বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক 'পদ্মা সেতু'

ফারাজী আজমল হোসেন
ফারাজী আজমল হোসেন ফারাজী আজমল হোসেন
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২৪ জুন ২০২২

 

সবকিছুতেই নেতিবাচক ইস্যু খোঁজা মানুষগুলো ইদানীং বেশ হতাশ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টকশো, কলাম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা বক্তব্য নিয়ে হাসি-তামাশা চলছে হরহামেশা। এ জন্যই হয়ত বলা হয়, 'ডুবন্ত মানুষ খড়কুটো ধরে বেঁচে থাকতে চায়'।

ঐ একই দশা তাদের। তবে যা যাই বলুক না কেনো, পদ্মা সেতু নিয়ে দারুণ ইতিবাচক মনোভাব সাধারণ মানুষের মাঝে। পদ্মা সেতু আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকেই এই সেতু নির্মাণের সাহস দেখিয়েছেন, তাই এখন কূটনৈতিক পাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রে।

পদ্মা সেতু নিয়ে 'আইরন লেডি'র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক তথা বিশ্বের অপরাপর অনেক রাষ্ট্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে যখন তিনি দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে 'বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে', এমন মন্তব্যও করেন অনেকে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি তৎকালীন সময় 'সরকারের পতন', 'দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা', 'স্বেচ্ছাচারিতা' এমন শব্দগুলো বারবার উচ্চারণ করেছেন অনেকেই। অনেক পত্রিকাও সে সময় শিরোনাম করেছে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু দিন শেষে তাদের সকল হুশিয়ারি ও সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সফল বঙ্গবন্ধু কন্যা।

সেতুর উদ্বোধন হবে আগামীকাল। এখন মনে পড়ছে বিভিন্ন সমালোচনার কথা। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক সভায় বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, 'পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে বানানো সেতুতে, কেউ উঠবেও না।'

রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে এমন সুর তোলার বিষয়টি বোধগম্য হলেও কিছু সুশীল কেনো সে সময় রাজনীতিবিদদের সুরে কথা বলেছিলো তা এক বিস্ময়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পদ্মা সেতু নিয়ে বলেছিলেন, দুর্নীতি আমাদের কীভাবে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ এটি (পদ্মা সেতু)। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

এদিকে চুরি না করেও চোরের অপবাদ নিতে বাধ্য করা হচ্ছিলো তখন বাংলাদেশকে। দুর্নীতির যেই অভিযোগ করা হয়েছিলো তা সরাসরি অস্বীকার করার কারণে বেশ নাখোশ ছিলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তার ভাষ্যমতে, 'অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব হলো অভিযোগ অস্বীকার করে যাওয়া। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দাতাগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি (সরকার)।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার সামর্থ্য আছে কিনা দুদকের, সেটি নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা তাদের আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে সে সময়ের দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি জানান, তাকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিলো পদত্যাগের জন্য। সেই সঙ্গে দেশ ত্যাগের জন্যও বলা হয়। তাকে প্রলোভন দেখানো হয় ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বা আন্তর্জাতিক কন সংস্থায় উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের।

তিনি এ সময় আরো জানান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এই সেতু নির্মাণকে ঘিরে। সে সময়ে সংবাদমাধ্যমে ড. মসিউর রহমান আর্তি জানিয়ে বলেছিলেন, আপনাদের কাছে আমি সহানুভূতি চাই। আপনারা আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।

শেষমেশ বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টাকে, দেড় মাস জেল খাটেন সেতু সচিব, ২০১২'র ৫ জানুয়ারি পদত্যাগই করতে হয় তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে। দফায় দফায় তাদের হাজিরা দিতে হয় দুদকে। সৈয়দ আবুল হোসেন ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, কোনো অসৎ কাজে প্রাক্তন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন জড়িত নয়।

২০১২ সালের ২৫ জুলাই লন্ডনে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যখন (পদ্মা সেতুতে) পরামর্শক নিয়োগের বিষয় এলো, তখন একটা কোম্পানির জন্য তারা (বিশ্বব্যাংক) বার বার চাপ দিচ্ছিল সরকারকে এবং যোগাযোগমন্ত্রীকে। যেন ওই কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়। এখন যদি আমি প্রশ্ন করি, বিশ্বব্যাংক কত পার্সেন্ট টাকা খেয়ে ওই কোম্পানির জন্য তদবির করেছে?

