পঙ্কজ ভট্টাচার্য
বাংলাদেশের বাম-প্রগতিশীল রাজনীতির দিকপাল জীবনসারথি
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণের জন্য জীবনভর সংগ্রামশীল ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। এই বাংলার জল-মাটি-মানুষকে তিনি হৃদয়ের উষ্ণতা ও গভীর ভালোবাসার জীয়নকাঠির ছোঁয়ায় আপন করে নিয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনের সকল চাওয়া-পাওয়া তুচ্ছ ভেবে দেশব্রতীতে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের সকল অর্থ।
সে কারণেই পঙ্কজ ভট্টাচার্য নিজেকে আকাশের মতো উদার আর অবারিত করতে পেরেছিলেন সমাজ-সভ্যতা, দেশ ও মানুষের জন্য। নীতিনিষ্ঠ বাম-প্রগতিশীল রাজনীতির এই জীবনসারথি পুরুষ পঙ্কজ ভট্টাচার্য গতকাল ২৩ এপ্রিল রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ৮৪ বছর বয়সে চলে গেলেন অনন্তলোকে। রেখে গেলেন এক বর্ণাঢ্য কর্মময় সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে। এই গ্রামেই জন্মেছিলেন অগ্নিযুগের বিপ্লবীপুরুষ সূর্যসেন ও মহাকবি নবীন চন্দ্র সেন। তাই বলা চলে, পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন রত্মগর্ভা ভূমিপুত্র। জন্মভূমির স্বাদেশিকতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পঙ্কজ ভট্টাচার্যের শৈশব-ছোঁয়া কৈশোরে, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে এবং পরিণত বয়সেও জীবনের গতিপথ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে বিপুলভাবে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য সুশিক্ষিত, প্রগতিশীল বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাঁর পিতা প্রফুল্ল কুমার ভট্টাচার্য ছিলেন উচ্চশিক্ষিত সংস্কারমনা স্কুলশিক্ষক। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। মা মনিকুন্তলা দেবী ছিলেন তৎকালীন সামাজিক অচলায়তন ভাঙা মহীয়ষী নারী। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের পিতা-মাতা ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি ভীষণভাবে অনুরক্ত এবং বিপ্লবীদের নিরাপদ আশ্রয়। পিতামহ রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ছিলেন চট্টগ্রামের একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী ও সমাজ সংস্কারক। সুতরাং পারিবারিক পরিমণ্ডলেই পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রগতিশীলতার শপথ নিয়েছিলেন। তাঁর জীবনে উদ্দামতার স্রোত তৈরি হয়েছিল আপন ঘর থেকেই।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনের শুরু চট্টগ্রামের কলিজিয়েট স্কুলে। এরপর পড়েছেন মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে। জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীদের ভাবশিষ্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য পাকিস্তানী শাসকদের অন্যায্য কার্যক্রমের প্রতিবাদ করতে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন স্কুলজীবনেই। চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব আন্দোলনে তিনি হয়ে ওঠেন তেজোদীপ্ত মেধাবী ছাত্রনেতা।
এরপর ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখন আইয়ূব খানের সামরিক শাসন এবং বৈরী-বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বিস্ফোরন্মুখ। প্রতিদিন ঝাঁঝালো মিছিলে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সেই উত্তাপে পঙ্কজ ভট্টাচার্য জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতির সাথে। ১৯৬২ সালে শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। নেতৃত্বের গুণে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য সামরিক শাসনবিরোধী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনে বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে স্বৈরশাসক আইয়ূব খান তাঁর বিরুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র মামলা’ দিয়ে তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং সাংগঠনিক সক্ষমতার কারণে ১৯৭০ সালে পার্টি তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক নির্বাচিত করে। ১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলার স্বাধীনতার স্বর্ণদ্বীপে বিজয়ের পতাকা উত্তোলনে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের অবদান অসাধারণ। ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত তিনি সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং কারারুদ্ধ হন। ১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখা তৈরিতে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
