জন্মদিনে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন
আওয়ামী লীগের জন্মের ৭১ বছর পূর্ণ হলো। জনগণের মধ্য থেকে, জনগণকে সাথে নিয়ে, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে প্রতিষ্ঠা পায় দলটি। এখন পর্যন্ত সেনাকর্তাদের ক্যান্টনমেন্টে প্রতিষ্ঠিত দল ছাড়া জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। সুদীর্ঘ এই দিনগুলোতে কখনও মনে হয়েছে নেতৃত্বহীন অবস্থায় দলটি টিকবে না, ক্ষমতা বা নীতির প্রশ্নে আপস করে দলটি নিঃশেষ হয়ে যাবে, শত্রুরা বলেছে দলটির অবস্থা হবে ‘মুসলিম লীগের মতো’; কিন্তু সব অনুমান ও অভিশাপ মিথ্যা প্রমাণ করে দলটি এখনও প্রধান দল হিসেবেই টিকে আছে।
দলটির মধ্যে এমন এক প্রচণ্ড শক্তি, আকর্ষণীয় ক্ষমতা ও দীপ্তি রয়েছে, যে বা যারাই ওই দল ছাড়ুক না কেন, গালামন্দ করুক বা অভিশাপ দিক না কেন; জনগণ সবসময়েই যেন কবিগুরুর ‘যে তোমারে ছাড়ে ছাড়ুক, আমি তোমায় ছাড়বো না’ গানটি মনে রেখেছে। এই কারণেই সুপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ গণআস্থাসম্পন্ন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দেশের রাজনীতির মূল ও আবশ্যকীয় ফ্যাক্টর হয়ে রয়েছে।
একটু খেয়াল করলেই আগ্রহোদ্দীপক একটি বিষয় নজরে আসবে যে, রাজনৈতিক কোনো ইস্যুতে আওয়ামী লীগের অবস্থান কৌশল ও পদক্ষেপ কী বা কী হতে পারে বিবেচনায় না নিয়ে বড়-ছোট, ডান-মধ্য-বাম কোনো দলই রাজনৈতিক অবস্থান কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকুক আর না থাকুক, জাতীয় রাজনীতির মূলধারার প্রধান দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সবসময়েই এমন অবস্থান নেয়, যাকে পাথরচাপা দিয়ে কিংবা পাশ কাটিয়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের অব্যাহতভাবে কোনো কিছু করার পথ খোলা থাকে না।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস তাই আওয়ামী লীগেরও ইতিহাস। দেশের রাজনীতির ইতিহাস এটা প্রমাণ রেখেছে যে, নির্যাতন-নিপীড়ন, অপপ্রচার-মিথ্যাপ্রচার, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, হত্যা-ক্যু করে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা, নেতৃত্বশূন্য কিংবা ঘায়েল করা যায়; কিন্তু দলটিকে বিলীন বা উৎখাত করা দূরে থাক, গণআস্থার দিক থেকে দলটির অবস্থানকে টলানো যায় না। তদুপরি অনেকটাই রাজনৈতিক মিথ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল যে, আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করতে পারে, কিন্তু বিজয় ধরে রাখতে পারে না; ভালো-মন্দ ফলাফল কিংবা সুশীল সমাজ ও গণমনে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন, এই মিথও আওয়ামী ভেঙে দিয়েছে।
দলটি বর্তমানে সামরিক কর্তাদের ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড ভঙ্গ করে ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। রাজনীতির অদৃশ্য-অজানা কোনো আকস্মিক ওলটপালট বা দুর্বিপাক না হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দলটি ক্ষমতায় থাকবে। এই সময়কালে আওয়ামী লীগের অর্জন-সাফল্য, সীমাবদ্ধতা-দুর্বলতা, ভুল-ত্রুটি নিয়ে এখনও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে। তাই ধারাবাহিক ওই সময়কালকে বাদ দিয়ে জন্মদিনে দলটিকে শুভেচ্ছার জানাতে এবং সাফল্য কামনা করতে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসার পূর্ব পর্যন্ত সময়কালে আওয়ামী লীগের ভূমিকার একটা সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন নিম্নে তুলে ধরা হলো।
