আবারও কেন ভাঙলো জাতীয় পার্টি
দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি না থাকলেও রাজনৈতিক দলের কমতি নেই। অসংখ্য দল। অসংখ্য নেতা। দেশের সব মানুষ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নাম জানে না, নেতাদের চেনে না। তারপরও দল গড়া হয়, আবার এক দল ভেঙে একাধিক ব্র্যাকেটবন্দি দলেরও সৃষ্টি হয়। দল থাকলে যেন দলের মধ্যে কোন্দলও থাকতে হবে। আর কোন্দল কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে ভাঙনও অনিবার্য।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দলের নামের সঙ্গে আছে ‘জাতীয় পার্টি’। পাশে ব্র্যাকেটে নানা শব্দ যুক্ত করে নিবন্ধন নিয়েছে এসব দল। এর কারণ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভাঙনের মুখে পড়েছে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত এই দলটি।
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু। ক্ষমতায় থেকে দল বানানোর দ্বিতীয় নজির এটা। প্রথম বানিয়েছিলেন জিয়া, দলের নাম বিএনপি। ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার গড়া দলটিতে ভাঙাগড়া যেন লেগেই আছে। নেতৃত্বের কোন্দলে বারবার টুকরো টুকরো হয়েছে দলটি। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ শনিবার এরশাদপত্নী রওশনের নেতৃত্বে নতুন করে ভেঙেছে জাতীয় পার্টি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাতবার ভাঙল দলটি।
বাংলাদেশের অন্য ছোট দল যেমন জাসদ, বাসদ এমনকি সিপিবিও বার বার ভাঙনের মুখে পড়ে অনু-পরমাণুর মতো ছোট হচ্ছে। কিন্তু যে দলের সমর্থক যত কম, তার নেতার গলায় তত তেজি বক্তৃতা ও বিবৃতি জনমনে যা হাসির উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এমনও দল রয়েছে যাদের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার মতো সমর্থক নেই। জনগণের স্বার্থে নয়, নিজেদের পদ-পদবি ও গুরুত্ব বাড়ানো এবং বড় দলগুলোর কাছ থেকে কিছু খুদ-কুড়ো আদায় করাই এদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য।
এরশাদ পরিবার ঘিরেই জাতীয় পার্টির মূলধারা বিবেচনা করা হয়। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী রওশন ও ভাই জিএম কাদেরের মধ্যে নেতৃত্বের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে, যা ভাঙন পর্যন্ত গড়ালো। যদিও উভয় অংশের নেতারা এজন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন। জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা কিছু নেতাকে বহিষ্কার করেছি; কিন্তু দল ভেঙে যাক চাইনি। এজন্য সবাইকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু দল গঠন বা রাজনীতি করার অধিকার তো সবার আছে। তবে মূলধারার জাতীয় পার্টি হলো জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন দল।’
অন্যদিকে রওশন অংশের অন্যতম নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অনেক চেষ্টা করেছি। স্বেচ্ছাচারী হয়ে পার্টি পরিচালনা করলে ঐক্য ধরে রাখা যায় না। পার্টির সর্বশেষ ভাঙনের জন্য কারা দায়ী তা হয়তো এক সময় মূল্যায়নের সুযোগ আসবে।’
জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের ইতিহাস নতুন নয়। সব সময় কোনো না কোনো ইস্যুতে দলে অস্থিরতা লেগেই থাকে। এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শাসক এরশাদও দলের বিবাদ বা ভাঙন ঠেকাতে পারেননি।
জাপার ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘এ দলের রাজনৈতিক কোনো ভবিষ্যৎ আমি দেখি না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনেক দলের মতো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে পরিণত হবে জাতীয় পার্টি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের ‘বি’ টিম হিসেবে কাজ করছে। মূলত আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে আঞ্চলিকভাবে এক সময়ের জনপ্রিয় জাপা এখন গৃহপালিত দলে পরিণত হয়েছে। তাই এই দল নিয়ে এখন আর আশার কিছু নেই।’ অবশ্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আর কোনো দল নিয়ে মানুষের মধ্যে কী আশা আছে, সেটা এক বড় প্রশ্ন।
১৯৮২ সালে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাতীয় পার্টি গঠন করে রাজনীতিতে নামেন। ক্ষমতালোভী ব্যক্তিরাই জাতীয় পার্টির খুঁটি হয়েছে। ১৯৯০ সালে তার পতনের পর থেকে ক্রমে শক্তি হারাতে থাকে দলটি।
