চাই দায়িত্বশীলতা

প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম
প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রফেসর ড. মো. ফখরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ০১ নভেম্বর ২০২১

আবেগী মানুষ গিজ গিজ করছে আমাদের দেশে। আবেগ থেকে আতিথেয়তার নানা বাস্তব কাহিনীও আমাদের অনেকের জানা আছে। বাড়িতে অতিথি এলে ঘরে কিছু না থাকলেও নিজের দারিদ্র্য বা অভাব গোপন করে আপ্যায়ন করার জন্য খুপরির একমাত্র ডিমপাড়া মুরগীটি জবাই করে দাওয়াত খাওয়ানোর ঐতিহ্য আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এখনও প্রচলিত। শহরের ছাত্রাবাসে শোয়ার জায়গা না থাকলেও একটি কক্ষে মেঝেতে যতজন শোয়া যায় ততজন শিক্ষার্থীকে থাকার জন্য ঠাঁই দেয়া হয় এখনও। কিছু না থাকলেও মায়া-মমতায় জড়াজড়ি করে বাস করা যেন আমাদের কৃষ্টি, আমাদের অস্থি-মজ্জার সাথে মিশে আছে।

এতো গেল আমাদের চিরায়ত আত্মার বন্ধনের কথা। কিন্তু আজকাল দিন বদলেছে। আবেগ থেকে অতি আবেগ, ভাল আবেগ থেকে অতি মন্দ আবেগ আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্যকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিয়েছে। মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে গেছে। ভাল বিবেক মন্দ আবেগের কাছে বন্দী হয়ে পড়েছে। চারদিকে অঘটনঘটন পটিয়সীরা, ষড়যন্ত্র করে যন্ত্রণা তৈরি করে চলছে। লোভ-লালসা, মিথ্যা, চালাকি, দখলবাজি দেশের মাথা থেকে পা পর্যন্ত গেঁথে বসেছে। সেটা থেকে প্রতারণা, ঘুষ-দুর্নীতি, জালিয়াতি, বাটপারি মানুষের মনে জাায়গা করে নিয়েছে। শুধু অভাব নয়, বরং অবৈধ পন্থায় গজিয়ে উঠা বিত্তশালীদের ঘরে জন্ম নিচ্ছে অপরাধের নতুন ছানা-পোনারা। অনবরত অবহেলা, অযত্নে ফুলের মত শিশুরা প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে ভয়ংকর অপরাধী হয়ে উঠছে।

পরিবারে নিজ শিশুদের ছোটখাটো অপরাধকে বাবা-মায়েরা পাত্তা না দেয়ার ফলে তারা গোপনে ভয়ংকরভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং। সম্প্রতি শাহরুখ খানের ছেলের সংগে এক অভিজাত ঘরের সন্তানদের নিয়ে বিলাসবহুল সমুদ্র ভ্রমণের আড়ালে মাদক পার্টির গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ার কাহিনী ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। আমাদের দেশে কিশোর অপরাধের মাত্রা বেড়ে গিয়ে চরম বিপর্যের মুখে পড়েছে সামাজিক স্থিতিশীলতার গাঁথুনি। বিনষ্ট হয়ে পড়ছে পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মূল অপরাধীর টিকিটি স্পর্শ করতে গিয়ে বিব্রত হয়ে পেশাদারী জবাবদিহিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চিহ্নিত গডফাদারদের হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রিয় হতে চলেছে অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারীদের কর্মকাণ্ড। মূল অপরাধীকে বাঁচানোর চালাকি ও কারসাজি সৃষ্টি হওয়ায় আমাদের দেশে এক ঘৃণ্য সামাজিক কৃষ্টি লালন করার প্রবণতা গোটা সমাজ ও দেশকে এক ভয়ংকর ভাঙনের মুখে ঠেলে দিয়েছে। শুরু হয়েছে জজ মিয়া নামক নিত্য নতুন রূপকাথার নাটক তৈরির হিড়িক। এ থেকে ঘুষ-দুর্নীতি আরো বেশি লাই পেয়ে বটবৃক্ষে পরিণত হতে চলেছে। আমরা খবরে কি দেখছি, কি-বা শুনছি প্রতিদিন?