এরপর ১৯৯৩ সালে দেশের রাজনীতি এবং শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম গড়ে তুলতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে গণফোরাম থেকে বেরিয়ে ২০১০ সালে গণঐক্য গঠন করেন। অতপর গণঐক্য বিলুপ্ত করে ২০১৩ সালে ঐক্য ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মৃত্যু অবধি ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ছিলেন।
১৯৭৪ সালে পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের তৎকালীন ভিপি আরেক রাজনীতিমগ্ন নারী রাখী দাশ পুরোকায়স্থ’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সমাজহিতৈষী নিঃসন্তান এই দম্পতির যৌথজীবনে মানুষের কল্যাণব্রত ছাড়া আর কিছু ছিল না।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের রাজনীতি ছিল সমাজ বদলের। তিনি বিশ্বাস করতেন সমাজ বদলের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রের চরিত্রে গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। সেই সম্ভাবনার স্বপ্নেই রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থাকে শুদ্ধ করার প্রয়াসে তিনি ১৯৯৮ সালে ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় নিয়ামক ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির শাশ্বত অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল তাঁর রাজনীতির প্রাণশক্তি। সে কারণেই সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত ঝড়ে আপন জন্মমাটি হতে উপড়ে পড়া যেকোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিপন্ন মানুষের পাশে তিনি সাহসী সহকর্মী হিসেবে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছেন আজীবন। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন সবসময়।
অন্তরালোকিত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের যাত্রা ছিল শেকড়মুখি। সবসময় তিনি জাতীয়তাবাদী চেতনায় সম্ভাবনা দেখতেন, দেখতেন আলোর দিশা। মানবমুক্তির পথরেখা নির্মাণের কারিগর হিসেবে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন তিনি প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায়, ছিলেন সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। তিনি ছিলেন প্রান্তজনের রাজনীতিক, মানবতার রাজনীতিক।
মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে তিনি যেমন সক্রিয় ছিলেন, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার বিষয়েও ছিলেন আন্তরিক। পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচিতে তিনি নিজ তাগিদেই হাজির হতেন। কথা বলতেন সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন বিদগ্ধ পাঠক। তাঁর পাঠবিচরণের ক্ষেত্র ছিল যথেষ্ট বিস্তৃত। লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রজীবন থেকেই। পত্র-পত্রিকায় লিখতেন। সমকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়কে আলেখ্য করে তিনি লিখেছেন- “জীবন থেকে পাঠ”, “পীর হবিবুর রহমান: তাঁর জীবন ও সময়”, “ন্যাপ কমিউস্ট পার্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন”, “আপনহারা দিনগুলি”, “আমার সেইসব দিন”-সহ বেশ কয়েকটি গ্রন্থ।
এসব বইয়ে গভীরাশ্রয়ী সমাজ ভাবনা ও জীবন দর্শনের সন্ধান মেলে, যা আমাদের জন্য আকরগ্রন্থ হিসেবে কাজে লাগবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক যেকোনো সমস্যা-সংকটে গণমাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকার দিতেন নিঃশঙ্কচিত্তে গভীর অন্তর্দৃষ্টির আলোকে- বর্তমান ও ভবিষ্যতকে সামনে রেখে।
