ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন
কবে করোনা মহামারি শেষ হবে? কেউ জানে না, তবে টিকা আবিষ্কার হলে খুব দ্রুতই, ইনশাল্লাহ। পিপিই, মাস্ক, ফেইস শিল্ড ১০০ ভাগ প্রতিরক্ষা দেয়? অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে, কেমন মানের পিপিই, কিভাবে পড়া হলো ইত্যাদি।
সহজ কথায় না, শুধুমাত্র টিকাই দিতে পারে পুরো প্রতিরক্ষা।
তাহলে এখন করণীয় কী? ধৈর্য ধারণ করা। আর কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত রীতি অনুসরণ করা। যেমন-
>> সামাজিক দূরত্ব, ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা পরস্পর থেকে।
>> মাস্ক পরিধান করা।
>> ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
এইগুলো ১০০ ভাগ কার্যকর।
এখন সবাই কি পিপিই পরব?
সবার আগে বলে নেই, পিপিই মানে বডি কভার+মাস্ক+গগলস+গ্লাভস। এটা রিইউজ (পুনঃব্যবহার) করা যাবে না। যদি রিইউজ করেন, তাহলে এটা পরা মানে ব্যবহৃত কাপড় পরার মতো। তাই রিইউসড পিপিই পরে মানসিক শান্তি ছাড়া কোনো লাভ হচ্ছে না।
যারা পিপিই পরছেন, তারা নিয়মিত করোনা রোগীর সংস্পর্শে যেতে হয়, তাই বাধ্য হয়ে পড়ছেন। সেটা অনেক নিয়ম মেনে পরে, ব্যবহারের পর বায়ো হ্যাজার্ড ব্যাগে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে।
এখন কী করব, কিভাবে বাইরে যাব?
>> মাস্ক পরব।
>> গ্লাভস পরব।
>> হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করব।
>> পানির সুবিধা থাকলে নিয়ম মতো হাত ধোব।
>> মুখে হাত দিব না।
>> বাসা থেকে বাইর হওয়ার সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিস নেব না, কারণ ফিরে এসে সব জীবণুনাশক দিয়ে ক্লিন করতে হবে।
>> সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
>> প্রয়োজনে ফেইস শিল্ড ব্যবহার করতে পারেন।
>> বাসায় এসে জামা জুতাসহ যা নিয়ে বাইরে গেছেন, সব ধুয়ে দেবেন। মোবাইল, গাড়ির চাবি অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে মুছে নেবেন।
মাস্ক কোনটা পরব, এন ৯৫?
এন ৯৫ মাস্কের বাজার মূল্য ৬০০-৯০০ টাকা। এটা একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে, পুস্তক জ্ঞান তাই বলে! কিন্তু ব্যবহারিক জ্ঞানে যেহেতু মাস্ক সংকট চলছে তাই পুনঃব্যবহার করতে বলে, অনেক কিন্তু দিয়ে যদি করোনা আক্রান্ত না হোন একই সঙ্গে যদি ফিল্টার নষ্ট না হয়। পুনঃব্যবহারে এটা জীবাণুর ঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে আপনার কাছের মানুষদের জন্য।
অর্থনৈতিকভাবে হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ৩০ দিনের জন্য ১৮ থেকে ২৭ হাজার টাকা লাগবে যদি সঠিকভাবে মাস্ক পরতে চান।
উপায়?
সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০ টাকা পিস, ব্যবহারের পর ফেলে দেবেন। মাস্ক মুখ আর নাক কভার করবে, টেপ আটকে চারপাশ সিল করে দেবেন, প্রয়োজনে দুইটা পরেন। এরপর ফেইস শিল্ড (যার দাম ২০০-৩০০ টাকা) আর ৬ ফুট দূরত্ব যথেষ্ট বলে মনে করি।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন।
ডা. ফাতেমা আক্তার চৌধুরী চমন, ৩০তম বিসিএস, সার্জারি বিশেষজ্ঞ।
এফআর/এমএস/এমকেএইচ