শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা কি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে তা নিয়ে এরই মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। অবশ্য প্রতি আসনে গড়ে ছয়জন করে প্রার্থী থাকায় এবার আর কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারছেন না। আওয়ামী লীগসহ ২৭-২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিলেও মানুষের মধ্যে অনেক বিষয়েই কিছু প্রশ্ন আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এখন এটা নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এখন যে বিষয়টি বড় হয়ে সামনে আসছে, সেটা হলো আওয়ামী লীগ কতটি আসন অন্যদের জন্য ছাড়বে। আওয়ামী লীগ ছাড় না দিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নিজস্ব ক্ষমতায় জিতে আসা সহজ নয়। গণমাধ্যমে নানা ধরনের খবর ছাপা হচ্ছে। নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য বিএনপি ও তার মিত্ররা ‘ডু অর ডাই’ মনোভাব নিয়ে আন্দোলনে নামবে বলা হলেও বাস্তবে বিএনপি হালে পানি পাচ্ছে না।
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে সঠিক কাজ করেনি বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিএনপির এখন না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থা। আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব বিএনপিকে বাতাস দিলেও তারা কেউ বিএনপিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবে বলে মনে হয় না।
কোনো কোনো এমপি বা মন্ত্রীর আয় ও সম্পদ কমলেও পাঁচ বছরে তাদের স্ত্রীর বেড়েছে বহুগুণ। কোনো কোনো মন্ত্রী, এমপির ছেলের আয় বা সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণও অস্বাভাবিক। নগদ টাকা ও সম্পদ বৃদ্ধির দৌড়ে শুধু আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন, তা নয়, বিরোধী দলের নেতারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। রাজনীতির চেয়ে লাভজনক ব্যবসা আর নেই। তাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার এ বেপরোয়া প্রতিযোগিতা। একবার জিতলেই তো সম্পদ বৃদ্ধির জাদুর কাঠি হাতে চলে আসবে।
আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব দলই জয়লাভের জন্য আওয়ামী লীগের আনুকূল্য চাইছে। ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক চাইছেন। আবার জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, কল্যাণ পার্টিসহ ইসলামি দলগুলো ভিন্ন প্রতীকে লড়তে চাইলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা চাইছে।
আওয়ামী লীগ কতটা আসন শরিকদের জন্য ছাড়বে কিংবা কতটি আসনে সমঝোতা করবে সে সম্পর্কে এখনো কোনো ফয়সালা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ ৭০-৮০ সিট ছাড়তো বলে প্রচার আছে। কিন্তু বিএনপি না থাকায় এখন ৪০-৫০টির চেয়ে বেশি আসন ছাড়া হবে বলে মনে হয় না।
প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীদের চেয়ে এবার নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের অনেকেই। সারাদেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে এবার ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। অন্যদিকে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ থাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে সারাদেশে প্রায় সাড়ে চারশ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
মাত্র ৩০টি আসন বাদে বাকি সবগুলোতেই অন্য দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নৌকার প্রার্থীদের। এমনকি মনোনয়ন পাওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৩ নেতার ২৬ জনকেই নিতে হচ্ছে স্বতন্ত্রের বাড়তি চাপ। একই অবস্থা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের আসনগুলোতেও। মন্ত্রিসভার ৪২ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনের আসনেই রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের মতো হেভিওয়েট একাধিক প্রার্থীর সামনে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এটাকে অনেকেই ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্রদের বিষয়ে দল থেকে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের অনেককেই ভোটের মাঠে ভুগতে হবে এমন আলোচনাও রয়েছে দলটির মধ্যে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৩ জন সদস্যকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তবে দ্বৈত নাগরিকের জটিলতার কারণে মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সাতজন সদস্য এবার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকার প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন।
অন্যদিকে বর্তমান তিনজন প্রতিমন্ত্রীসহ এবার দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন ৭১ জন। এর মধ্যে হাইকমান্ডের সবুজ সংকেতে উৎসাহিত হয়ে বাদ পড়া এমপিদের মধ্যে ২৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। এছাড়া সাবেক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিপুলসংখ্যক শক্তিশালী প্রার্থী ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের আসনে ভোটের মাঠে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে মূল লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীর কথা বলেছিলেন। কিন্তু সারাদেশে ঢালাওভাবে যেভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে তা নিশ্চয়ই দল সমর্থন করবে না। সময়মতো এসব বিষয়ে একটা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসবে বলে অনেকে মনে করছেন। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগ মুহূর্তে দলের পক্ষ থেকে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারেন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত দুই নির্বাচনের মতো এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য জয় নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান দলীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর। তিনি ফরিদপুর-৪ আসনে এবারও নৌকার টিকিট পেয়েছেন। গত দুটি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