গত ২৬ অক্টোবর রাজনৈতিক সহিংসতা বাদ দিয়ে শুধু জমি-জমা ও পারিবারিক কলহ থেকে ১১টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধানক্ষেতে ছয় বছরের শিশু জেমির বস্তাবন্দী লাশ (প্রাপ্তি প্রসঙ্গ ২৫.১০.২০২১), রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নেতা মুহিবুল্লা খুনের পর আরো সাতজন খুন (প্রথম আলো ২৬.১০.২০২১), ছাদ থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা, কোন একটি পরিবারের তিনজন সদস্যের গলাকাটা লাশ পুকুরে ভাসিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। করোনা, ডেঙ্গু চলা অবস্থাতেই বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক হতাশা ও অস্থিরতা থেকে এসব অপমৃত্যু ও খুনের ব্যাপকতা শুরু হয়ে গেছে। এ কোন ভঙ্গুর অশান্তিকর সমাজে বাস করছি আমরা?

সামাজিক অস্থিরতা থেকে মানুষের চিরায়ত নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে গিয়ে এক নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চুরি করে টিকে থাকার প্রবণতা থেকে আমাদের সমাজের কোন মানুষের মন যেন মুক্ত নয়। নিজেকে টিকে রাখতে সবকিছুকে ভেঙেচুরে জলাঞ্জলি দেবার আক্রোশ তৈরি হয়েছে আমাদের মনের মধ্যে। এটাই যেন আমাদের সামাজিক শিক্ষা। এই ক্ষোভ ও আক্রোশের সাথে দলবাজি ও হীন রাজনৈতিক মিথ জড়িয়ে এক অতি বর্বর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি পুজোকে কেন্দ্র করে চালাকি ও দাঙ্গা ছড়ানোর মত উস্কানি দেবার উপাদান আমাদের সমাজের কিছু মানুষ ছড়িয়ে দিতে দ্বিধা করেনি। এর পরিণতি তারা জেনেও না জানার ভান করেছেন ও এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।

এর শেকড়ের গভীরতা মাটির অনেক ভিতরে রয়েছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র থাকার আভাস পেয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলেদের বর্বর বিমান হামলা কেন ছিল? সেটা অনেকেই জানেন। তার কিছুদিন পর তাইওয়ানের ওপর শত শত বোমারু বিমানের বার বার চক্কর দেয়ার ভিডিও অনেকেই দেখেছেন। এগুলো কিসের আভাষ? বর্বর যুগের মাৎস্যন্যায় কি আধুনিক সভ্য মানুষ মেনে নেবে? কোন জাতির মানুষের দেহের মধ্যে একবিন্দু রক্ত থাকতে তা হতে দেবার কথা নয়। তবুও মানুষ সবকিছু শুধু নিজের করে দখলে নিতে চায়। লোভ-লালসা মানুষের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। তা না হলে একটি বাস দুর্ঘটনায় পতিত হলে কেউ মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে যায়, কেউ যায় পকেটের মানিব্যাগ বা গলার স্বর্ণের অলংকার খসিয়ে নিজের করে নিয়ে পালাতে। এই তো মানুষের ধর্ম এখন। আগে মানুষ মিথ্যে বলতে ভয় করতো- এখন সত্যি কথা স্বীকার করতে ভয় পায়। পাছে কোন বিপদ হয় সেই ভেবে মুখ তালাবন্ধ করে রাখে।