তিনি ছিলেন অসাধারণ বক্তা। তাঁর দরাজ কণ্ঠে ছন্দ-পতনহীন বক্তব্যে আগুন ঝরতো। তাঁর বক্তব্য সাধারণ মানুষকে মোহবিষ্ট করত, করত উদ্দীপ্ত ও সাহসী। পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন ক্রীড়ামোদি মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি ছিল।
রাজনৈতিক সহকর্মীদের প্রতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সংবেদনশীল দায়িত্ববোধ তাঁকে অন্যমাত্রা দিয়েছে। মৃত্যুবরণকারী সহকর্মীদের সংসারের খোঁজ-খবর রাখা, সন্তানদের পড়ালেখা, কর্মজীবন এবং বিয়ে-শাদির মতো বিষয়কে তিনি নিজের দায়িত্ব বলে মনে করতেন। পঙ্কজ ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং সতীর্থের জগৎ বিশাল ও বিস্তীর্ণ। এই জগতে তিনি ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে পঙ্কজ ভট্টাচার্য কোনোদিন মেকি অভিনয় করেননি, কেনা-বেচার হাটে উঠেননি কোনোদিন। উচ্চারণে-অনুচ্চারণে যেভাবেই হোক তিনি সম্মতি দিলে মন্ত্রী হতে পারতেন বহুবার। কিন্তু তিনি সে পথে হাঁটেননি কখনো। তাঁর সমকালীন রাজনীতিকদের অনেকেই রাজনীতি করে বিত্তশালী হয়েছেন, হয়েছেন প্রত্যক্ষ কিংবা নেপথ্য ব্যবসায়ী। কিন্তু পঙ্কজ ভট্টাচার্য কোনোটিই হননি। তবে তিনি হয়েছেন বাংলার মৃত্তিকালগ্ন মানুষের কাছে এক মানব অন্তপ্রাণ রাজনীতিকের মুখচ্ছবি।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য দল ভেঙেছেন, দল গড়েছেন- বদলেছেনও, তবে আদর্শ বদলাননি। যৌবনের প্রারম্ভে মাতৃভূমিকে সকল মানুষের বাসযোগ্য, মর্যাদাপূর্ণ এক প্রান্তরে পরিণত করার যে ব্রত নিয়ে তিনি স্বপ্নচারী হয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন-সাধনাকে ঘিরেই আমৃত্যু সংগ্রামশীল ছিলেন নানা কর্মধারায়। দেশ-মাতৃভূমির সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটে অশীতিপর বয়সেও তিনি অসুস্থ শরীরে, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় পথ চিনে ছুটে বেড়িয়েছেন দিন-রাত বিরামহীনভাবে- বাংলাদেশের শহর-বন্দর-গ্রামে। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সাথে।
দেশে রাজনৈতিক দুর্যোগ চলছে। মূল্যবোধহীন অন্ধকার পথে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন আজ বিপর্যস্ত। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে মুক্তির পথ দেখানো মানুষের সংখ্যা একেবারেই শেষ। এই কৃষ্ণসময়ে পঙ্কজ ভট্টাচার্য চলে গেলেন অনন্তলোকে। দীর্ঘ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবতার রাজনীতি করে পঙ্কজ ভট্টাচার্য হয়ে উঠেছিলেন পরিশীলিত রাজনীতির ধ্রুবতারা। সকল অন্যায়-অবিচারের বিপরীতে বাধার বিন্ধ্যাচল।
মূল্যবোধের খরাপীড়িত রাজনীতির দেশে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের এই চৈতন্য নির্ভর রাজনীতিকে মরুর বুকে বিশুষ্ক তরুমূলে জীবনবারী নিষিক্তের মতো মনে হতে পারে, মনে হতে পারে তাঁর এই শ্রমকর্ম সবই ছিল অযথা, বৃথা দৌঁড়াদৌঁড়ি। কিন্তু না, সব কষ্ট, সব শ্রম ব্যর্থ হয় না। হতে পারে না। আমরা আত্মবিশ্বাসে নির্ভার হয়ে বলতে পারি, কলুষিত এই রাজনীতির বাঁক বদল ঘটবেই। আজ না হোক- নিকট আগামীতে। সে কারণেই পঙ্কজ ভট্টাচার্যের জীবনের সফলতা-ব্যর্থতার হিসেব কষার প্রয়োজন নেই। সারাজীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন, এটিই বড় কথা, এখানেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব।
ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রতিকূল পরিস্থিতির জটিল সমীকরণেও রাজনীতির হিরণ্ময় ব্যক্তিত্ব পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঋষিকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায় সাহসী উচ্চারণে বলতে পেরেছেন ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’ এখানেই পঙ্কজ দা’কে নিয়ে আমাদের অহংকার। আমাদের প্রশান্তি।
ইতিহাসের বহু রাজনৈতির বাঁকবদলের কারিগর, ধীমান কর্মচঞ্চল আভাময় পুরুষ সদ্য প্রয়াত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের জীবনস্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক - রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এইচআর/জেআইএম