ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ কবে?

প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম
প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আমাদের দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এর মধ্যে অতিদরিদ্র দেড় কোটির মতো। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে-..‘দরিদ্রদের কল্যাণে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে দেশে সামাজিক নিরাপত্তাবলয় পরিচালিত হয়। এসব খাতে ১২৩টি কর্মসূচি চলমান। কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষকে ভাতা ও খাদ্যসহায়তা দিয়ে থাকে।’ আমাদের দেশের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় অটুট রাখার জন্য এসব তথ্য খুবই আশাপ্রদ।

তবে প্রতিদিন সকালের আলো ফুটতেই যে জিনিসটি দৃশ্যমান তা হলো- চারদিকে ব্যাপক হারে ভিক্ষুকের উপস্থিতি। দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা আসলে কত তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। দেশে পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের অন্তর্ভুক্ত হিসাব করা হলেও এক জরিপে দেখা গেছে- একটি মেট্রোপলিটন আবাসিকে প্রতিদিন গড়ে বাইশ জন ভিক্ষুক দরজায় কড়া নাড়তে আসে।

প্রতি শুক্রবার ভিক্ষুক ও সাহায্যপ্রার্থী মিলে এই সংখ্যা ৬০-৭০ জনে পৌঁছায়! তারা ঢাকাসহ দেশের অনেক শহরে বহুতল দালান বাড়ির সদর দরজায়ই অতিক্রম করতে পারে না। সামাজিক নিরাপত্তার কার্ডবিহীন ভিক্ষুকরা অতীতের ন্যায় মানুষের বসতবাড়িতে প্রবেশাধিকার না পেলে জীবন বাঁচানোর নিরাপত্তা পাবে কোথায়?

আমাদের দেশে দৃশ্যমান অপ্রিয় বৃত্তিগুলোর মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বৃত্তি। ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে অনেকে অভিহিত করেন। কিন্তু পেশার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে ভিক্ষাকে পেশা বলা যায় না। ভিক্ষুকদের জন্য লিখিত পেশাদারী প্রতিষ্ঠান, পেশাদারী শিক্ষা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। এটা যখন ইচ্ছে যে কেউ করতে পারে, ছাড়তে পারে। তাই এটা বৃত্তি। ভিক্ষাকে ভুল করে পেশা বলা হলেও পেশার মানদণ্ডে কোন স্বীকৃত পেশা নয়।

ভিক্ষাবৃত্তি জীবন বাঁচানোর জন্য একটি উপায়, একটি কৌশল। যেটা আদিকাল থেকে দেশে দেশে সৃষ্টি হয়েছে। নানা ঘটনায়, কারণে-অকারণে হয়েছে বিস্তৃত ও ব্যাপৃত। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সাধারণ সামাজিক সমস্যা হলেও বাংলাদেশে এটি একটি ভয়ানক সামাজিক সমস্যা।

আমাদের ভিক্ষাবৃত্তি করা মানুষের সংখ্যার সঠিক হিসেব নেই। তবে ২০২০ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বলা হয়েছিল শুধু রাজধানীতে ৫০ হাজার নিয়মিত ভিক্ষুক রয়েছে। এক এনজিও বলেছিল রাজধানীতে এই সংখ্যা আড়াই লক্ষ। এরা দৈনিক ২০ কোটি টাকার ভিক্ষাবাণিজ্য করে থাকে। মাসে এদের আয়কৃত টাকার পরিমাণ ৬০০ কোটি।

জাতীয় সংসদে জানুয়ারি ২০২০ সালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ভিক্ষুকদের সংখ্যা নিরুপণের জন্য সমন্বিতভাবে কোনো জরিপ পরিচালিত হয়নি। বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক ও উপপরিচালক সমাজসেবা দপ্তরের ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য চাহিদাপত্রের তথ্যানুযায়ী দেশে মোট আড়াই লক্ষ ভিক্ষুক রয়েছে।

দেশের মোট জনসংখ্যার ০.১৭ ভাগ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এদের পুনর্বাসনের জন্য মোট ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। সেই চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে চার কোটি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পাঁচ কোটি টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাত্র ১২ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়। যা নিতান্তই অপ্রতুল।

