আওয়ামী লীগ সংকট উতরাতে পারবে তো?

মোনায়েম সরকার
মোনায়েম সরকার মোনায়েম সরকার , রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ০৬ জুন ২০২৩

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। বিশ্বব্যাপী গ্যাস, তেল ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোডশেডিং ও মূল্যস্ফীতি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। এখন জ্বালানি কেনা খুবই কঠিন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সই হয়েছে। আমরা জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়লা কেনার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমরা আবার চালু করতে পারি।’

শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কিন্তু এখন তেল, গ্যাস, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সব থেকে অবাক, কয়লাই পাওয়া যাচ্ছে না। আগে একসময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে, তারাই এখন আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে। যার জন্য আমাদের কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে।’

সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সঠিক তথ্য জানিয়ে ভালো করেছেন। কিন্তু কেউ এ প্রশ্ন করতেই পারেন যে, যে উদ্যোগগুলো এখন নেওয়া হয়েছে, তা আরও আগে নিলে কি বেশি ভালো হতো না? বৈশ্বিক সংকট তো একদিনে তৈরি হয়নি। সংকট মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি কেন থাকে না? বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠবে। কারণ অপচয় সাধারণ মানুষ খুব একটা করে বলে হয় না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেই সবকিছু নিয়ে যথেচ্ছাচার বেশি চলে। ‘সরকারকা মাল দরিয়ামে ঢাল’। এসি ব্যবহার, বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার যেসব জায়গায় লাগামহীন হয়, সেখানে রাশ টানা সম্ভব হবে কি?

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও বিদ্যুৎ নিয়ে তেমন কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি। বরং কয়লার অভাবে ৫ জুন থেকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। এটা মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জুলাই মাসের আগে বিদ্যুৎ নিয়ে সুখবর না পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি মানুষের কষ্টের জন্য অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

প্রকৃতি শুধু উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তা-ই নয়। বাজারও কম উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম কেবলই বাড়ছে। কারণে বাড়ছে, অকারণেও বাড়ছে। দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট কেটে মুনাফা অর্জন কিছু ব্যবসায়ীর বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো উদ্যোগ সরকারের নেই। স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন সিন্ডিকেটই এখন সরকার চালায় বলে মনে করা হয়।

এই অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এই বাজেট নিয়েও সাধারণ মানুষের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ রয়েছে। বাজেটেও সরকার ধনীদের প্রতি যতটা সদয় ভাব দেখিয়েছে, গরিবদের প্রতি ততটাই নির্দয় বলে মনে হয়েছে। বিশেষ করে ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) যাদের রয়েছে, তাদের রিটার্ন দাখিলে সর্বনিম্ন কর ২ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক পরিশোধের বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এটা পুনর্বিবেচনার কথা বলেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যে তিনিই অনেকটা ‘রেশনাল’ কথাবার্তা বলেন। এটা বাদ দেওয়া হলে সরকার প্রশংসিত হবে।

কয়েক দিন ধরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের তারা ভিসা দেবে না।

এই ভিসানীতিতে বিরোধী দলগুলো উজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকার পক্ষ নিয়ে বিএনপিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। তবে সরকার যে এই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে খুশি নয়, তা স্পষ্ট হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কে আমাদের ভিসা দেবে না, নিষেধাজ্ঞা দেবে, ও নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নাই। ২০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেখানেই আমরা যাতায়াত করব, বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে, মজবুত হবে, আরও চাঙা হবে।’ প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন বটে, বাস্তবে আমেরিকা যেতে চায় না, এমন মানুষ দেশে পাওয়া কঠিন। আমেরিকা অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভোট যারা চুরি করে, ভোট নিয়ে যারা চিরদিন খেলছে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছে, আমি তাদের (আমেরিকা) বলব, ওই সন্ত্রাসী দলের দিকে নজর দিন। কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই সন্ত্রাসী ও দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা তারেক রহমানকে ভিসা দেয়নি। তারা (বিএনপি) আবার তাদের (আমেরিকা) কাছে ধরনা দেয়। এত কিছু বলতে চাই না।’

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অবাধ হয়নি- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা নির্বাচন অবাধটা শিখল কোথা থেকে? ওরা অবাধ নির্বাচন তো করতেই জানে না। ভোট চুরি করে সারাজীবন চলছে। তারা নিজেও চোর, সবাইকে চোর দেখে। জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করে তারা সম্পদের মালিক।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা কথায় কথায় আমাদের সমালোচনা করে, কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষকে কী দিয়েছিল? হাজার হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে। খালেদা জিয়ার দুই ছেলের মানি লন্ডারিং করা ৪০ কোটি টাকা উদ্ধার করে আনতে সক্ষম হয়েছি। এটা তারা ভুলে গেছে। এখনো বাইরে বসে তারা সমানে চোরা টাকা দিয়ে, আর জামায়াতে ইসলামী, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীরা মিলে আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ করার চেষ্টা করে।’ প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্যে সত্যতা থাকলেও মানুষ দেখছে, বর্তমান আওয়ামী লীগও বিএনপি-জামায়াতের ধারায়ই চলছে। লুটপাট অব্যাহত আছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক আছে।

