মুক্তিযুদ্ধ
অবরুদ্ধ ঢাকা ছিল যেন এক মৃত্যুপুরী
২৫ মার্চের কালরাতের পর থেকে আমাদের পাড়াটা ক্রমশ খালি হয়ে যেতে থাকলো। প্রতিদিন একজন, দুজন করে বাড়িঘর ছেড়ে কাপড়ের পুটলি নিয়ে বা একটা ট্রাংক-বেডিং নিয়ে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছিল। আমার বন্ধুরা সব একে এক চলে যাচ্ছিল। কে, কোথায়, কেন যাচ্ছিল সেটা তখন না বুঝলেও এটা বুঝতে পারছিলাম সবার চোখে ভয়, আতংক। আমাদের বাড়িওয়ালা খালাম্মা রাতের আঁধারে, চুলায় ভাত বসিয়ে আম্মাকে এসে বললেন, ‘আমরা চলে যাচ্ছি কুমিল্লায়। তোমরা চাবিটা রাখো। আমার মেয়ে বড়, চারটা ছেলে এদের নিয়ে থাকা ঠিক হবে না।’ কে নাকি এসে বলেছে সকালে পাড়ায় মিলিটারি আসবে। খালুও আব্বাকে ফিস ফিস করে কি যেন বলে গ্রামের বাড়ি চলে গেলেন।
আমার খুব কষ্ট হলো বিউটি আপার জন্য। বিউটি আপা তেঁতুল ও কাঁঠালের মুচি দিয়ে খুব মজার ভর্তা মাখতে পারতেন। আমার চুল বেঁধে দিতেন, গল্প শোনাতেন, ভাতও খাইয়ে দিতেন। সেসময় প্রতিবেশীরা ছিল আত্মার আত্মীয়। সবার সঙ্গে সবার পরিচয়, অন্তরঙ্গতা ছিল আত্মীয়র চাইতেও বেশি। স্বাধীনতার পর আর কখনো বিউটি আপাদের সাথে দেখা হয়নি। কারণ যুদ্ধ চলাকালেই এই ফাঁকা ভূতের গলি থেকে আমরা পাশে আরেকটি পাড়ায় চলে গিয়েছিলাম, যেখানে অন্তত কিছু পরিবার তখনো ছিল।
প্রসঙ্গত বলে রাখি, ইংরেজ আমলে মিস্টার বুথ নামে এক সাহেব থাকতেন এলাকাটিতে। তিনি ছিলেন ওখানকার প্রথম সাহেব বাসিন্দা। সেজন্য তার নাম অনুসারে রাস্তাটার নাম দেওয়া হয়েছিল, বুথের গলি। সেই বুথের গলি কবে যে লোকমুখে ভূতের গলি হয়ে গেলো কেউ বলতে পারবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাড়াটি সত্যিই যেন ভূতেরই গলি হয়ে গিয়েছিল।
কিছুক্ষণ পর লাইন ধরে ট্রাক ঢুকতে লাগলো, ট্রাকে করে অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিকরা আসতে লাগলো। সবার হাতে স্বাধীন দেশের পতাকা আর অস্ত্র। তাদের কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলোও একই সাথে গলা মেলাচ্ছিল। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত হচ্ছিল। কেউ কেউ অঝোরে কাঁদছিল। স্বাধীনতা পাওয়া তো আনন্দের বিষয়, তাহলে মানুষ কাঁদছে কেন? তাই মানুষের কান্না দেখে সেদিন অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
এভাবে পাড়া পুরো খালি হলো, শুধু আমরা তিন-চারটি পরিবার ঘর আটকে পড়ে রইলাম। আমি তখন খুব ছোট ৬ বছর বয়স। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সারাদিন পাড়ায় ঘোরাঘুরি আর খেলা ছাড়া কোনো কাজ ছিল না আমাদের। কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম টুংটাং বেল বাজানো বেবি আইসক্রিমওয়ালা আর আসছে না।
প্রতি সপ্তাহে পাড়ায় একটা ভাল্লুকওয়ালা আসতো খেলা দেখাতে, একটা বাঁদরনাচওয়ালা ও একজন সাপুড়েও বাঁশি বাজিয়ে খেলা দেখাতো। কিন্তু পরিস্থিতি থমথমে হয়ে যাওয়ায় সবাই কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো। বাতাসে চিরচেনা আনন্দ মুছে গিয়ে শুধু গুমোট একটা অনুভূতি অনুভব করছিলাম। ছোট হলেও বুঝতে পারছিলাম কোথায় যেন একটা তাল কেটে গেছে।