আমাদের মোট জনসংখ্যা ষোল কোটির মধ্যে প্রায় তিনকোটি মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এদের মধ্যে অর্ধেক মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। সরকারিভাবে ভিক্ষুকের যে পরিসংখ্যান বলা হয় তা সঠিক নয়। সেখানে ‘ইনডেপথ’ সামাজিক জরিপ ছাড়াই প্রকৃত ভিক্ষুক সংখ্যা নির্ধারণ করা হলেও ভাড়াটিয়া ভিক্ষুক, ছদ্মবেশী প্রতারক ভিক্ষুক ও ধনী ভিক্ষুকদের কথা হয়তো অনেকের নিকট অজানা।

প্রকৃত ভিক্ষুকরা আর্থিক, দৈহিক, মানসিক, পারিবেশিক ও সামাজিকভাবে কোনো না কোনো কারণে অসহায় হয়ে চরম অভাবী হয়ে যায়। তারা নিজের থেকে কোন কর্মসংস্থান করতে না পেরে ভিক্ষুক হয়ে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়। তবে এরা ভিক্ষা করতে বেশ লজ্জা পায়। মানুষকে বিরক্ত করে না এবং একবার যাঞ্চা করে সামান্য সাহায্য পেলেই খুব খুশি হয়।

ভাড়াটিয়া ভিক্ষুকরা চরম নিরীহ ও অসহায় ভিক্ষুকের শ্রেণিভুক্ত। তারা প্রতারণার শিকার হয়ে ভিক্ষবৃত্তি করতে বাধ্য হয়। এদের মালিক থাকে আড়ালে। মালিকরা এসব ভিক্ষুকদেরকে ভিক্ষার কাজে লাগায় এবং রোজগারের সব অর্থ হাতিয়ে নেয়। ভাড়াটিয়া ভিক্ষুকরা সাধারণত চরম অসুস্থ, বিকলাঙ্গ, শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে থাকে।

তাদেরকে ভিক্ষার কাজে লাগানো হয় সামান্য থাকা-খাওয়া প্রদানের বিনিময়ে। এরা চরমভাবে নির্যাতিত ও প্রতারিত হলেও কোনোরুপ প্রতিবাদ করার উপায় খুঁজে পায় না। তরে যারা মালিকদের খপ্পর থেকে কোনোরকমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা আবার নতুন করে ভিন্ন জায়গায় প্রতারক ভিক্ষুক সেজে মাঠে নেমে পড়ে।

প্রতারক ভিক্ষুকরা আসল ভিক্ষুক নয়। তারা আর্থিক, দৈহিক, মানসিকভাবে অনেকটা সবল। কিন্তু প্রতারণা ও ভণিতার মাধ্যমে ভিক্ষুক সেজে মানুষের কাছে বার বার যাঞ্চা করে সাহায্য চায়। তারা অল্পে তুষ্ট হয় না। সরাসরি সাহায্য না পেলে নানা রকম এমনকি অনলাইনের ফাঁদ পেতেও ভিক্ষা আদায় করতে তৎপরতা চালায়। এদেরকে অনেকে পেশাদার ভিক্ষুক বলে থাকেন। এরা সমাজের জন্য ভয়ংকর।

ধনী ভিক্ষুকরা বড় ভিক্ষা-ব্যবসায়ী। এরা আর্থিক, দৈহিক, মানসিক, পারিবেশিক ও সামাজিকভাবে পরোপুরি সবল ও সফল। এরা শিক্ষিত, ভদ্র, মেধাবী, ক্ষমতাধর সবকিছুই বলা যায়। তবে এরা খাই খাই স্বভাবের হয়ে থাকে এবং মনের মধ্যে চরম কৃপণতা পোষণ করে, কখনই অল্পে তুষ্ট হয় না। নিজের অনেক সম্পদ থাকার পরও অন্যের কাছে হাত পাতে।

