দুটি টাকার বিনিময়ে আমরা শিশুকে কিনে নিতে চাইছি দাস হিসেবে

শাহানা হুদা রঞ্জনা
শাহানা হুদা রঞ্জনা শাহানা হুদা রঞ্জনা
প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ০১ মে ২০২৪

গল্পটা পুরোনো, কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই এর গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেলো নূরজাহান। আমি তখন ক্লাশ ফোর-ফাইভে পড়ি। কী একটা কারণে আমি নূরজাহানের উপর বিরক্ত হয়ে ওকে ধাক্কা মেরেছিলাম। আম্মা দেখে আমাকে বকা দিয়ে জানতে চাইলো, কেন আমি নূরজাহানের গায়ে হাত তুললাম। যদিও নূরজাহান বলতে থাকলো “খালাম্মা কিছু হইবো না। ওতো ছোট মানুষ, রাগ হইয়া করছে।” কিন্তু আব্বা-আম্মার কাছে আমার এই আচরণ খুবই গর্হিত অপরাধ বলে মনেহল।

আব্বা আমাকে নূরজাহানের কাছে ক্ষমা চাইতে বললো। কারণ নূরজাহান বয়সে বড়। শুধু দুটো খাবারের জন্য ও আমাদের বাসায় কাজ করতে এসেছে। অভাবের কারণে অন্যের বাসায় কাজ করাটা খুব কষ্টের। আর কড়া স্বরে বলে দিলো এরপর থেকে আমি যেন কখনো বাসার গৃহকর্মীর গায়ে হাত না তুলি। কোনো অভিযোগ থাকলে আম্মাকে জানাই। সেই নূরজাহান পরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কুকের চাকরি করতো। অনেকদিন পরে একদিন দেখা হলো। সেদিনও নূরজাহান বলেছিল, তোমার বাবা-মায়ের সেইদিনের শিক্ষা আমি কোনদিনও ভুলুম না।

সেই প্রথম, সেই শেষ। সংসার চালাচ্ছি প্রায় ৩৪/৩৫ যাবত কিন্তু এরপর কোনোদিন আমি আর কারো গায়ে হাত তুলিনি বা খারাপ আচরণ করিনি। কাউকে পছন্দ না হলে অসুবিধা সত্ত্বেও বিদায় করে দিয়েছি। এই কথাগুলো এজন্য বললাম যে, আমাদের পারিবারিক শিক্ষা যেমন, আমরা সেরকম আচরণই শিক্ষা পাই। বাড়িতে থাকা সাহায্যকারী মানুষটিকে আমরা যদি পরিবারের সদস্য বলে মনেকরি, তাহলে সেও হয়তো নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করবে। সবচেয়ে বড় কথা কাউকে দিয়ে কাজ না হলে, বেয়াদবি, চুরি বা অন্য কোন অপরাধ করলে তাকে বিদায় করে দেয়াটাই উত্তম, মারধোর করা বা আটকে রাখা নয়।

মানুষ শুধু ধনী হলে বা শিক্ষিত হলেই তার অধীনস্ত মানুষের সাথে ভাল আচরণ করবেন তা নয়। টাকাওয়ালা মানুষের বাসাতেও দেখেছি ওয়ার্কিং স্টাফের জন্য কমদামি খাবার, আলাদা চাল, আলাদা রান্না। উচ্চশিক্ষিত, পেশাজীবি মানুষ বা টাকাওয়ালা ব্যবসায়ী পরিবারের মানুষ খুব সামান্য অপরাধে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে, মেরে ফেলে। এছাড়া শিশু-কিশোরী গৃহকর্মীদের প্রতি যৌন হয়রানি চলছেই। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে যেসব শিশুদের পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রহণ করা হয়, এদের অনেকের মা-ই গৃহকর্মী ছিলেন বা আছেন। যে বাসায় কাজ করতেন, সেখানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং পরবর্তীতে এই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। লোকলজ্জার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে গেছেন।

গৃহকর্মীদের উপর, বিশেষ করে শিশু গৃহকর্মীদের উপর অত্যাচার অনেক বেড়েছে। ঘন ঘন গৃহকর্মী নির্যাতনের সংবাদ আসছে। পত্রিকায় শুধু সেটুকুই ছাপা হয়, যেগুলোর মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার সংখ্যাও খুব কম। অধিকাংশ নির্যাতনের কেসের কোনো বিচার হয় না। কোনো কোন খবর প্রকাশিতও হয় না। গৃহকর্তারা পয়সা ও ক্ষমতার জোরে সব অন্যায় ধামাচাপা দিয়ে কেস তুলে নিতে বলে। এই শিশু গৃহকর্মীদের পরিবারের অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে এরা মালিকের করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করতে পারেনা। তারা বাধ্য হন দায়সারা গোছের কোনো সমাধান মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যেতে।

