কথায় নয় কাজেও প্রমাণ দিন
প্রাণঘাতী করোনা মহামারির মধ্যে এবারের ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১ আগস্ট। এ অবস্থায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আশার কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে। মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হবে না। যানজটে বৃষ্টি যেন অজুহাত হিসেবে না আসে।
ঈদ সামনে রেখে দেশের সড়ক-মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকৌশলীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন তিনি। কঠিন এক বাস্তবতার মধ্যে এবারের ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। তাই সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করুন।’
সড়ক-মহাসড়কের ওপর বা পাশে পশুহাট না বসাতে আবার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার-আন্ডারপাসসহ চলমান কাজ জনস্বার্থে ঈদের আগের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন বন্ধ রাখতে হবে। নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ভুলতা, কাঁচপুর এলাকায় অসংখ্য গার্মেন্টস থাকায় ঘরমুখী মানুষের প্রচণ্ড চাপ তৈরি হবে। তাই এই চাপ সঠিকভাবে সামলাতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজিএমইএর সঙ্গে সমন্বয় করতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু থাকলে তা নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প রাস্তা ঠিক করে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় প্রয়োজনে গাজীপুরের মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ নজর দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সড়ক-মহাসড়ক এখন ভালো পর্যায়ে। এ ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি বাড়িয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতীতের মতো এবারও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ঈদে গ্রামমুখী মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হবে।
প্রতিবারই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য নানা উদ্যোগের কথা বলা হয়। কিন্তু তারপরও জনভোগান্তি রয়েই যায়। এবার করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই লোকজন নানা বিপাকে রয়েছে। এরমধ্যে বন্যা এসেছে ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে। কাজেই যাত্রাপথের ভোগান্তি যেন ঈদযাত্রার আনন্দে সামান্য ব্যাঘাত না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এইচআর/জেআইএম