ভয়ংকর একটি দিন ১৭ আগস্ট

ড. মিল্টন বিশ্বাস
ড. মিল্টন বিশ্বাস ড. মিল্টন বিশ্বাস , অধ্যাপক, কলামিস্ট
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২

‘আল্লাহর আইন কায়েম ও প্রচলিত বিচার পদ্ধতি’ বাতিলের দাবি জানিয়ে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩ জেলার প্রায় পাঁচশ’ স্পটে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। এতে দু’জন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

এই সিরিজ বোমা হামলার পর জঙ্গিরা যে আলটিমেটাম দিয়েছিল তার ভিত্তিতেই তারা সুইসাইডাল অ্যাটাক করতে থাকে। জুডিসিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে যারা জড়িত, জুডিসিয়াল প্রসেসের সঙ্গে নিবেদিত, অর্থাৎ বিচারক, উকিল ও পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এই তিন শ্রেণির ওপরই একাধিক হামলা করে বেশ কিছু ব্যক্তিকে হতাহত করে তারা। আসলে সেদিন ছিল বাংলাদেশের মানুষের জন্য কঠিন এক দুঃসময়।

বিএনপি-জামায়াত জোট তখন ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে। সেই আমলে ঘটেছে বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার পাঁয়তারা। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে। শেখ হাসিনার ওপর সেই ভয়ংকর হামলার এক বছর অতিবাহিত হওয়ার আগেই শোকাবহ আগস্টেই ঘটে দেশব্যাপী বোমা হামলার ঘটনা। আগস্ট পরিণত হয় বিএনপি-জামায়াত তথা স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য উল্লাসের মাস। আর সাধারণ মানুষের কাছে এই মাস শোক ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের প্রতিজ্ঞার সময়।

অবশ্য আজ এই ২০২২ সালে যুদ্ধ সংকটের মধ্যেও আমরা নতুন প্রত্যাশায় উজ্জীবিত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিসানের মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের পর জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে সগৌরবে দাঁড়িয়েছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপদে যার যার ধর্ম পালন করছে; বাঙালির আবহমান উৎসবসমূহ নির্বিঘ্নে উদযাপিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছি। দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিজেদের আয় বৃদ্ধি করে সচ্ছলতা এনেছে নিজ পরিবারে।

উন্নয়নের সঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব প্রাধান্য পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহ রক্ষা পাচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু জঙ্গিগোষ্ঠীর নানা অপতৎপরতার ইতিহাসও আমাদের মনে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত ১৩ বছর দেশজুড়ে নাশকতার প্রস্তুতি ও ধ্বংসাত্মক কাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানে অনেকে ধরাও পড়েছে।

এই অভিযান কেবল নয় বিচার ও শাস্তি হওয়া পর্যন্ত আমাদের দেখতে হবে জঙ্গি সদস্যরা নির্মূল হচ্ছে কি না। কেবল আইনি প্রক্রিয়া নয় সামাজিকভাবে তাদের প্রতিরোধ করাও জরুরি। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করে তরুণ সমাজকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে অনুপ্রাণিত করতে হবে।

বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে জঙ্গিগোষ্ঠীরা বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটাতে সর্বদা সচেষ্ট। আমরা জানি, যে কোনো ‘যুদ্ধবাজ’ সংগঠনকে ‘জঙ্গি’ এবং তাদের মতবাদকে ‘জঙ্গিবাদ’ বলা হয়। জঙ্গিবাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘যুদ্ধকেই’ তারা একটি আদর্শ বলে গ্রহণ করে।

সহিংসতা তাদের মোক্ষম হাতিয়ার। জঙ্গিবাদীরা আক্রমণাত্মক আদর্শের অনুসারী এবং নিজেদের মতাদর্শকে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ মতাদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে। এদেশের জঙ্গিবাদীরা তাদের মতাদর্শের ধর্মীয়করণ ঘটিয়েছে। যেমন- ইসলামী জঙ্গিবাদ। আর সেই বিভ্রান্তিকর ধর্মীয় চেতনা ও মতাদর্শের আধিপত্য কায়েমের জন্য সেই মতাদর্শের শত্রুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র নিষ্ঠুর ক্ষমাহীন সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে উদার মানবতাবাদ ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ফ্যাসিবাদী হিটলারের মতোই সব জঙ্গিবাদীর সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ এবং যুদ্ধ করে নিজের মতবাদ ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা। মূলত ধর্মীয় জঙ্গিবাদীরা নিজেদের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী। যেমন ইসলামী জঙ্গিরা সব বিধর্মীর বিরুদ্ধে জিহাদ, ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের আহ্বান জানায়। কেবল ব্যক্তি নয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মুসলমান শাসক তাদের মতাদর্শের বিরুদ্ধে থাকলে সহিংস কর্মকাণ্ড ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সেই ক্ষমতাবানদেরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় জঙ্গিরা। বাংলাদেশে একাধিক জঙ্গিবাদী সংগঠনের অপতৎপরতা রয়েছে।

