বলেন, তিনি চাইতেন আপনারা মায়েদের করুণা নয়, আপনারা তাদের সম্মান করুন। বর্তমানে মা দিবস যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম লাভজনক ছুটির দিনে পরিণত হয়ে উঠেছে। ২০০৬ সাল থেকে দিবসটির বার্ষিক ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে।

ফিরে আসি সন্তানের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মায়েদের অবদানের প্রশ্নে। মায়ের অবদান প্রশ্নাতীত হলেও সন্তানের আচরণ অধিকাংশ সময়ই পজিটিভ হয়না। কিন্তু মা তার বুকের মানিককে এতটাই ভালবাসেন যে, সন্তানকেন্দ্রিক মনের বিষন্নতা, দুঃখ, অপ্রাপ্তি, অনুশোচনা বা স্ট্রেসের মতো মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলোকে দমন করার চেষ্টা করেন। এটাকেই হয়তো বলে টক্সিক পজিটিভিটি। ইতিবাচকতা সাধারণত বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে একটি ভাল মনোভাব হিসাবে পরিচিত। কারণ এটা মেজাজ হালকা করতে সাহায্য করতে পারে। তবে স্বাস্থ্যকর ইতিবাচকতা, টক্সিক ইতিবাচকতা থেকে আলাদা। স্বাস্থ্যকর ইতিবাচকতা দুঃখ, রাগ, বিষন্নতা এবং ঈর্ষার নেতিবাচক আবেগকে স্বীকার করে নেয়। এতে মনের চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়।

অন্যদিকে, টক্সিক ইতিবাচকতা সবসময় পুরোপুরি সুখী জীবনযাপনের একটি অবাস্তব প্রত্যাশা থেকে সৃষ্ট। মায়েরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে নেগেটিভ আবেগ উপেক্ষা করে মাকে সবধরনের পরিস্থিতিতে খুশি হতে হবে। এইভাবে জীবনের নেগেটিভ দিকগুলোকে উপেক্ষা করার মাধ্যমে, মায়েরা প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদে আরও অসুখী হয়ে পড়েন। লেখক কিম্বারলি হ্যারিংটন, মনে করেন যে "যখন আপনি দুঃখিত হন, তখন দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং আপনি যখন রাগান্বিত হন তখন রাগ প্রকাশ করেন।” তিনি বলেন, একজনের "অনুভূতির রংধনু" সম্পূর্ণরূপে অনুভব করা ভাল।

২১ মে, ২০২৪

লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

এইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।