প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

স্বস্তি নিয়ে ফিরবেন তো?

বিভুরঞ্জন সরকার
বিভুরঞ্জন সরকার বিভুরঞ্জন সরকার
প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি গেছেন। মঙ্গলবার এই লেখা যখন পাঠক পড়বেন তখন দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর শীর্ষ বৈঠক হবে একই স্থানে, হায়দরাবাদ হাউসে। সফরে কী কী বিষয় আলোচনায় আসবে, তা সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আগাম জানিয়ে বলেছেন, ‘অনিষ্পন্ন বিষয়’-এ কী করে এগোনো যায়, ‘গতিশীল সম্পর্ক’ কী করে সুসংহত করা যায় এবং দ্বিপক্ষীয় ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ’ কী করে মোকাবিলা করা যায়— সে সব বিষয় আলোচনায় আসবে।

অনিষ্পন্ন বিষয়ের মধ্যে এক নম্বরে থাকার কথা তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকা চুক্তি স্বাক্ষর। কিন্তু আলোচনা তিস্তা প্রসঙ্গ বাংলাদেশ তুললেও ভারত কি বিষয়টি ফয়সালা করবে। খবর হলো ভারত তিস্তা এবারও ভবিষ্যতের হাতে ছেড়ে দেবে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কিছু পেতে হলে কিছু দিতেও হবে। এই খানে ভারতের নেতৃত্ব ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই বড়। ছোট প্রতিবেশীদের প্রতি ‘বড় ভাই’ সুলভ মনোভাব পরিহার করে ভারতকে সংবেদনশীল হতে হবে। আবেগ এড়িয়ে দক্ষ ও সৃজনশীল কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে নজর বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয়রা উদার না হলে যে তিস্তাসহ অভিন্ন অবশিষ্ট ৫৩ নদীর পানি ভাগাভাগি এবং পানি সদ্ব্যবহারের সুযোগ যে আসবে না, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে শেখ হাসিনার এক বক্তব্যে। পানি ভাগাভাগির ‘সমস্যা ভারতে’ উল্লেখ করে তিনি ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পানি যেহেতু ভারত থেকে আসে, ভারতের উচিত আরও উদার হওয়া। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। পানির অভাবে আমাদের দেশের মানুষকে অনেক ভুগতে হয়। বিশেষ করে তিস্তা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়। ফসল ফলানো যায় না। আমি মনে করি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’ পানি সমস্যার সমাধান ভারতের ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, ভারতের উচিত উদার মানসিকতা দেখানো। উদার মানসিকতা এবার দেখা যাবে সেরকম কোনো খবরও নেই।

বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান সম্পর্ক কেমন? পররাষ্ট্রমন্ত্র্রী আবদুল মোমেন রোববার বলেছেন, ‘আদর্শ সম্পর্ক’। আবার দুই দেশের সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ চমৎকার, সর্বকালের ‘সর্বোত্তম’সহ বহু বিশেষণে বর্ণনা করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে পদস্থ সব পর্যায়ের প্রায় সবার মুখের ভাষার সঙ্গে দেহের ভাষাও বদলে গেছে। বলা হচ্ছে, ৫১ বছরে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের যেমন ভারতে যাওয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে, তেমনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সংখ্যাও বেড়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা দেওয়ার বিষয়টি আগের তুলনায় সহজ করেছে। গত এক দশকে নানা সন্দেহ, অবিশ্বাস, বঞ্চনার অনুভূতি সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে দুই দেশ যেসব বিষয়ে চুক্তি করেছে, সেটি একটি সময়ে অনেকে ভাবতেও পারেননি।

এ সময়ের মধ্যে ভারতে সরকার বদল হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে এখনো কোনো ভাটা পড়েনি। ছিটমহল বিনিময়, ভারতকে সড়কপথে ট্রানজিট দেওয়া, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি কিংবা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে বাংলাদেশের সহায়তা- এসব কিছুতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে।

বাইরে যাই বলা হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বার্থ সম্পর্কিত বহু অনিষ্পন্ন বিষয় দু’দেশের সম্পর্কের কাঁটা হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশে অনেকেই এটা মনে করেন, বাংলাদেশ ভারতকে দিয়েছে বেশি, পেয়েছে কম। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। বড় দেশ হিসেবে ভারত প্রতিবেশী ছোট দেশ বা দেশসমূহের প্রতি উদার মনোভাব দেখানো প্রত্যাশিত ছিল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ বছরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় না দেওয়াসহ নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট সব সমস্যা সমাধান করেছে বাংলাদেশ। নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের সড়ক, রেল, নৌ ও সমুদ্রপথে আন্তসংযোগ প্রতিষ্ঠাসহ বহু বিষয়ে সুযোগ করে নিয়েছে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে ভারত গড়িমসি করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রীরা কিছু না বললেও স্পষ্ট করেই নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতের রাষ্ট্রীয় আচার ভেঙে দিল্লির সামরিক বিমান ঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে স্বাগত জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে। দ্বিপক্ষীয় আলাপ শেষে তাকে (হাসিনা) পাশে রেখে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সংবাদ সম্মেলনে মোদী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার (মোদী) মেয়াদের মধ্যেই তিস্তার পানি ভাগাভাগির চুক্তি হবে। তার সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিস্তায়ও বয়ে গেছে বহু জল। চুক্তি আর হয়নি। ভারতীয় পক্ষের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের ব্যবধান ঘোচেনি বলে চুক্তিটি হচ্ছে না।