বাংলাদেশে এ যাবত চিহ্নিত জঙ্গি দল, গ্রুপ বা শক্তির সংখ্যা মোট ১২৫টি বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে কোনটি হয়তো শুধু একটি ইউনিয়নের মধ্যেই কাজ করছে। কোনটি হয়তো একটি অঞ্চলে কাজ চালায়, কোনটি সারাদেশে কাজ করে আবার কোনটির নেটওয়ার্ক হয়তো আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিস্তৃত রয়েছে। এই ১২৫টি সংগঠনের কোনটিই কোনটি থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, যদিও আপাতদৃষ্টিতে এদের নাম, কর্মক্ষেত্র, নেতৃত্ব পরস্পর পৃথক বলে মনে হয়, কিন্তু এদের মূল যোগাযোগের ক্ষেত্রটি হচ্ছে ইসলাম কায়েমের জন্য ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা’ দখলের অভিন্ন লক্ষ্য।

এদের সবার গুরু হচ্ছে প্রধান ইসলামী রাজনৈতিক দল বর্তমানে নিবন্ধনহীন ‘‘জামায়াতে ইসলামী’’। যেমন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২৯ মার্চ ২০০৭ সালে যে শীর্ষ জঙ্গিদের ফাঁসি কার্যকর করে তাদের সবারই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই অতীতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। ১৫ জুন ২০০৭ সালে দৈনিক পত্রিকা থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজন জেএমবি সদস্য অতীতে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছিল।

বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ১৯৭২ সালে আমরা যে সংবিধানটি পেয়েছিলাম তাতে ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালি-জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র পরস্পর অবিচ্ছেদ্যভাবে মিলেছিল এবং তখন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব স্বাভাবিকভাবেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশের ইতিহাস উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেন মেজর জিয়া। তাঁর শাসনকালেই ধর্মভিত্তিক দলের রাজনীতি পুনরায় শুরু হয় এবং ধর্মীয় জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করে।

১৯৮০-এর দশকে আফগান-সোভিয়েত যুদ্ধে আমেরিকা ও পাকিস্তান আফগানিস্তানকে সহায়তা করে। এই যুদ্ধে আফগানিস্তানের পক্ষে জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ বেশ কিছু বাংলাদেশী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এরা পাকিস্তানে আইএসআই-এর অধীনে এবং আফগানিস্তানে তালেবানদের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরে এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি প্যালেস্টাইন ও চেচনিয়া যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল। এরা প্রায় সবাই বাংলাদেশে ফিরে আসে।

এসব যুদ্ধ ফেরত সদস্যরাই পরে বাংলাদেশে আইএসআই/তালেবান ও আল-কায়দার স্থানীয় সদস্য হিসেবে এদেশে আইএসআই/এলইটির (লস্কর-ই-তৈয়বা) এজেন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত আশির দশকের পর জামায়াতসহ মৌলবাদী সংগঠন ও তালেবানপন্থী গোষ্ঠী সংগঠিত হয়ে রাজনীতির আড়ালে ও ইসলামের নামে জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও তালেবান রাষ্ট্র বানানোর একই অভীষ্ট লক্ষ্যে কাজ শুরু করে।

১৯৯১-এ জামায়াতের সমর্থনসহ বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ১৯৯২ সালে জামায়াতের সহযোগিতায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠন ‘হরকাতুল জিহাদ’ আত্মপ্রকাশ করে প্রকাশ্যে জিহাদের ঘোষণা দেয়। পরে কথিত জিহাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন চালুর অভিন্ন আদর্শে জামায়াত ও ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলো একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ চালাতে থাকে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৬ পর্যন্ত সারাদেশজুড়ে জঙ্গিবাদের বিস্ময়কর উত্থান বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দেয়। কারণ জোট প্রশাসন জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিল। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে জেএমবি’র দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা একইসূত্রে গাথা।