এ দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে কোন দুর্নীতি হয়নি, তার প্রমাণ প্রদান করে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় দেন কানাডার আদালত। রায়ে বলা হয়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। কিন্তু নিন্দুকের মুখ এরপরও থামানো যায়নি। পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়তে থাকে সর্বত্র।

পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হচ্ছে স্বপ্নের এ সেতু।

পদ্মা নদীর মাওয়া পয়েন্টে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ফরিদপুর জেলাগুলোর উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করবে যা বিস্তৃত হবে খুলনা ও সাতক্ষীরা পর্যন্ত। দেশের দক্ষিণে বসবাসরত জনজীবনের জীবনমান উন্নয়নসহ স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত ও বাজার সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

এ অঞ্চলের উৎপাদিত কাঁচামাল দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহের সুযোগ তৈরি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে পদ্মা সেতু। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এই সেতুটি শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১-এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। চলাচল সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মা সেতু। এ সেতু দেশের ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

এ ছাড়া দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। দারিদ্র্যের হার কমবে দশমিক ৮৪ শতাংশ। নতুন করে গড়ে উঠবে ভারি শিল্পকারখানা। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর মাধ্যমে অর্থনীতিতে সরাসরি তিন ধরনের সুবিধা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করবে। বিনিয়োগ বাড়বে। কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাবে। এ সেতুর ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার হবে। বিশেষ করে ভারতের বাণিজ্য বাড়াতে মোংলা বন্দর ব্যবহার করা যাবে।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সেতু নির্মিত হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে, যা দেশের অভ্যন্তরে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডর খুলে যাবে। এ সেতুকে ঘিরে বিশদ অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেতু ঘিরে পদ্মার দু'পারে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায় মাত্র।

এডিবির সমীক্ষা অনুসারে, পদ্মা সেতু দিয়ে ২০২২ সালে যে ২৪ হাজার যানবাহন চলবে, তার মধ্যে বাস চলবে ৮ হাজার ২৩৮টি, ট্রাক ১০ হাজার ২৪৪টি, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে ৫ হাজারের বেশি। সমীক্ষায় আরো প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০২৫ সালে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৮০০টি। ২০৩০ সালে হবে ৩৬ হাজার ৭৮৫। ২০৪০ সালে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৮০৭টি।

অন্যদিকে জাইকার সমীক্ষামতে, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের ১ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে আঞ্চলিক জিডিপি বৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। দক্ষিণবঙ্গে শিল্পায়নের গতি ব্যাপক বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অসামান্য অবকাঠামোগুলোর একটি।

২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মহামারী করোনাকে পাশ কাটিয়ে মাত্র ৮ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের সামনে পদ্মা সেতুকে বাস্তবরূপে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতুকে ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকদের বিবৃতিতে বারবার উঠে এসেছে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কথা। নিজ দেশকে বিশ্বের সামনে মাথা নত করতে দেননি বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আজন্ম যোদ্ধা ও অকুতোভয়ী এক জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।

পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে তৈরির চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করা এবং অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাওয়ার মত দুঃসাহসিক কাজ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিন্দুকেরা বলেছিলো, বিশ্ব ব্যাংককে ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে চরম ভুল করেছে আওয়ামী লীগ, এর ফলে বিদেশী বিনিয়োগ ও রিজার্ভ সংকট তৈরি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলের মুখে চপেটাঘাত করে প্রতি বছর রিজার্ভে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজও।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করছি আমরা। তার হাত ধরেই এক সময় উন্নত দেশের সোপানেও পদার্পণ করবে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখে যে কোন দেশ প্রেমিকের মুখ থেকে অজান্তে বেরিয়ে আসবে যেই শব্দ, তা হলো 'জয় বাংলা'।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

এইচআর/এমএস

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করছি আমরা। তার হাত ধরেই এক সময় উন্নত দেশের সোপানেও পদার্পণ করবে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখে যে কোন দেশ প্রেমিকের মুখ থেকে অজান্তে বেরিয়ে আসবে যেই শব্দ, তা হলো 'জয় বাংলা'।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।