শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে আমাদের চাওয়া

ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম
ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম , অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৩ আশ্বিন। শুভ্র শেফালির মায়াময় শারদ-প্রকৃতি এই ভূগোল বাংলার সর্বত্র। চুয়াত্তর বছর আগে ১৯৪৭ সালের শারদ-প্রভাতের আজকের এই দিনটি বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল আরও বেশি মায়াময়। এ দিন আপনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে রবীন্দ্রপ্রেমী জাতির পিতাও নিশ্চয়ই মনে মনে গেয়ে উঠেছিলেন :
শরতে আজ কোন্ অতিথি এলো প্রাণের দ্বারে।
আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দ গান গা রে /
নীল আকাশের নীরব কথা শিশির ভেজা ব্যাকুলতা
বেজে উঠুক আজি তোমার বীণার তারে তারে /

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি আদরের হাসু। আমাদের প্রিয় নেতা শেখ হাসিনা। আজ আপনার ৭৫তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। আওয়ামী লীগকেও ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা। বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাসকে তারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছিল। শৈশবে দেখা নরপিশাচদের পাশবিক উল্লাসের অস্পষ্ট স্মৃতি এখনো মনকে বিমর্ষ করে।

জাতির ঘোর ক্রান্তিকালে ১৯৮১ সালে আপনি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবনের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু সেই ব্রত সহজ ছিল ছিল না, নিষ্কণ্টক ছিল না। তবু, আপনার দূরদৃষ্টি, মেধা ও প্রজ্ঞায় ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপচেষ্টা আজ ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামটি চক্রান্তকারীরা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করলেও প্রকারান্তরে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে! আর জাতির পিতার নামটি বিশ্বব্যাপী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত চার দশকেরও বেশি সময় আপনার সফল নেতৃত্বগুণে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ কেবল শক্তিশালীই হয়নি- বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ হয়েছে দেশে, বিদেশে।

একইসাথে দলে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে তা দলকে অধিকতর শক্তি সঞ্চয়েও সাহসী করেছে। ফলে, আপনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে এ দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক রায়ে চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনেছে। ২০০৮ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। আপনার প্রতি মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীরা সুপরিকল্পিতভাবে আপনাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে বারংবার!

আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ৪০ বছর আপনি কেবল আওয়ামী লীগই নয়, সকল শ্রেণিপেশা ও বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উপহার দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় নেতৃত্ব। আপনার যুগোপযোগী নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় তারুণ সমাজে সৃষ্টি হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। তারাও সময়কে উপলব্ধিপূর্বক ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দর্শনকেই ধারণ করেছেন। সাংগাঠনিক পর্যায়ে আমরা দেখেছি কর্মীদের প্রতি আপনার যুগোপযোগী নির্দেশনা।

রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারণী ছাড়াও আদর্শ বিশ্বনেতা হিসেবে আপনি আপনার জীবন-দর্শনে অঙ্গীভূত করেছেন শিল্পসাহিত্য, ভাষা-সংস্কৃতি, বিনোদন, ক্রীড়া, অর্থনীতি ও উন্নয়নকে। আপনিই আমাদের সমাজে নারীর সম্মানজনক অবস্থানটি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধে সম্মুখে এগিয়ে চলেছেন। জীর্ণ ও জড়তাকে আপনি পশ্চাতে ফেলে গেছেন দ্বিধাহীন চিত্তে।

আপনার রাজনৈতিক চিন্তাধারায় গভীরভাবে সংলগ্ন হয়েছে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার মানবীয় দর্শন। সেইসাথে সংলগ্ন হয়েছে দারিদ্রের শৃঙ্খল থেকে বিশ্বের সকল প্রান্তের মানুষকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয়। তাই দেশ-ভূগোলের সীমানা পেরিয়ে ‘আদর্শ নেতা’ হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে আপনার অধিষ্ঠান। বারো লাখ বিপন্ন ও উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার মতো এমন ‘মানবিক নেতা’ বিশ্বে আর কে আছেন যিনি আপনার পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক সাহস রাখেন? কেউ নেই! রাজনৈতিক আদর্শ ও মানবিক মূল্যবোধের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব আপনি। তাই আজকের দিনে আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজেদেরকেই আমরা নন্দিত করার প্রয়াস পাই।

