জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হলে মানুষ কোথায় যাবে?

প্রভাষ আমিন
প্রভাষ আমিন প্রভাষ আমিন , হেড অব নিউজ, এটিএননিউজ
প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০২০

আমাদের অফিসে আমিই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি। কারণ আমার দীর্ঘদিনের পুরোনো শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা আছে। এ জন্য আমি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং ওষুধ নেই। আমি ভয় পাচ্ছি না, তা বলবো না। তবে ভয় যে পাচ্ছি, সেটা প্রকাশ করছি না। যাতে আমার ভয় অন্য কাউকে সংক্রমিত না করে। এই সময়ে সাহসী থাকাটা খুব জরুরি, মানসিকভঅবে চাঙা থাকাটা এবং আশপাশের মানুষকে চাঙা রাখাটাও জরুরি। তবে সাহসী হলেই হবে না, নিরাপদও থাকতে হবে। আমি বাসা এবং অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ থাকার পরও তো যে কেউ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, প্রিন্স চার্লস বা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী তো নিশ্চয়ই আমার চেয়ে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন থাকেন, অনেক নিয়ম মেনে চলেন। তারপরও তারা আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা থেকে বাঁচতে যতই নিশ্ছিদ্র দুর্গ বানাই না কেন, লখিন্দরের বাসর ঘরের মতো একটা ছিদ্র দিয়েই ঢুকে যেতে পারে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়া নিয়ে আমার যত ভয়, তারচেয়ে বেশি শঙ্কা করোনা বা অন্য কোনো কারণে অসুস্থ হওয়া নিয়ে। কারণ অসুস্থ হলে এই মুহূর্তে চিকিৎসা পাওয়াটাই বড় সংকট; বিশেষ করে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এ ধরনের অসুবিধায় পড়লেই বিপদ।

আগেই বলেছি, আমি পুরোনো শ্বাসকষ্টের রোগী। শীতকাল আমার বড্ড প্রিয় ছিল। কিন্তু এই শ্বাসকষ্ট আমার সেই প্রিয় ঋতুকে আতঙ্কের বানিয়ে ফেলেছে। এখন শীতকালটা বড় কষ্টে কাটে। শিশিরে পা ভেজাতে ভয়, মাথায় একটু কুয়াশা লাগলেই হাঁচি-কাশি, ঠান্ডা পানি থেকে দশ হাত দূরে থাকতে হয়, আইসক্রিমে ভয়, বরফে আতঙ্ক। এতকিছু করেও সবসময় পার পাই না। শুকনা আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এই শীতেও পার পাইনি। জ্বর, সর্দি, হাঁচি, শ্বাসকষ্টে কাবু ছিলাম বেশ কয়েকদিন। নিয়মিত ওষুধ তো ছিলই, সাথে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হয়েছে। সেই সময়কার কথা ভাবলে এখনও ভয়ে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। সেই সমস্যাটা যদি তখন না হয়ে এখন হতো! কী হতো ভাবতেই পারি না। বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে বাসায় স্ত্রী ও ছেলের সাথে কথাও বলেছি। তাদেরকে এই শঙ্কার কথাও বলেছি, এই সময়ে যদি আমার পুরোনো শ্বাসকষ্ট, কাশি হয়; তাহলে যথাযথ চিকিৎসা হয়তো পাব না। হয়তো সমস্যাটা করোনা নয়, আমার নিয়মিত শ্বাসকষ্ট, তারপরও আমি যথাযথ চিকিৎসা পাব না এটা ধরেই নিয়েছি। আমার পরিবারকেও সে ব্যাপারে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে বলেছি। কারণ যে যাই বলুক, এখন যেকোনো রোগের চিকিৎসা পাওয়াই কঠিন; সাধারণ জ্বর বা শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পাওয়া কঠিনতর।