পাকিস্তানি আমলের প্রথম দিকে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী মনোভাব এবং পূর্ব বাংলাকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে অবহেলা বিশেষত মাতৃভাষা বাংলার প্রতি অসম্মান ও অবমাননার কারণে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের ভেতর থেকে বিরোধী দল হিসেবে জন্ম নেয় এ দলটি। ইতিহাসের ঘাত-প্রতিঘাতের ধারাবাহিকতায় বাঙালির অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে বর্তমান থেকে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে ছিনিয়ে আনার অঙ্গীকার নিয়ে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব প্রদান দলটির শ্রেষ্ঠ কীর্তি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার রূপকার ও অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এ দলটির ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। দলটির জন্ম ও বিকাশের সাথে জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ নেতৃত্বদানকারী শহিদ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ অসংখ্য নেতা ও কর্মীর ত্যাগ, মেধা ও শ্রম জড়িয়ে আছে।
জন্মলগ্ন থেকেই জাতীয় মূলধারা আন্দোলনের ভিত্তি ও পথরেখা রচনা করে চলেছে জনগণের প্রধানতম আস্থাভাজন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দিক থেকে বাঙালি জাতির যা কিছু অর্জন ও সাফল্য, তার মূলে রয়েছে এই দল। জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী যেসব প্রাপ্তি হয় নাই, তার দায়ও আওয়ামী লীগের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইতিহাসের গতিপথের রাজনৈতিক নানা চড়াই-উৎরাই ও আগু-পিছুর মধ্যে বাঙালি জাতিসত্তার ধারক ও বাহক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আলোচ্য সময়কালে সুদীর্ঘ চলার পথে আওয়ামী লীগের কোণঠাসা বা বিপর্যস্ত অবস্থা বিবেচনায় নিলেই এই সত্য দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।
এই মানচিত্রের জনগণের হৃৎস্পন্দন ও চেতনা আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো দল অনুধাবন করতে পারেনি। সাফল্য-অর্জন-সুকৃতি ও প্রশংসা আর সেইসাথে সীমাবদ্ধতা-দুর্বলতা-ব্যর্থতা ও সমালোচনা নিয়ে ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিপদ-আপদ, সুদিন-দুর্দিনে টেউয়ের ওপর দিয়ে পালের নৌকা যেমন অগ্রসর হয়, তেমনি যুগোপযোগী কর্মসূচি নিয়ে সুকৌশলে কখনও একা আবার কখনও অন্যান্য দলের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগ দেশ-জাতির স্বার্থে জনগণের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
রাজনীতি সমাজের প্রতিফলন, সমাজের উপরি-কাঠামো। তাই সমাজের সীমাবদ্ধতা-দুর্বলতা-পঙ্কিলতা যেমন চলার পথে একদিকে রাজনীতিকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তেমনি রাজনীতিরই কর্তব্য হয় দেশসেবা-জনসেবা ও নৈতিকতাবোধ সামনে রেখে রাষ্ট্র ও সমাজকে বাস্তবতার নিরিখে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অগ্রসর করে নেয়ার। ইতিহাসের এই সুমহান কর্তব্য সাধনে আওয়ামী লীগ জাতীয় মূলধারা আন্দোলনে সুদীর্ঘ সময়ব্যাপী ছোট-বড় যুগান্ত সৃষ্টিকারী অর্জন ছিনিয়ে আনলেও এ দলের সীমাবদ্ধতা-দুর্বলতা-ভুলভ্রান্তি নেই, তা বলা যাবে না। সময়ে সময়ে সাধারণভাবে এই ভুল বা সীমাবদ্ধতা আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব স্বীকার করেছে। সংশোধিত ও যুগোপযুগী হতে দলটি কখনও পিছপা হয় নাই।
এ কারণেই দলটি এখনও প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিরাজ করছে। সমাজ-জীবন বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি নয় যে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ফলাফল বের করে অগ্রসর হওয়া যায়। সুনির্দিষ্ট সময়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে যেতে হয়। তাই ব্যক্তি-জীবনের মতোই রাজনৈতিক দলের অনুষঙ্গ ভুলত্রুটি। তাই রাজনৈতিক দলের কাজের মূল্যায়নে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণকে সাথে রেখে জাতির ইস্পিত গতিধারা অভিমুখে দলটি অগ্রসর হচ্ছে কি না?