১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে দলটি ৩৫টি আসন পায়। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে জাপার আসন কমে হয় ৩২টি। এরপর এরশাদের দলে ভাঙন ধরে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আলাদা হয়ে যান। ২০০১ সালের নির্বাচনে আগে বড় ভাঙনের শিকার হয় দলটি। নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) নামে দল গঠন করে।
এই অংশটির নেতৃত্বে এখন রয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। অবশ্য এই বিজেপিই আবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এম এ মতিন গঠন করেন আলাদা জাতীয় পার্টি। এরশাদের পুরোনো রাজনৈতিক সহকর্মী কাজী জাফর আহমেদ দল ভেঙে আলাদা হন। এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।
জাতীয় পার্টি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন রয়েছে চারটি দলের। এরশাদের নেতৃত্বাধীন মূল অংশটি লাঙল প্রতীকে ইসিতে নিবন্ধিত। এছাড়া আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপি নিবন্ধিত বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে। নাজিউর রহমান মঞ্জু প্রতিষ্ঠিত বিজেপি নিবন্ধিত গরুর গাড়ি প্রতীকে। আর ডা. এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন একটি অংশের প্রতীক কাঁঠাল। এছাড়া কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ও বিদিশার নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিসহ আরেকটি অংশের নিবন্ধন নেই। এ তালিকায় সর্বশেষ নাম লেখালো রওশনপন্থি জাতীয় পার্টি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির মধ্যে বিরোধ-অসন্তোষের বিষয়টি সামনে এলেও তখন ভাঙেনি। তবে শেষ পর্যন্ত মিলেমিশে চলা সম্ভব হলো না। সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের একাংশের নেতারা। শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে এরশাদপত্নী রওশন এরশাদকে। হুইল চেয়ারে বসে সম্মেলনে যোগ দিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী দলীয় প্রতীক লাঙ্গল আমার।’
এরপরই প্রশ্ন উঠছে, কোনটি জাতীয় পার্টির মূল অংশ? আর দলীয় প্রতীক লাঙ্গল কি হাতছাড়া হতে যাচ্ছে জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টির? জি এম কাদের অংশ অবশ্য বলছে, রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টির আইনগত ভাবে লাঙ্গল প্রতীক পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টি জি এম কাদের অংশের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও লাঙ্গলের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সব কিছু নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এখন অন্য কেউ গিয়ে বললেই তারা লাঙ্গলের মালিক হতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘শুধু দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন করা হলে দলীয় প্রতীক তাদেরকে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তা না হলে এ সিদ্ধান্ত দিতে হবে আদালতের।’
গত মাসে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়। তবে বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় ইসি তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে।
জাতীয় পার্টির রওশন অংশের নতুন মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘রওশন এরশাদ যেখানে থাকবে লাঙ্গল প্রতীকও সেখানে থাকবে। হাইকোর্টের রায়ও আছে। এখন যদি আমরা লাঙ্গল নাও পাই পাঁচ বছর পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’
রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান করে জাতীয় পার্টির নামেই আরেকটি নতুন কমিটি ঘোষণাকে পাত্তা দিচ্ছেন না জি এম কাদেরের নেতৃত্বে কমিটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘জি এম কাদেরের জাতীয় পার্টিই মূল জাতীয় পার্টি।’
রওশনের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি যে আবার ভাঙতে যাচ্ছে, সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আগে। ২০১৫ সালে এরশাদের মৃত্যুর পরই দলের নেতৃত্ব নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