অনেকেই মনে করেছিলেন এবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি নিক্সনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত কাজী জাফর উল্যাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে নিক্সন চৌধুরী এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এবারও এ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমানও। ফরিদপুর-১ আসন থেকে ফের দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে আব্দুর রহমানকে। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর-৪ আসন থেকে। তার আসনেও দলের দুই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। তারা হলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলম আহম্মেদ ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আরিফ। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকলে এখানেও তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন অনেকে।
নেত্রকোনা-৩ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। কিন্তু দলের মনোনয়ন না পেয়ে তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুর কাদের কৌরাইশী। এখানেও সাবেক দুই এমপির সঙ্গে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতাকে।
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। মেয়র পদ ছেড়ে বিপ্লবের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে ভোটে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান এমপির সঙ্গে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, রাজনীতিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, সাবেক উচ্চপদস্থ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তা, খেলোয়াড়, শিল্পী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ নানা ধরনের মানুষ মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক বেশি। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, বর্তমান সংসদে মোট সংসদ সদস্যদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আছেন মাত্র ৫ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৬১ শতাংশ এবং বাকিরা অন্য পেশার।
সেজন্য এটা বলাই যায়, রাজনীতি এখন রাজনীতিকদের হাতে নেই। রাজনীতি এখন ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের দখলে। বর্তমানে একজন রাজনৈতিক নেতা বা সংসদ সদস্য হওয়ার আকর্ষণটা হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার এলাকার পুরো ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার এবং জাতীয় পর্যায়েরও কিছু ক্ষেত্র নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপত্তি ও প্রভাব বিস্তার করে বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া।
ব্যবসায়ীরা এ কারণেই অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতা ও আধিপত্য এবং সহজে অর্থবিত্তের মালিক হতে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তারপর সংসদ সদস্য ও পরের ধাপে কেউ কেউ উপদেষ্টা বা মন্ত্রী হন। এরপর তার ‘ভাগ্য’ তিনি নিজে নিজের মতো করে গড়ে তোলার অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করে নেন। এটা তারা হয়তো ‘রাজনৈতিক বিনিয়োগ’ হিসেবেই দেখেন।
যে কোনো পেশার মানুষ রাজনীতি করতে পারেন। এটি তাদের অধিকার। তবে প্রতিটি পেশা বা কাজে অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাজনীতিটা এখন এতই সহজলভ্য করে ফেলা হয়েছে যে, কেউই অন্য কাজে পারদর্শী না হলেও অনায়াসে রাজনীতি করতে পারেন! দেশপ্রেমিক, ত্যাগী, নির্লোভ ও সৎ রাজনীতিকরা রাজনীতি থেকে বিদায় হওয়ায় বাস্তবিক অর্থেই রাজনীতিটা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের বিত্তশালী হয়ে ওঠার খবর এখন তাদের দেওয়া তথ্য থেকেই সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে। ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা, শেয়ার ব্যবসা, কৃষিখামার এবং মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িত সরকারের মন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের সদস্যরা। আর সব মিলিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রীর পাঁচ বছরে আয় দ্বিগুণ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
কারও কারও সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর গতিতে। স্ত্রীরাও পাল্লা দিয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। আগে ধারদেনা করে নির্বাচন করেছেন এমন এমপিরাও এখন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক। সম্পদের তালিকায় যোগ হয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংকে নগদ টাকা, জমি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ইত্যাদি। তবে হাতেগোনা কয়েকজন মন্ত্রীর আয় কমেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া তাদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনে মন্ত্রী ও এমপিদের চেয়ে তাদের স্ত্রীরা এগিয়ে রয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থানে স্বামীদের ছাড়িয়ে গেছেন তারা।
কোনো কোনো এমপি বা মন্ত্রীর আয় ও সম্পদ কমলেও পাঁচ বছরে তাদের স্ত্রীর বেড়েছে বহুগুণ। কোনো কোনো মন্ত্রী, এমপির ছেলের আয় বা সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণও অস্বাভাবিক। নগদ টাকা ও সম্পদ বৃদ্ধির দৌড়ে শুধু আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছেন, তা নয়, বিরোধী দলের নেতারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। রাজনীতির চেয়ে লাভজনক ব্যবসা আর নেই। তাই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার এ বেপরোয়া প্রতিযোগিতা। একবার জিতলেই তো সম্পদ বৃদ্ধির জাদুর কাঠি হাতে চলে আসবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
লেখক: রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।
এইচআর/ফারুক/এএসএম