আলোচ্য সময়কাল বিবেচনায় নিয়ে নিঃসন্দেহে বলা যায়, কাজ ও পদক্ষেপের সমালোচনা করলে দলে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, রাগ-অভিমান যা-ই হোক না কেন; আওয়ামী শেষ বিচারে জনগণ, দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সুশীল সমাজের মতামত বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে পরিবর্তন ও সংশোধনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। পরিবর্তনই আওয়ামী লীগকে অপরিবর্তনীয় করে তুলেছে। আওয়ামী লীগের বিকল্প আসলে এখনও আওয়ামী লীগই। একারণেই ঝড়ঝাপটা ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কখনও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি।
সুদীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ দেশের প্রধান দল হিসেবে বিরাজমান থাকার ভেতর দিয়েই প্রমাণিত হয়, দলটি মূলে সঠিক পথেই রয়েছে। প্রকৃত বিচারে আলোচ্য সময়ে সঠিক পথে ছিল বলেই দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়া ও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও মহলের টার্গেট বিরামহীনভাবে আওয়ামী লীগ। পাকিস্তানি আমলে দলটিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসক ও শোষকগোষ্ঠী নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। শহীদ নেতাকর্মীদের পবিত্র রক্তে এ দলটি জীবন্ত ও ক্রিয়াশীল।
বলাই বাহুল্য, আওয়ামী লীগ বরাবর টার্গেট হলেও প্রতিক্রিয়ার সব প্রচেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত আসে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৪ মাসের মাথায়। পরাজিত কায়েমি স্বার্থের প্রতিভু দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা জেলে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে।
শুরু হয় হত্যা-ক্যু ও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সামরিক আইন ও স্বৈরাচারী শাসন। এই দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বশূন্য হয়ে ভাঙনের কবলে পড়ে। বস্তুতপক্ষে সুদীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬) এবং পরবর্তীতে ৭ বছর (২০০১-২০০৮) দেশের সবচেয়ে গণ-আস্থাসম্পন্ন ও ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতার বাইরে রেখে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা চলে। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরার পর তাঁকে ১৮ বার হত্যার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। কিন্তু বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা তথা জাতিসত্তা যেমন পরাভব মানে না, ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগকেও যেন নিশ্চিহ্ন করার শক্তি যেন কারও নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত জাতীয় চার মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা আওয়ামী লীগের অফুরান শক্তির ভাণ্ডার। অতীত অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, জাতীয় এই চার মূলনীতির একটা অপরটার অধীনস্ত হোক, একটা অপরটাকে পদানত করুক, তা জনগণ চায় না। জনগণ চায় গণতন্ত্র ও উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে অগ্রসর হোক। ‘বাঙলি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তিটি জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বাঙালি জাতীয়তাদের সুরক্ষা চায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তনের ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে স্বদেশের মাটিতে পা রেখে প্রথম ভাষণেই বলেছিলেন, ‘এদেশে কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মসুলমান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।’ জনগণ বঙ্গবন্ধুর এই কথার যথার্থ বাস্তবায়ন চায়। ‘অযোগ্য’ ও ‘নীতিহীন’ নেতা ‘ দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি করে’ বঙ্গবন্ধুর এই কথাটি জনগণ সর্বোতোভাবে মনে করে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম আর সেই সাথে তাঁর বাণী আওয়ামী লীগের পথকে বিপদমুক্ত ও আলোকিত করুক, এটাই মুজিববর্ষের একান্ত কামনা।
বর্তমানে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বিশ্ব এশীয় ও উপমহাদেশীয় রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে, সাম্প্রদায়িকতার উত্থান ও বাড়াবাড়ির মধ্যে, করোনাদুর্যোগের মহাবিপদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় জনগণের হৃদয়মন কতটা জয় করতে পারে, তা দিয়েই আগামী দিনে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন হবে। জনগণের হৃদয়মন জয় করে স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী দলটি ক্ষমতায় থাকুক- এটাই দলটির জন্মদিনে একান্ত কামনা।
লেখক : রাজনীতিক।
এইচআর/বিএ/জেআইএম