এখন দু’ধরনের মানুষ সমাজে বাস করে। একদল অতি সাধারণ, অন্যদল উঠতি টাকাওয়ালা যারা লোক দেখানো ভন্ডামি করে। কেউ মুখে বলে চুরি করা মহাপাপ। আবার তিনিই কেউ চুরি করে এনে কিছু উপহার দিলে মহাখুশি হন। এমন মোনাফেক ব্যক্তিতে দুনিয়াটা ভরে গেছে। তারাই এখন মহারথি। তাহলে তাদেরকে কে সামাল দেবে? নিশ্চয়ই করোনা নামক অদৃশ্য শক্তি তখন আসতে বাধ্য! কারণ অনবরত সাধারণের কান্না শোনার জন্য আর কে এগিয়ে আসার আছে? অসহায়দের কান্না শুনে যার এগিয়ে আসার কথা তারা তো আসে ধীরলয়ে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির আশায়। এই যদি পরিস্থিতি তাহলে সমাজের কল্যাণ হবে কোন অলৌকিক ব্যবস্থায়?

সত্য গর্তের ভেতরে ঢুকে গেলে সেই লুক্কায়িত সত্যকে গর্ত থেকে বের করে আনবে কে? আগামীর সূর্যরা তো মাদকাসক্ত। তারা হয়ে পড়েছে কিশোর অপরাধী-গড়েছে কিশোর-যুব গ্যাং কালচার। তাদের হাতে যে আধুনিক প্রযুক্তি আছে সেটাকে আমাদের সনাতনী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রুধিতে অক্ষম আজ। কারণ, তোয়াজ করে বড় বড় দায়িত্ব পেয়ে বহু মেধাহীন নেতা বা বসরা বকলম হয়ে কেরানীকে ধমক ও গালিগালাজ করে দিয়ে সময় নষ্ট করে। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে ট্রাফিক জ্যামে পড়ে রাস্তায় বসে অফিস যাওয়া-আসা করতেই দিনের অর্ধেক সময় ব্যয় করা আমাদের মজ্জাগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সমাধান কোথায়? দেশের ইনিটেলিজেন্স ব্যবস্থার দুর্বলতাও এর বাইরে নয়। যে কোন ঘটনা ঘটার পর আমরা তৎপরতা শুরু করি। দুর্ঘটনার আভাস আগে জানি না কেন? জানলেও চুপ ত্বরিৎ অ্যাকশন না নিয়ে সময় ক্ষেপণ করে অপেক্ষায় থাকি কার সিদ্ধান্তের জন্য? নদীতে অকস্মাৎ পানি বৃদ্ধি, মাদক, দাঙ্গা, চোরাচালানি ইত্যাদির তথ্য তো নিউরনে থাকার কথা সকল ইনিটেলিজেন্স কর্তৃপক্ষের।

অনেক মেধাবীরা বিদেশে পাড়ি জমিয়ে আর দেশে ফেরার নাম নিচ্ছে না। বিদেশে বসে দেশের অপ-সিস্টেমের তামাশা দেখছে আর সমালোচনা করছে। কারণ, দেশে কাজ করতে তারা অনীহ, দেশের জন্য ইতিবাচক সমালোচনা করতেও তারা নারাজ। বিপদ হতে পারে বলে তারা ক্রমাগত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এর নেতিবাচক দিক হলো ভালদের সাথে ভাল কিছুর প্রতিযোগিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। এভাবে সামাজিক ও মেধাগত শূন্যতা তৈরি হওয়ায় মেধাহীনরা অনৈতিক পন্থায় তোয়াজ-তোষণের রাজনীতিতে জায়গা দখল করে নিয়েছে। পীরগঞ্জের জেলে পল্লীতে আগুন লাগানোর ঘটনা কি কোন নৈতিকতাসম্পন্ন মেধাবীর কাজ ছিল?

বিন্দুমাত্র সততার লেশ থাকলে সে মানুষের ঘরে আগুন লাগানোর কাজ করতে পারে? সেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে একজন আইন প্রণেতা দাবি করেছিলেন- কোন পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজন চাকুরি করতে পারবে না! এটা কোন ধরনের মূর্খতা? নারীরা কি সারাজীবন নির্ভরশীল থাকবে? শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না? এভাবে জাতীয়ভাবে দেশে গন্ডমূর্খরা নীতির কারিগর হচ্ছে। মেধাশূন্যতা তৈরি হওয়ায় আমরা দিন দিন বেশি বেতন দিয়ে ভাড়া করা বিদেশি মেধার কাছে ধর্না দিতে বাধ্য হচ্ছি। মেগা প্রজেক্টে বিদেশি কনসালটেন্ট আমদানী করছি। কাজ শেষে ওরা নিজ দেশে চলে যাবার পর আমাদের কোন বিপদ হলে কে রুধিবে তখন?