দেশ, রাজনীতি, সমাজনীতি, মানুষের দুঃখ, কষ্ট কী এবং কেন হচ্ছে তাও জানতাম না। শুধু লক্ষ্য করতাম সন্ধ্যা নামার পরপরই কেমন যেন একটা সুনসান নীরবতা চারদিকে। আব্বাসহ পাড়ার মুরব্বিরা ফিসফিস করে কথা বলতেন। আব্বা সাংবাদিক ছিলেন বলে সবাই আব্বার কাছে এসে প্রকৃত তথ্য জানতে চাইতেন। মাঝে মাঝে আব্বারা সবাই মিলে শরীফ চাচা ও জাহানারা চাচি (জাহানারা ইমামের) বাসায় যেতেন বিস্তারিত আলোচনার জন্য। মনে আছে সকাল-সন্ধ্যায় শুধু বিবিসি শুনতো সবাই।
তবে আমি সেই বয়সে এসব ঘটনার খুব একটা গুরুত্ব বুঝতাম না, বোঝার কথাও না। শিশুর মনোজগৎ নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম, শিশু মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, কোনো কোনো প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘটনা, যা মনে দাগ কেটে যায়, তা শিশুরা মনে রাখতে পারে। হয়তো মুক্তিযুদ্ধ আমাকে ততটাই পরিণত করে তুলেছিল, যে জন্য এখনও অনেক ঘটনা আমার কাছে জীবন্ত।
২৫ মার্চের কালরাত ঠিক সেরকমই একটি রাত, যা আমি কখনোই মন থেকে মুছে ফেলতে পারবো না। রাতের খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ চারদিক থেকে গুলি, মেশিনগান এবং আরও অনেক ধরনের অচেনা শব্দ ভেসে আসতে থাকলো। আব্বা, আম্মা, আমি লাইট নিভিয়ে খাটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
আরেকটি ছোট খাটের নিচে ছিল তুফানের মা। আমাদের কাছে ছিল কিছু শুকনো বিস্কুট আর একটা ছোট্ট হারিকেন। স্পষ্ট মনে আছে আমি আমার ছোট দুটো পুতুল নিয়ে খাটের নিচে ঢুকেছিলাম। ভেবেছিলাম যদি দুষ্টু লোকেরা আসে, তাহলে তো আমার পুতুল দুটিকে নিয়ে যাবে। সেদিন ভাবিনি ওই হায়েনারা আমার দেশকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ওই রাতে বর্বর হামলা চালিয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে ওরা নির্বিচারে। অগণিত নারী শিশুকে ক্ষতবিক্ষত করেছে।
১৯৭১ সালে এমনিতেই ঢাকা ছিল একটি নিরিবিলি ও সুন্দর শহর। ধানমন্ডি, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিশ্ববিদ্যালয়, লালমাটিয়া এলাকায় তখনো রাতবিরাতে শিয়াল ডাকতো। এর মধ্যে সেই শহর ফাঁকা করে যখন মানুষ দলে দলে গ্রামে চলে যেতে থাকলো, তখন ঢাকা হয়ে পড়েছিল একটি ভুতুড়ে নগরী। বিকেল নামার সাথে সাথে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশায় ছেয়ে যেতো চারদিক। চারদিকে আলো ছিল টিমটিমে। মানুষের শোরগোল, কথাবার্তা, শিশুর কান্না কিচ্ছু শোনা যেতো না। ঠিক যেন সেই ছড়ার মতো, ‘খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়োলো, বর্গী এলো দেশে।’ হ্যাঁ পাকিস্তানি বর্গীরাই হানা দিয়েছিল দেশে। চারদিক জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল।