প্রিয় নেতা, সাধারণত জন্মদিন উপলক্ষে আমরা নানা রকমের উপহার-উপঢৌকন দিয়ে (যার জন্মদিন তাকে) অভিনন্দন জানিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, সেখানে নৈমিত্তিক কোনো উপহার-উপঢৌকনের প্রয়োজনই পড়ে না। উল্টো আপনার জন্মদিনে আমরাই মূল্যবান উপহার-উপঢৌকনের আশা করি। আবার বাস্তবতা এই যে, আপনি নিজে থেকেই আমাদের এমন উপহার-উপঢৌকন দিয়েছেন যা আমরা কল্পনাও করিনি। তাই আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশাও লাগামহীনভাবে দীর্ঘ! আমাদের চাওয়ারও কোনো শেষ নেই। আপনার কাছে না চাইতেই অনেক কিছু পাই বলে চাইতেও লজ্জা নেই, লজ্জা হয়ও না!

আমরা জানি, দেশ ও মানুষের হৃদয়কে আপনি মর্ম ও দরদ দিয়ে উপলব্ধি করেন। আমরা না চাইতেই পেয়েছি জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীর বিচার। শুধু বিচারই নয়, দুর্দণ্ড প্রতাপশালী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরও সম্ভব করেছেন। এ দেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে তা কেউ কখনো ভাবতেই পারেনি। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা, মেধা এবং বাঙালিত্বের দার্শনিক মনন আপনার। তাই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মতো কঠিন কাজটিকে অনায়াস করে তুলেছেন। আপনার মহান উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ কলংকমুক্ত হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন জানানোর ভাষা নেই। তবে, এক বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আছি আপনারই পাশে।

নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হবে- তা স্বপ্নও দেখিনি। কিন্তু আপনি আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েই থামেননি- পদ্মা সেতু আজ গর্বিত বাস্তবতা। নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় প্রকল্প আমাদের ছিল না। পদ্ম সেতু কেবল একটি সেতুমাত্র নয়- আত্মঅহংকারের প্রতীকও বটে! আপনার অহংকারের পদ্মা সেতু বিশ্ব ব্যাংকের মুখের ওপর আমাদেরই তীব্র এক চপেটাঘাত! আপনিই আমাদের এমন সাহসী ও স্পর্ধিত হতে শক্তি যুগিয়েছেন।

আপনারই প্রেরণায় আমরা এখন ‘দ্বিতীয় পদ্মা সেতু’ নির্মাণ নিয়েও ভাবছি- স্বপ্ন দেখছি! আন্তর্জাতিক অনেক সাফল্যও এসেছে আপনারই হাত ধরে। সেসব সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সুনামের পাশাপাশি বেড়েছে মর্যাদা। করোনার এই অতিমারির কালে যখন সমগ্র বিশ্বের বিপর্যস্ত অবস্থা তখনও আপনি আমাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন ‘এসডিজি পুরস্কার’। এর অর্থ হলো ‘কেউ পেছনে থাকবে না’।

২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সফল হয়েছে। বিগত ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এ পুরস্কার গ্রহণ করে তা দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছেন। পুরস্কার গ্রহণকালে সঞ্চালক যেমনটি উল্লেখ করেছিলেন ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন অব দ্য ডে’ তা কোনো স্তুতিবাক্য ছিল না। আমরা মনে করি আপনার নামের সঙ্গে এ বিশেষ বাক্যটি নিত্যদিনের সত্য। তাই আপনার কাছে জাতির কৃতজ্ঞতারও শেষ নেই। আপনি আমাদের জন্য বয়ে এনেছেন কত পুরস্কার! আপনার কাছে না চাইতেই মুঠো ভরে এনে দিয়েছেন আমাদের হাতের মুঠোয়!

আজ আপনার জন্মদিন। আজকের শুভ দিনে আপনার কাছে আমরা চেয়ে নিতে চাই সকলেরই প্রত্যাশিত একটি ‘উপহার’। অবশ্য অনেক আগেই আপনি দেশের মানুষকে উপহারটির কথা ঘোষণা করেছেন : ‘দুর্নীতি করি না, করতেও দেবো না’। আপনি সকল প্রকার দুর্নীতির উর্ধ্বে একথা দেশ-বিদেশের সকলেই জানেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশটুকুর বাস্তবায়ন আমাদের কাছে আপনার শ্রেষ্ঠ উপহার হোক।

দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষায় আপনার রূঢ়, দৃঢ় ও কঠোর মনোভাব দেখতে চাই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির খবর বঙ্গবন্ধুর মতো আপনাকেও বিচলিত করে জানি! আপনিও বারবার বলেছেন দুর্নীতি মুক্ত হলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে রাখতে পারতো না। বঙ্গবন্ধুও তাঁর সমকালে দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারীদের কর্মকাণ্ডে যারপরনাই হতাশ ছিলেন! আপনার ন্যায়নিষ্ঠ সততার দ্বারাই পারেন দুর্নীতিবাজদের শেকড় উপড়ে ফেলতে। আপনি ছাড়া এ ‘অসাধ্য’ সাধন করার মতো এ দেশে কিন্তু আর কেউ নেই।

বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন পরাধীনতার গ্লানি, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অশিক্ষা থেকে। তিনি দেশবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য রাজনীতি করেছেন, জেল খেটেছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষক, শ্রমিক ও নিন্ম-আয়সহ মধ্যবিত্তের জীবন-মানের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই তিনি আমাদের দেশকে রবীন্দ্রনাথের কল্পিত সোনার বাংলায় পরিণত করার রাজনৈতিক ব্রতও গ্রহণ করেছিলেন। ফলে, রবীন্দ্রনাথের কল্পিত সোনার বাংলা হয়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুর কাঙিক্ষত স্বপ্ন। কিন্তু তিনি চারপাশের অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত, লুটেরা এবং মুনাফাখোর আর ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

কতবার কত বক্তৃতা-ভাষণে বঙ্গবন্ধুর সেসব আক্ষেপোক্তি শুনি আর আপনার কথা ভাবী, হে জননেত্রী। আপনিও ছদ্মবেশী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষায় এখনো বলা যায় ‘চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি’! বিশ্বাসঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাঝপথেই তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। জাতির পিতার অসমাপ্ত ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ বাস্তবায়নে আপনি হাল ধরেছিলেন আওয়ামী লীগের এবং হতভাগ্য এই জাতির। আপনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রয়াস অব্যাহত আছে। সেই প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আপনার নিজস্ব স্বপ্নটিও। ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ আপনার স্বপ্ন, এই স্বপ্নের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সাফল্য।

২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ নিয়ে কিছু শংকা-আশংকার কথা আপনার জন্মদিনেই ব্যক্ত করতে চাই। এই অভিব্যক্তির মধ্য দিয়ে আপনার নিকট থেকে আমাদের চাওয়া উপহারটিও নিশ্চিত করতে চাই। একটি বৈরী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আপনিও আরেক বৈরী সময়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। শুধু স্বপ্নই দেখেননি, আমাদেরকেও উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু নানা পর্যায়ের দুর্নীতির কারণে সেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলি বলেই আজ আপনার শুভ জন্মদিনে আমরা উপহার হিসেবে পেতে চাই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আপনার ইস্পাত কঠোর সিদ্ধান্ত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত, ‘জিরো টলারেন্স’।

আমাদের জন্য এই উপহারটি যদি নিশ্চিত করেন তবে আপনার স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যেই পূরণ হবে, বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন। জাতির উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা আপনি। বাংলাদেশের যে দিকেই চোখ পড়ে সে দিকেই উন্নয়নের মহাযজ্ঞ! তা দেখেই ‘গীতাঞ্জলি’র এই সঙ্গীত-আবহ আমাদেরকে আচ্ছন্ন রাখে সারাক্ষণ :
ওই যে চাকা ঘুরছে ঝনঝনানি,
বুকের মাঝে শুনছ কি সেই ধ্বনি।
রক্তে তোমার দুলছে না কি প্রাণ।
গাইছে না মন মরণজয়ী গান?
আকাঙক্ষা তোর বন্যাবেগের মতো
ছুটছে না কি বিপুল ভবিষ্যতে।

জননেত্রী, আমরা আপনার দৃঢ় মানসিকতার কথা জানি। কিন্তু মাঝেমধ্যে দলীয় কিছু কর্মী ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দুর্নীতি-পরায়ণতা আমাদের হতাশ করে, হতাশ হই ব্যবসায়ীদের দুর্নীতি দেখেও। আশাবাদী হওয়া তো দূরের কথা- তখন যেন শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও অপারগ হয়ে পড়ি! উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী, আমলা, ব্যবসায়ী, কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিন। আপনার জয় হবেই হবে। আপনার ‘আলোর নৌকা’ কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছাবে।

সকল জয়ের মধ্যমণি জননেত্রী আপনাকে আবারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন। জয়তু শেখ হাসিনা।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/জেআইএম

উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী, আমলা, ব্যবসায়ী, কিংবা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিন। আপনার জয় হবেই হবে। আপনার ‘আলোর নৌকা’ কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছাবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।