এরা স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যের অপব্যবহার করে অন্যায় কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে শুধু শুধু অর্থ-সম্পদ জমা করে। আমাদের সমাজে এক শ্রেণির মানুষরা এই ধরণের ভিক্ষাবৃত্তিকে নেশায় পরিণত করে ফেলে। ভিক্ষুকের আরো হয়তো নানা প্রকারভেদ রয়েছে। তবে প্রকৃত ভিক্ষুকরা মানুষ ও সমাজের তেমন কোনো ক্ষতি করে না। তারা অনেকটাই নিরীহ প্রকৃতির জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বাদসাধে তখনই যখন প্রতারক ও ধনীভিক্ষুকের ভিক্ষাবৃত্তি ভয়ংকর নেশায় পরিণত হয়।

প্রতারক ও ধনী ভিক্ষুকের উৎপাত আমাদের সমাজ নানা ভাবে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এদের নির্লজ্জ পদচারণা এখন সব জায়গায় বিস্তৃত। প্রতারক ও ধনী ভিক্ষুকের দৌরাত্ম্য ছিনতাই, রাহাজানি, সাইবার ক্রাইমসহ আরো বড় বড় সামাজিক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে প্রতিদিন।

প্রথমত, এরা চোর ডাকাতের ‘থাপইত’বা তথ্যদাতা। ভিক্ষার নামে এরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ‘রেকি’ করে। দিনের বেলা ‘রেকি’ করে ও রাতের বেলা নিজেরা চুরি করে। নতুবা চোরকে রেকি করে জায়গাগুলো চিনিয়ে দেয়। বিশেষ করে নির্জন এলাকায় বসবাসরত গৃহস্থ, প্রবাসীদের বাড়ি, দোকান, গুদাম, অফিস ইত্যাদি তাদের টার্গেট। মেধাবী, ধনী ও ক্ষমতাধর ভিক্ষুকরা বড় বড় জায়গায় ফাঁদ পাতে। তারা মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানী, ব্যাংকের অর্থ সটকানো ইত্যাদির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তারা নিত্যনতুন কৌশলের উপায় খুঁজে প্রশস্ত করে দেয় চুরি করার পথ।

দ্বিতীয়ত, এরা দিনে ভিক্ষা করে এবং রাতের বেলা চুরি-ছিনতাই করে। প্রথমে সাহায্যের জন্য হাত পাতে তারপর সুযোগ বুঝে পথচারীকে আক্রমণ করে বসে। কারণ তাদের সহযোগীরা তাদের আশেপাশেই থেকে মোবাইল ফোনে সংকেত পায়।

তৃতীয়ত প্রতারক ভিক্ষুকরা প্রায়শই মিথ্যা কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করে। ভুয়া ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ কেনা, টিউমার অপারেশন করা, হাসপাতালে স্বজন ভর্তি হওয়া ইত্যাদির কথা বলে। এজন্য তারা ভুয়া এক্সরে রিপোর্ট, নানা রোগের ছবি, অঙ্গহানির বিদঘুটে ছবি ইত্যাদি সঙ্গে করে এনে মানুষকে দেখিয়ে করুণা আদায় করে।

আরেকদল ভিক্ষুক আছে যারা মেয়ের বিয়ে, সন্তান ভর্তি, বই কেনা, ঘর মেরামত করা, শিগগির গর্ভে সন্তান হবে, খাবার নেই ইত্যাদির কথা বলে বার বার যাঞ্চা করে বিরক্ত করে এবং এক সময় অর্থ আদায় করে ছাড়ে। তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের ভিক্ষার কথা বাদ দিলাম।

চলাচল করতে সক্ষম ভিক্ষুকরা কেউ নির্দিষ্ট জায়গায় একবার আসে কেউ সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে একই কথা বলে। আবার কেউ কেউ একক জায়গায় একক কথা বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করে।

চতুর্থত এদের প্রতারণার বড় ভয়ংকর দিকটি হলো তারা সুস্থ হয়েও পঙ্গু সেজে বেড়ায়। পা বেঁধে, হাত নুলা করে, চোখ কানা করে, মুখে ছ্যাঁকা দিয়ে চেহারা বিদঘুটে বানানো হয়। এজন্য তাদেরকে বিকলাঙ্গ বানানোর মিশন রয়েছে। বিকলাঙ্গ বানানোর পর নতুন করে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। মালিক গোপনে তাদের ট্রেনিং দেয়। উচ্চস্বরে চিৎকার, কান্না, ধর্মীয় সংলাপ, দোয়া, বদদোয়া, ভয় দেখানো, জেদ করা, অভিশাপ ইত্যাদিও তাদেরকে মুখস্থ করানো হয়।