জঙ্গিবাদ ও নাশকতা নির্মূলে বর্তমান সরকার গত ১৩ বছরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে অনেকগুলো জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে পুরানো ও নব্য জেএমবি’র সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যায়। তারা পারস্পরিক নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও পুলিশ-র্যাবের ধারাবাহিক অভিযানের কারণে সাংগঠনিকভাবে সংঘবদ্ধ হতে পারছে না। তবে তাদের অপতৎপরতা থেমে নেই। খণ্ড-বিখণ্ড জেএমবি’র ছোট ছোট গ্রুপগুলো নাশকতা চালাতে ছক কষছে সারাক্ষণই। অবশ্য বড় ধরনের হামলা করার মতো এখন তাদের কোনও সক্ষমতা নেই।

উপরন্তু হামলার পর মামলা ও দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কারণেও জঙ্গিবাদের অবসান ঘটছে দেশের মাটি থেকে। উল্লেখ্য, জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশে ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয় ২৪২ জনকে। পরে অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় পুলিশ ১১০৬ জনকে অভিযুক্ত করে ১৪৯টি মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় আদালতে। এর মধ্যে ১০টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল।

অপর ৪৬টি মামলা আদালতে এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আর অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে ৯৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে ৯৩ টির রায়ে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে ৩২০ জনকে সাজা দেন আদালত। তাদের মধ্যে ২৭ জনকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। খালাস দেওয়া হয় ৩৪৯ জনকে। কারাগারে আটক অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সাত জঙ্গির। ঢাকা মহানগরীর ৩৩ স্পটে বোমা হামলার ঘটনায় ১৮টি মামলা হয়। এর মধ্যে চারটি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে যায়। অপর ১৪টি মামলার ২টির রায় দেওয়া হয়েছে। লেখাবাহুল্য, বিচারব্যবস্থার শ্রমনিষ্ঠতায় জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে।

বর্তমান সরকারের আমলে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিবাদীদের অপতৎপরতা ও নাশকতার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্কতার জন্য সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ‘মুজিববর্ষ’ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং করোনা মহামারির মধ্যেও কয়েকটি গোষ্ঠীর জঙ্গি তৎপরতা ছিল বলে ধারণা করা হয়। এজন্য সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিবাদীদের কর্মকাণ্ডের ওপর। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি ও হিযবুত তাহরির এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর যোগাযোগ রয়েছে।

অর্থাৎ এদের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে তালেবানী রাষ্ট্র বা খিলাফতের ব্যবস্থা কায়েম করা। সন্ত্রাসবাদের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে দলগুলো। বর্তমানে জামায়াত, হিযবুত তাহরির ও অন্যান্য মৌলবাদী দল একত্রিত হয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। একজন বাঙালি ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করা আর আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা একই কথা।

তবে মনে রাখতে হবে, মানবতাবিরোধী চক্র যারা নাশকতার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তান বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়ে তারা এখন নিশ্চিহ্ন। তবে গোপনে সংগঠিত জঙ্গিবাদী অন্যান্য গোষ্ঠী তাদের অপকৌশল বজায় রেখেছে। রুখতে হবে তাদের; তাদের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার; যেন আর কখনো জঙ্গিবাদী তৎপরতায় মানুষের জীবন বিপন্ন না হয়। ১৭ আগস্ট এখন জঙ্গিবাদ তফাত যাওয়ার দিন।

লেখক : বঙ্গবন্ধু গবেষক, বিশিষ্ট লেখক, কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

এইচআর/জেআইএম

গোপনে সংগঠিত জঙ্গিবাদী অন্যান্য গোষ্ঠী তাদের অপকৌশল বজায় রেখেছে। রুখতে হবে তাদের; তাদের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার; যেন আর কখনো জঙ্গিবাদী তৎপরতায় মানুষের জীবন বিপন্ন না হয়। ১৭ আগস্ট এখন জঙ্গিবাদ তফাত যাওয়ার দিন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।