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টিও রাজনৈতিক মহলে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বলা হচ্ছে, কোন্দলের কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও বড় সংকটে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিভেদ বাড়ছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পর দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালী নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধিদের স্বার্থগত দ্বন্দ্বের জেরে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

এতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনার পরও কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের দৌরাত্ম্য ও দুঃসাহস বেড়েই চলেছে। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন ঘিরে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারাও।

স্থানীয় রাজনীতির গ্রুপিং ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজ দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিতেও পিছপা হচ্ছেন না অনেক নেতাকর্মী। তাদের দ্বন্দ্বে ডুবছে নৌকা। আবার এমন অভিযোগও আছে যে, অনেক এলাকায় কোন্দলের পেছনে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও দায় রয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা।

গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়া পেয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। অভিযোগ আছে, নিজেদের স্বার্থে কিংবা পক্ষপাতমূলকভাবে কোনো কোনো নেতা দলীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল জিইয়ে রাখছেন। এসব নেতার কারণে তৃণমূলের নানা সমস্যা ও সংকটের খবর দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী।

এটা স্বীকার করতেই হবে যে, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তি দুই-ই বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় এখন জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী নেতাকর্মীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ দীর্ঘ সময়ে ভোটের রাজনীতিতে শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষ মাঠে না থাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিজেরাই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে রীতিমতো অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন এসব নেতা। এক্ষেত্রে দলের নীতি-নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বরিশালে সিটিং মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ পুনরায় মেয়র পদে মনোনয়ন না পাওয়ায় ভোটের মাঠে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। এবার বরিশালে মেয়রপদে নৌকা পেয়েছেন সাদিকের আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। চাচা-ভাতিজার এ দ্বন্দ্বের সুযোগ কাজে লাগাতে খোকনকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাদিকের বিরোধী বলয়ের নেতাকর্মীরা, যারা বরিশালের রাজনীতিতে নিজেদের বঞ্চিত বলে মনে করেন। দলীয় প্রার্থীকে ঘিরে বিরোধীদের অতি-উৎসাহের কারণে সাদিকপন্থি নেতাকর্মীরা মাঠে নামছেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে বরিশালের নির্বাচন পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় টিম গঠন করে দেওয়ার পরও কোন্দল নিরসনের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

সিলেটেও নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে কাজ না করলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামানকে দলীয় প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ অংশটিকে এখনও মাঠে নামানো যায়নি।

এটা জানা যে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হওয়ায় অনেকেই খুব সহজে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তা দেখে আরও অনেকের মনে ধারণা জন্মেছে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া খুব সহজ ব্যাপার। তাই এমপি হতে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে বর্তমান অনেক এমপি কিংবা এমপি হতে আগ্রহী অনেক নেতা জয়ী হতে পারবেন কি না তা নিয়ে স্পষ্ট সংশয় রয়েছে। তারপরও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন অনেকে। তাদের ঘিরে বাড়ছে বিভেদ-সংঘাত।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। এখানে অনেক কিছু নিয়ে মতপার্থক্য থাকে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি ভিন্ন। সেখানে আমাদের দলের সভাপতির নেতৃত্বে নির্বাচনে সব কার্যক্রম চলে। নেত্রীর সিদ্ধান্তে কারও মধ্যে কোনো মতপার্থক্য থাকে না। তাই জাতীয় নির্বাচনে এ ধরনের কোনো সমস্যা থাকবে না।’

দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দেখতে চায়, সমস্যামুক্ত আওয়ামী লীগ এবং সব ধরনের সংকট উত্তরণে সক্ষম আওয়ামী লীগ। কারণ দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকলেও আওয়ামী লীগের বিকল্প ভালো রাজনৈতিক দল এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি। দেশের এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেক দফা আওয়ামী লীগ সরকারই কাম্য।

লেখক: রাজনীতিক, লেখক ও মহাপরিচালক, বিএফডিআর।

এইচআর/ফারুক/জেআইএম

দেশের মানুষ ও আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও দেখতে চায়, সমস্যামুক্ত আওয়ামী লীগ এবং সব ধরনের সংকট উত্তরণে সক্ষম আওয়ামী লীগ। কারণ দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকলেও আওয়ামী লীগের বিকল্প ভালো রাজনৈতিক দল এখনো দেশে গড়ে ওঠেনি। দেশের এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেক দফা আওয়ামী লীগ সরকারই কাম্য।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।