রংপুরের গ্রামের বাড়ির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যতটুকু মনেপড়ে প্রতিদিন আমরা ডাল, ডিমভাজি আর আলুভর্তা বা ভাজি দিয়ে ভাত খেতাম। আম্মা একটা ছোট কৌটায় যে ঘি বানিয়ে রেখেছিলেন, সেটাই আমাকে মাঝে মধ্যে ভাতে মেখে দিতেন। হাতিরপুল বাজারটাও কেমন যেন নিস্তরঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। যদিও সেখানকার সুইপার কলোনি ও মাংস বিক্রেতাদের একটা বড় অংশ ছিল বিহারি, তাদেরও খুব একটা দেখা যেতো না। অবশ্য মাংস কেনার মতো মানসিক অবস্থা ও অর্থ তখন কারও ছিল না।
প্রতিদিনই আব্বা আম্মাকে বলে যেতেন, অফিস থেকে আমি ফিরে না এলে আসাদগেটে লিলিবু’র ওখানে চলে যেও বাচ্চাকে নিয়ে। তারপর যুদ্ধ থামলে রংপুরে চলে যেও। আব্বা আম্মাকে বলে যেতেন আমাকে যেন কোথাও না যেতে দেয়। শহরের অবস্থা খুব খারাপ। কিছু চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ, মোমবাতি আর ম্যাচ কিনে রাখতে বললেন পাড়ার দোকান থেকে। ২৬ মার্চ শুনলাম আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি। বুঝিনি ব্যাপারটা কী। পাকিস্তানিরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কেউ বাসা থেকে যেন বের না হয়। আমরা প্রতি রাতে আব্বার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকতাম।
সেই সময় যখন ব্ল্যাক আউট হতো, তখন সন্ধ্যা নামার আগেই রাতটা একসাথে থাকার জন্য আমার নজলু চাচা-চাচি আর ছোট ভাইটা আমাদের বাসায় চলে আসতেন। সারাদিন পাড়ায় আমি শুধু একা একা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াই। প্রতিদিন পাড়ার বন্ধুরা একে একে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এ যেন এক অঘোষিত মৃত্যুপুরি।
সেরকম একটি রাতে আমাদের বাসার প্রায় অশীতিপর বৃদ্ধা গৃহ সহযোগী তুফানের মা হঠাৎ করে মারা গেলেন। পাড়ার ডিসপেনসারির ডাক্তার বলেছিলেন হার্ট অ্যাটাক। বরিশাল থেকে আসা তুফানের মা বছর দুয়েক আমাদের বাসায় ছিলেন। তার কেউ ছিল না, এমনকি তুফানও না। তুফানের মাকে নিয়োগ দেওয়ার সময়ই আব্বা নিষেধ করেছিলেন, এত বয়স্ক মানুষ না রাখার জন্য। কিন্তু আম্মা জোর করেই রেখেছিলেন, অনেকটা পরিবারের বয়স্ক অভিভাবক হিসেবে। তুফানের মা আমাকে ডাকতো রঞ্জন বলে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও সৎকার করা ছিল কঠিন কাজ। টিমটিমে আলোতে পাড়ার দু-একজন মানুষ, আব্বা, আমার নজলু চাচা, কলিম ভাই তুফানের মাকে ভূতের গলি মসজিদে নিয়ে যান। সেখানে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন হলো খুব তাড়াহুড়ো করে, কারণ রাত থেকে কারফিউ শুরু হবে। সেই রাতে আমার প্রচণ্ড ভয় করছিল। চোখের সামনে মৃত্যু সেদিনই প্রথম দেখেছিলাম। সারারাত আম্মার শরীর ঘেঁষে শুয়ে ছিলাম।
ভূতের গলি ছেড়ে আমরা যখন নর্থ সার্কুলার রোডের আরেকটি পাড়ায় গেলাম, সেখানে থাকতেন অভিনেতা আরিফুল হক, ফখরুল হাসান বৈরাগী ও বিটিভির নিউজ কাস্টার শামীম আহমেদের পরিবার। সেখানেও একদিন পাকিস্তানি আর্মি এসে হাজির হলো ঘর তল্লাশির জন্য। তারা দলবদ্ধভাবে প্রতিটি বাসায় ঢুকছিল আর ঘরবাড়ি সব তছনছ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ খুঁজছিল। তখনও আমি ভয়ে আমার পুতুলগুলো কোলে নিয়ে ছিলাম। আম্মা তার সামান্য গয়নাগাটি কোমরে বেঁধে রাখলেন। অল্প কিছু টাকা আলমারিতে রাখা ছিল। বলে নেওয়া ভালো সেসময় মানুষের কাছে খুব অল্পস্বল্পই টাকা থাকতো। আজকের মতো হাজার কোটি টাকা ছিল না।