দশ বছরের ছোট্ট মেয়ে পাখির কথা মনে আছে? পাখির বাবা ওকে ঢাকায় পাঠিয়েছিল তিনবেলা খাবার ও মাথার গোঁজার ঠাঁই পাবে বলে। কিন্তু এর বদলে পাখি মারধোর ও সহিংসতার শিকার হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। ওর ছোট্ট দেহখানি লুকিয়ে রেখেছিল গৃহকর্ত্রী। কিন্তু দুদিন পর মগবাজারের একটি হাসপাতালের সামনে ফ্রিজিং ভ্যান থেকে পাখির গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য চিহ্ন ছিল। তাকে গোপনে কবরস্থ করার জন্য ফ্রিজিং ভ্যানে রেখে দেওয়া হয়েছিল। অসহায় বাবা গ্রাম থেকে ছুটে এসেছিলেন পাখির অসুস্থতার কথা শুনে। কিন্তু এসে মেয়ের দেখা পেলেন না। মেয়ে কোথায় জানতে চেয়ে কোন উত্তরও পেলেন না। অগত্যা তাকে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছিল। এটা ২০২৩ এর ঘটনা।

দেয়া হয়? ঘুমাতে দেয়া হয়? স্বাস্থ্য সেবা কতটা পায় তারা, বিশ্রাম? পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ? তারা কি সহানুভূতি, ভালবাসা, বিনোদন ও স্নেহ পায়? নাকি এগুলো ছাড়াই দমবন্ধ করা পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য হয়? আসলে এগুলো দেখার কেউ নেই। এই শিশুদের জন্য কোনো শ্রমঘণ্টা নির্দিষ্ট নেই৷ নেই কাজের কোনো চুক্তি বা লিখিত নিয়োগ-পত্র।

পাখি একাই এধরনের নির্মমতার শিকার নয়, এরকম নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে দেশে। অসংখ্য শিশু ও নারী গৃহকর্মীর নির্যাতিত হওয়ার কথা লেখা যাবে। পাশাপাশি এদের অধিকাংশই যে বিচার পান নাই, একথাটাও লিখতে হবে। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যেসব ঘটনা আমরা জানতে পারি, বাস্তবে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা আরো অনেক বেশি।

গৃহকর্মী নিয়োগের কোনো রেজিস্ট্রেশন করা হয় না। এছাড়া গৃহশ্রমিক হিসেবে কোনো পরিচয়পত্র বা নিয়োগপত্র থাকে না বলে ঠিক কতজন এখানে কাজ করছেন এটাও সঠিকভাবে জানা যায় না। আর এই কারণেই জানতে পারা যায় না কতজন অত্যাচারিত হচ্ছেন। বাংলাদেশে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে সবচেয়ে বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত হয় এবং নির্যাতিত হয় বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েরা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফের এক তথ্য অনুযায়ী বলেছে অধিকাংশ শিশু গৃহশ্রমিকের বয়স ৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

এদের কোনো বেতনের মাপকাঠি নাই, কাজের কোনো সময় নাই। অভাবের কারণে গ্রাম থেকে আসা এইসব মেয়েদের দরিদ্র, নিরক্ষর এবং অসহায় পরিবারগুলো তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ রুখে দাঁড়াতে পারেনা। এমনকি হত্যাকান্ডের মত ঘটনায়ও আপসের মাধ্যমে শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান অভিযুক্তরা। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে গত তিন বছরে ঢাকাসহ সারা দেশে ৩৬ জন গৃহকর্মী তাদের গৃহমালিকের বাসায় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৯০ ভাগই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান। কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন। এই সময়ে মোট নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৩ জন। কিন্তু ওইসব ঘটনায় মামলা হয়েছে অনেক কম, মাত্র ৬৯টি।

গৃহশ্রমিকদের নিয়ে কর্মরত বাংলাদেশ ইনস্টিাটিউট অব লেবার স্ট্যাডিজ (বিলস)-মনেকরে গৃহকর্মী নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা বাস্তবে আরো বেশি। বিলস-এর জরিপে অংশ নেওয়া ২৮৭ জন গৃহ শ্রমিকের ৫০ ভাগ জানিয়েছেন, তারা কোনো না কোনোভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিলস-এর তথ্য বলছে, সারা দেশে মোট গৃহকর্মীদের ৯৫ ভাগেরও বেশি নারী। গৃহকর্তার কাছে ৫০ শতাংশ গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হন। যাদের অর্ধেকেই আবার শিশু। বিলসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে সারা দেশে এক হাজার ৫৬০ গৃহকর্মী কর্মক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, আহত, রহস্যজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা ও হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিহত হয়েছেন ৫৭৮ গৃহকর্মী। (সূত্র: ডয়েচ ভেলে)।

গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, “বিচার পাওয়ার নজির তেমন নেই বললেই চলে। যে ঘটনাগুলোতে মামলা হয় সেখানে এজাহার খুবই দুর্বল থাকে। কারণ মালিক প্রভাবশালী থাকেন গৃহশ্রমিকের তুলনায়। তারা সহজেই পুলিশকে প্রভাবিত করতে পারেন। ফলে মামলা ওখানেই অনেকটা শেষ হয়ে যায়। আর বিচারের আগেই অর্থের বিনিময়ে বা চাপ প্রয়োগ করে আপোস করে ফেলা হয়। ফলে আর বিচার হয় না।” প্রতিষ্ঠানটি গত দুই-তিন বছরে নির্যাতনের শিকার ২০-২৫ জন গৃহকর্মী ও তার পরিবারকে আইনি সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু আইনি সহায়তা দেয়ার পরও মামলায় বিচার পাওয়া যায়নি। কারণ শেষ পর্যন্ত মামলা চালানো যায়নি, আপস হয়ে গেছে।

বাংলাদেশে হত্যা ও নির্যাতনের মতো অপরাধের মামলা আইনে আপসযোগ্য নয়। তারপরেও কীভাবে আপস হয়? জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন," এটা আদালতের বাইরে করা হয়। এটার নানা কৌশল আছে। প্রথমত মামলার তদন্তে দেরি করা হয়। এরমধ্যে নিহত বা নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীর পরিবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। তারা গরিব। তাই তাদের অর্থের প্রলোভনে ফেলা হয়। তখন তারা মামলার ব্যাপারে আর আগ্রহ দেখান না। সাক্ষী দিতে যাননা। তখন মামলা এমনিতেই খারিজ হয়ে যায়। যে ঘটনাগুলোতে মামলা হয় সেখানে এজাহার খুবই দুর্বল থাকে। কারণ মালিক প্রভাবশালী থাকেন গৃহশ্রমিকের তুলনায়। তারা সহজেই পুলিশকে প্রভাবিত করতে পারেন। ফলে মামলা ওখানেই অনেকটা শেষ হয়ে যায়। আর বিচারের আগেই অর্থের বিনিময়ে বা চাপ প্রয়োগ করে আপোস করে ফেলা হয়। ফলে আর বিচার হয় না।” (ডয়েচ ভেলে)

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী সারা দেশে এখন ২৫ লাখ গৃহকর্মী আছেন। তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ নারী। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ- অনুযায়ী দেশে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে এমন শিশুর সংখ্যা এক লাখ ২৫ হাজার, যাদের বয়স ৫ থেকে ১৭ বছর এবং এরমধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই মেয়েশিশু।

গৃহকর্মীরা একা কাজ করেন, তাই তাদের প্রতি অত্যাচারের সাক্ষী থাকে না। এই সুযোগটাই গ্রহণ করে মালিক। এদের জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা। সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা এবং অন্যান্য প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা না হলে এই অসহায় মানুষগুলো বিচার পাবেনা। বাংলাদেশে গৃহশ্রমিক সুরক্ষা নীতিমালা করা হয়েছে ২০১৫ সালে। কিন্তু সেটা কোনো আইন নয়। তাই তাদের বেতন, কর্ম পরিবেশ, কর্ম ঘণ্টা, বয়স, নিয়োগ কোনো কিছুই আইনের আওতায় হয়না। তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করারও কোনো অধিকার নেই। ডোমেস্টিক ওয়াকার্সরাইটস নেটওয়ার্ক কতগুলো কর্মসূচি নিয়েছিল অধিকার রক্ষার্থে। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে তা বাস্তবায়নে। শিশু গৃহশ্রমিকদেরও শ্রম আইনের আওতায় আনতে হবে, রেজিস্ট্রেশন করা, তদন্ত চালানো হবে, নজরদারি বাড়াতে হবে, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, যে শিশুরা শহরের বাসাবাড়িতে কাজ করছে তাদের কি পর্যাপ্ত খাবার দেয়া হয়? ঘুমাতে দেয়া হয়? স্বাস্থ্য সেবা কতটা পায় তারা, বিশ্রাম? পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ? তারা কি সহানুভূতি, ভালবাসা, বিনোদন ও স্নেহ পায়? নাকি এগুলো ছাড়াই দমবন্ধ করা পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে বাধ্য হয়? আসলে এগুলো দেখার কেউ নেই। এই শিশুদের জন্য কোনো শ্রমঘণ্টা নির্দিষ্ট নেই৷ নেই কাজের কোনো চুক্তি বা লিখিত নিয়োগ-পত্র। আমরা নিজের সুখ ও আরাম-আয়েশের জন্য একটা শিশুর শিশুকালটা নামে মাত্র মূল্যে কিনে নিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু তাদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। ঘরের কোণে নির্যাতিত হচ্ছে গ্রাম থেকে আসা এই শিশুগুলো। বাবা মায়েরা পাঠায় তাদের সন্তানেরা অন্তত তিনবেলা খাবার ও আশ্রয় পাবে বলে, অথচ এর বদলে পাচ্ছে মারধোর, সহিংসতা ও মৃত্যু।

লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

এইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।