ভারত সফরকে সামনে রেখে এএনআই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এ সাক্ষাৎকারটি রোববার প্রচার করেছে। মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফেরার বিষয়টি কীভাবে দেখেন— এমন এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে।

বিজ্ঞাপন

‘স্থিতিশীলতার স্বার্থে’ বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া সম্পর্কিত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের সূত্রে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এবারের বৈঠকে আলোচনা করা হবে কি না— এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয় নয়। বর্তমান জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে ভারতের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সেপা), বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, কুশিয়ারাসহ অভিন্ন কয়েকটি নদীর পানিবণ্টন, গঙ্গা-পদ্মাসহ নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ গুরুত্ব পাবে বলে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা জানান।

ওই কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ঋণে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে বেশ দ্বিমত আছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিএসএফের সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। এছাড়া প্রতিরক্ষা ঋণ চুক্তিবিষয়ক সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ সীমান্তের চারপাশে অনেক স্থানে বিশেষ ধরনের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের দাবি নিয়েও বেশ চাপ আছে বাংলাদেশের ওপর। এসব বিষয়ই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে কুশিয়ারার পানি ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলওয়ে, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সাহায্য চাওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলায় দুই দেশেই যে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তার খুব নির্মম উপসংহার টেনেছে ভারতের পুরোনো পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যান। পত্রিকাটি বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে বলেছে, এই মন্তব্যে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে যে ইঙ্গিত গেছে, তা হলো পররাষ্ট্রনীতি ও দর্শন নির্ধারণে বাংলাদেশের পেশাদার কূটনীতিকদের সামর্থ্য মানসম্মত নয় (এ স্টর্ম দ্যাট ক্লাউড হার্ট টাইস)। এ রকম পটভূমিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের গুরুত্বই আলাদা।

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হলে রাজনৈতিক বোঝাপড়া অত্যন্ত জরুরি। সুসম্পর্ক ও সহযোগিতার ভিত্তিতেই উভয় দেশ এগিয়ে যেতে পারে। এ সম্পর্কের বিকাশ দরকষাকষির ভিত্তিতেই হতে হবে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া বাংলাদেশের জনগণের আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত একটি অধিকার। এর সঙ্গে দেশের লাখ লাখ মানুষের স্বার্থ জড়িত। আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে ভারতের ইতিবাচক ভূমিকা পালন, আসাম রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি)-বাদ পড়া ৪০ লাখ নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশকে প্রভাবিত না করার প্রশ্ন। আমাদের নেতারা জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নেবেন, দেশবাসী এটাই প্রত্যাশা করে।

বাংলাদেশ ও ভারত ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ, কিন্তু দু’দেশের সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে স্থাপিত হয়নি। বস্তুত এই দু’দেশের আয়তন ও প্রভাবের মধ্যে ফারাক এত বিপুল যে চট করেই অর্থপূর্ণ সমতা আশা করা কঠিন। দুই রাষ্ট্রই পারস্পরিক স্বার্থের সর্বোচ্চ উপযোগ গ্রহণের নীতিতে চালিত হয়। এতে করে ছোট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সব সময় বঞ্চনার পাত্রটিকেই বহন করতে হয়। তবে যুদ্ধ করে, বয়কট করে এ সমস্যার কোনো সমাধানে উপনীত হওয়া যাবে না। সমস্যা সমাধানে লাগসই কূটনীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, ভারত আমাদের সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিবেশী, বাণিজ্য থেকে জাতীয় নিরাপত্তা, নদীর পানি থেকে পেঁয়াজ, অনেক ব্যাপারেই এ দেশটির ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকতে হয়। ফলে সমতার সম্পর্ক নিয়ে যত কথাই বলি না কেন, ভারতের ইতিবাচক মনোভাবের ওপর আমাদের অনেকটাই নির্ভরশীল হতে হয়।

আর বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা আপাত ‘মধুর’ হলেও ভেতরে ভেতরে অনেকটাই অবিশ্বাসের। দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করা অনুচিত। হয়নি। দেশে দেশে সম্পর্ক তৈরি হয় শ্রদ্ধা-ভালোবাসা-সহমর্মিতা ও সহযোগিতার ওপর। কেউ কারও স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যকে সাহায্য করবে না, পাশে দাঁড়াবে না। বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে।

কিছু পেতে হলে কিছু দিতেও হবে। এখানে ভারতের নেতৃত্ব ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই বড়। ছোট প্রতিবেশীদের প্রতি ‘বড় ভাই’ সুলভ মনোভাব পরিহার করে ভারতকে সংবেদনশীল হতে হবে। আবেগ এড়িয়ে দক্ষ ও সৃজনশীল কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে নজর বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞাপন

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট।

এইচআর/ফারুক/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।