আমাদের বাসাটাও সার্চ করার নামে তছনছ করা হলো। অপরিচিত ভাষা, চেহারা ও পোশাকের এসব আগ্রাসী মানুষ দেখে আমি ভয়ে কাঁদতে থাকলাম। আম্মা আমার মুখ চেপে রেখেছিলেন। ওরা বক্স রুম থেকে জিনিস নামাতে বলায় আব্বা খুব বিপদে পড়েছিলেন। কারণ আব্বা অ্যাজমার রোগী ছিলেন। ধুলাবালি ও ভারী জিনিস বহন করতে পারতেন না। অ্যাজমার কথা বলায় আর্মিদের অনেকে বিরক্ত হয়ে খিস্তি করতে থাকলেও, তাদের দলনেতা নিষেধ করলো নামাতে। বরং যাওয়ার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আব্বাকে বলে গেলো, বেলুচিস্থানে তারও এই বয়সী একটি মেয়ে আছে। যাকে রেখে সে যুদ্ধ করতে পূর্ব পাকিস্তানে এসেছে।
কয়েক মাস পার হলো। একদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আব্বা আম্মার সাথে দৌড়ে গেলাম পাড়ার মোড়ে। দৌড়াতে দৌড়াতে আব্বা শুধু বলতে লাগলেন ‘আমরা স্বাধীন হয়েছি, আমরা স্বাধীন হয়েছি।’ শুনলাম গ্রীন রোডের সেই রাস্তা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও যৌথবাহিনীরা যাবেন। পাড়ার বহু মানুষ দু’পাশে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন।
কিছুক্ষণ পর লাইন ধরে ট্রাক ঢুকতে লাগলো, ট্রাকে করে অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিকরা আসতে লাগলো। সবার হাতে স্বাধীন দেশের পতাকা আর অস্ত্র। তাদের কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান। রাস্তার পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলোও একই সাথে গলা মেলাচ্ছিল। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হচ্ছিল। কেউ কেউ অঝোরে কাঁদছিল। স্বাধীনতা পাওয়া তো আনন্দের বিষয়, তাহলে মানুষ কাঁদছে কেন? তাই মানুষের কান্না দেখে সেদিন অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
মনে পড়লো আব্বা ২৫ মার্চের কালরাতে বলেছিলেন, ‘মা পশ্চিম পাকিস্তান নামে একটা শয়তান দেশ আছে, ওরা আমাদের দেশকে কেড়ে নিতে চায়। আমাদের সবাইকে যুদ্ধ করতে হবে। শুনিস নাই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছেন সবাই যুদ্ধের জন্য তৈরি হও। যার যা কিছু আছে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
আব্বা বলেছিলেন, ‘তুই তোর পুতুল সামলা, দেশের মানুষ দেশটাকে সামলাবে।’ ২৬ মার্চ আব্বা বলেছিলেন, ‘মা আজ থেকে আমরা স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের নতুন দেশের নাম হবে বাংলাদেশ। আমরা আজ থেকে যে, যেভাবে পারি যুদ্ধ করবো পাকিস্তানি দৈত্যদের বিরুদ্ধে।’ আব্বা সেদিন পাকিস্তানি চাঁদ-তারা পতাকাটায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই পতাকা আর আমাদের নয়, আমাদের নতুন পতাকা হবে, নতুন দেশ হবে।’ নতুন দেশ হওয়ার সেই দিনটি ছিল ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট।
এইচআর/ফারুক/এএসএম