এবারের জাতীয় নির্বাচনের আগে রওশনের কোনো অনুসারীকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, এমনকি তার ছেলেও দলের প্রতীক পাননি। এই ক্ষোভে ভোটেই আসেননি তিনি। রওশনই সংসদে বিরোধীদলীয় প্রথম নেতা, যার দল ভোটে এলেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ভোটে শেষে রওশনপন্থিদের দল থেকে একে একে বরখাস্ত করতে থাকেন জি এম কাদের।
সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় ক্ষমতা দখল করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করেন আগের সেনা শাসক জিয়াউর রহমানের অনুকরণে। জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর তার দলে ভাঙন না ধরলেও ১৯৯০ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়ার পর তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। তার দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনেকেই চলে যান আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে।
১৯৯৬ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে একটি মন্ত্রীর পদও পায় জাতীয় পার্টি। তবে ১৯৯৯ সালে এরশাদ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে জোটে যান। সে সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে আলাদা জাতীয় পার্টি গঠন করেন। দলের নাম হয় জাতীয় পার্টি (জেপি)।
এরশাদ সেই জোট থেকে পরে বের হেয় আসেন ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে। সেই সিদ্ধান্ত না মেনে জাতীয় পার্টির নাজিউর রহমান মঞ্জুর ও এম এ মতিন মিলে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি। তারা চারদলীয় জোটের অংশ হয়ে ভোটে অংশ নেয়। পরে বিজেপিতেও ভাঙন ধরে। নাজিউরের নেতৃত্ব থেকে বের হয়ে এম এ মতিন গঠন করেন আলাদা বিজেপি।
নাজিউরের মৃত্যু হলে তার অংশের চেয়ারম্যান হন ছেলে আন্দালিভ রহমান পার্থ। এম এ মতিনের মৃত্যুর পর তার নেতৃত্বাধীন বিজেপির চেয়ারম্যান প্রথমে হন মেয়ে তাসমিনা মতিন।
বিএনপির বর্জনে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় পার্টিতে আবার বিভেদ দেখা দেয়। এরশাদের নেতৃত্বে নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ আসে। তবে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে একাংশ ঘোষণা দেন তারা ভোটে থাকবেন।
এরশাদের মনোনয়নপত্র একটি আসন থেকে প্রত্যাহার হলেও সময়মতো আবেদন করা হয়নি জানিয়ে থেকে যায় দুটি। এই দুটি আসনের মধ্যে লালমনিরহাটে তিনি হারলেও জেতেন রংপুর সদরে।
ভোট শেষে এরশাদ শুরুতে বলেন, তিনি শপথ নেবেন না। তবে রওশনের নেতৃত্বে অন্য সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। শেষ পর্যন্ত সময় শেষ হওয়ার শেষ দিন এরশাদ একা শপথ নেন। তখন তাকে মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়।
এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বে গঠন হয় জাতীয় পার্টির আলাদা কমিটি। তারা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়। কাজী জাফরের মৃত্যুর পর দলের এই অংশের চেয়ারম্যান হন মোস্তফা জামাল হায়দার। জাতীয় পার্টির নামে সবগুলো অংশই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত।
প্রশ্ন হলো, এতগুলো জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে কি ভূমিকা পালন করবে? নীতি বা আদর্শগতভাবেই বা এই দলগুলোর ভিন্নতা কোথায়? দেশের সাধারণ মানুষ যখন রাজনীতির প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, তখন এত দল ও দলাদলি কীসের জন্য, কার জন্য?
বাংলাদেশের অন্য ছোট দল যেমন জাসদ, বাসদ এমনকি সিপিবিও বার বার ভাঙনের মুখে পড়ে অনু-পরমাণুর মতো ছোট হচ্ছে। কিন্তু যে দলের সমর্থক যত কম, তার নেতার গলায় তত তেজি বক্তৃতা ও বিবৃতি জনমনে যা হাসির উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এমনও দল রয়েছে যাদের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার মতো সমর্থক নেই। জনগণের স্বার্থে নয়, নিজেদের পদ-পদবি ও গুরুত্ব বাড়ানো এবং বড় দলগুলোর কাছ থেকে কিছু খুদ-কুড়ো আদায় করাই এদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য।
১১ মার্চ, ২০২৪
লেখক : রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।
এইচআর/ফারুক/এএসএম