সাধারণত জনবহুল জায়গা, শপিংমল, বাসস্টান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন, হাসপাতালগেট, এটিএম বুথ, স্কুলগেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গন, মসজিদ-কবরস্থানের চত্ত্বর এসব স্থানে বিকলাঙ্গ ভিক্ষুকদেরকে বসিয়ে রেখে যায় তাদের মাফিয়া মালিক নিয়োজিত লাইনম্যানরা। তারা গোপনে এদের কাজকে পর্যবেক্ষণ করে। নির্দিষ্ট সময় শেষে গোপনে এসে উপার্জিত অর্থ অর্থ সরিয়ে নেয়। রাতে অসহায় ভিক্ষুকদের ভিক্ষার অর্থ গ্যাংলিডার ও লাইনম্যানেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।

হঠাৎ মোবাইল কোর্ট বা পুলিশি তৎপরতা দেখলে বা কোনো অবস্থার বেগতিক পরিস্থিতিতে দ্রুতগতিতে ভিক্ষুকদেরকে নিয়ে সরিয়ে নিয়ে সটকে পড়ে। এজন্য এসব ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা যায় না। ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৩০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২৬০০ জন ভিক্ষুককে আটক করা হয়েছিল। পুনর্বাসন কেন্দ্রে এত ভিক্ষুককে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ১৮০৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ঢাকায় ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ১৭টি। বিমানবন্দর, কূটনৈতিক জোন, পাঁচতারকা হোটেল, বেইলি রোড, মিন্টু রোড, সংসদ এলাকা ইত্যাদি। কিন্তু কে শোনে সেসব কথা? কূটনৈতিক জোনের রাস্তায় সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়ালেই চারদিকে থেকে শত শত নারী-পুরুষ-শিশু ভিক্ষুক এসে জানালায় টোকা দিয়ে ভিক্ষা খোঁজে সারাদিন-রাত। কারণ এরা কুচক্রী ভিক্ষা-ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যারা বিভিন্ন কারণে আইনের লোকেদের ভয় পায় না। এই ভিক্ষাচক্র ভাঙ্গার কোন নীতি-পরিকল্পনা গ্রহণ না করে শুধু ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর কথা নিয়ে ভাবলে কখনই ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

এই ব্যাপক ভিক্ষাবৃত্তির উপস্থিতি দেশের প্রায় সব জায়গায় সবসময় দৃশ্যমান। আমাদের দেশের হতদারিদ্র্যাবস্থার ভেতরের চিত্রকে কতিপয় ধনী ভিক্ষা-ব্যবসায়ীরা জিইয়ে রেখে মজা লুটছে। তাইতো এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক ব্যাধি। এই ভিক্ষাব্যাধির সুচিকিৎসা করতে না পারলে স্মার্ট বা ফিটফাট বাংলাদেশ গড়া সহজ নয়। অনেকের সাথে তাইতো প্রশ্ন জাগে ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জামুক্ত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে কবে?

লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন। [email protected]

এইচআর/জেআইএম

ব্যাপক ভিক্ষাবৃত্তির উপস্থিতি দেশের প্রায় সব জায়গায় সবসময় দৃশ্যমান। আমাদের দেশের হতদারিদ্র্যাবস্থার ভেতরের চিত্রকে কতিপয় ধনী ভিক্ষা-ব্যবসায়ীরা জিইয়ে রেখে মজা লুটছে। তাইতো এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক ব্যাধি। এই ভিক্ষাব্যাধির সুচিকিৎসা করতে না পারলে স্মার্ট বা ফিটফাট বাংলাদেশ গড়া সহজ নয়। অনেকের সাথে তাইতো প্রশ্ন জাগে ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জামুক্ত একটি স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব হবে কবে?

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।