করোনাকালে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ডিজিটাল নেটের ফাঁদে আমরা জড়িয়ে গিয়েছি। এই অবস্থা থেকে ফায়ারওয়াল নামক প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য যে কুশলী মানুষ ও শ্রম দরকার তা আমাদের খুব সেঁকেলে। একজন অনভিজ্ঞ ডাক্তার যেমন রোগ ধরতে না পেরে রোগীকে এক বোঝা ওষুধ দেন তেমনি আমাদের দেশে একটি দুর্ঘটনা বা নিছক ঘটনা ঘটলে হাজার নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। এমন বাস্তবতাগুলো আজ আর গুজব নয়।

আজকাল গুজবকে সত্যি ও সত্যিকে গুজব বলার প্রবণতা তৈরি করা হয় সুকৌশলে। এজন্য মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে সমাজে হতাশা নিয়ে বসবাস করে। ফলে একটি ছোট সন্দেহ বড় সন্দেহ সৃষ্টি করে। সেটাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে মহা-গুজবে রূপান্তর করে ফেলে ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরি করে ফেলে। এসব সত্যি কথা বলতে গেলে মহারথিরা সাফাই গেয়ে অপরাধীদেরকে আড়াল করার জন্য তৎপর হন। ফলে সমাজে অপরাধীরা ভয় তো পাচ্ছেই না অধিকন্তু দিন দিন আরো বেশি অপরাধ করার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

অনেক মহারথী ভয়ংকর অপরাধকেও গুজব বলে উড়িয়ে দেন। এসব গুজব বন্ধ করার জন্য শুধু ইন্টারনেট, ওয়াইফাই বা মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়াটা বোকামি। তাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। কারণ, অপরাধীরা দেশের সরকারি- বেসরকারি নেটওয়ার্ক বন্ধ পেলেও তারা তাদের গোপন ও আন্তর্জাতিক আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারে পারঙ্গম। এতে তাদের আরা বেশি সুবিধে হয়। কারণ, আনাড়ি দায়িত্বপ্রাপ্তরা তখন কিছুই জানতে না পেরে অন্ধকারে থাকে।

এসব কাজে প্রশিক্ষিত কুশলী, ধড়িবাজ সন্ধানী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা তাদের নির্দেশনায় আমাদের সাজানো নাটক বুঝতে পেরে দূরে বসে মিটমিট করে হাসে। তাই গোঁজামিলের মাধ্যমে যে কোন আর্থ-সামাজিক, আইনি অপরাধমূলক বিষয়কে শুধু গুজব বলে উড়িয়ে না দিয়ে আরো বেশি পড়াশোনা করুন, মৌলিক গবেষণা করুন, আরো বেশি শ্রমঘন পরিকল্পনা নিয়ে এসব সমস্যার মোকাবেলায় এগিয়ে গিয়ে দেশে সব মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। তা না হলে ফিলিস্তিন বা তাইওয়ানের আকাশের মত কালো পাখিরা আনাগোনা করতে পারে। করোনাপরবর্তী পৃথিবীটা বড় অশান্ত। আর ইতিহাস বলে সাধারণত প্রবঞ্চনা ও অশান্তি থেকে যুগ যুগে নিষ্ঠুরতার হোলিখেলা শুরু হয়।

লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান।
[email protected]

এইচআর/এএসএম

করোনাপরবর্তী পৃথিবীটা বড় অশান্ত। আর ইতিহাস বলে সাধারণত প্রবঞ্চনা ও অশান্তি থেকে যুগ যুগে নিষ্ঠুরতার হোলিখেলা শুরু হয়

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।