ধরুন আপনার জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হলো। আপনি কী করবেন? বাড়ির পাশের হাসপাতালে যাবেন আপনাকে ভর্তি করবে না, দূরের হাসপাতালে যাবেন আপনাকে ভর্তি করবে না; এমনকি সরকারি হাসপাতালেও ভর্তি করবে না। সাধারণভাবে আপনাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। খুব মানবিক হলে আপনাকে রেফার করে দেয়া হবে। আপনি যদি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যান, তারা বলে দেবে, এটা শুধু করোনা রোগীদের হাসপাতাল। করোনা টেস্ট করে আসেন। করোনা টেস্ট করা যে কত কঠিন সেটা ভুক্তভোগী মাত্র জানেন।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ডাক্তার খুব মানবিক হলে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলে দেবে, আপনার করোনা হয়নি, এমনিতেই জ্বর। কিন্তু এরপর আপনি কোথায় চিকিৎসা পাবেন? পাঁচ হাসপাতালের ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর তো পত্রিকায় এসেছে। করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা উপসর্গ দেখা দিলে লুকিয়ে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটাই সঠিক পরামর্শ। এটাই করা উচিত। কিন্তু প্রথমত মানুষ রোগটা লুকাতে চায় সমাজের ভয়ে। কারও জ্বর হয়েছে শুনলেই এখন মানুষ ভয় পায়, করোনা তো অনেক পরের কথা। দ্বিতীয়ত মানুষ যখন বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামে, তখন হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেই পেরিয়ে যায় মূল্যবান সময়। লুকাতে চায় কেন, তার অসংখ্য উদাহারণ আছে। আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই তা জানেন। করোনা রোগী মানেই যেন অচ্ছ্যুত। শুধু রোগী নয়, রোগীর চৌদ্দগোষ্ঠী সমাজচ্যুত হয়ে যান।

দুদিন আগে এক শিল্পী আমাকে ফোন করে বললেন, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, হাসপাতালে যেতে চান। তিনি কেরানীগঞ্জে একা থাকেন। কথা বলে তাকে রিজেন্ট হাসপাতালে পাঠালাম। তারা প্রাথমিকভাবে দেখে বললেন, তার করোনা নয়, হার্টের সমস্যা। সেখান থেকে তিনি গেলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। একদিন ভর্তিও থাকলেন। কিন্তু সমস্যা হলো, তিনি রিজেন্ট হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই এলাকায় রটে যায়, তিনি করোনাভাইরাসের রোগী। খবর পেয়ে পুলিশ চলে যায় তার বাসায়। বাড়িওয়ালা আতঙ্কে অস্থির, ফোন করে গালাগাল শুরু করেন। যেন এটা তার অপরাধ। আর তিনি ইচ্ছা করে রোগ বাঁধিয়েছেন। ভাগ্য ভালো তার করোনা নয়, হার্টে সমস্যা। যদি সত্যি সত্যি করোনা পাওয়া যেত তাহলে প্রাণে বাঁচলেও থাকার জায়গাটি হারাতে হতো তাকে। এই যদি হয় করোনা সম্পর্কে আমাদের সামাজিক অবস্থান, মানুষ লুকাতে চাইবে না কেন?

দুদিন আগে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের এক চিকিৎসক ফোন করে তার অসহায়ত্বের কথা বলতে বলতে প্রায় কেঁদে দিলেন। জানালেন, তার চোখের সামনেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুজন রোগী মারা গেলেন। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারেননি। অথচ পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দুজনই করোনা নেগেটিভ। তারা দুজনই হয়তো আমার মতো শ্বাসকষ্টের রোগী। কিন্তু অসময়ে আক্রান্ত হওয়ায় যথাযখ চিকিৎসাও পেলেন না।

সেই অসহায় ডাক্তার জানালেন, আইসিইউতে নেয়া গেলে এ দুজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা যেত। কিন্তু যেহেতু তাদের করোনা উপসর্গ ছিল, তাই আইসিইউতে থাকা অন্য রোগীদের স্বার্থ বিবেচনায় তাদের সেখানে নেয়া যায়নি। আবার আইসোলেশন ওয়ার্ডে এনে তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলা হলো। মৃত্যুর পর পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি। কিন্তু বেঁচে থাকলে তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল। হয়তো ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। আইসিইউর ৮ জনকে ঝুঁকিতে না ফেলে, আইসোলেশনের দুইজনকে ফেলা হয়েছে। পুরো ব্যাপারটা শুনে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। তাদের আইসিইউতে নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা উচিত ছিল নাকি আইসিইউর রোগীদের নিরাপদ রাখতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে অসহায় চোখে মৃত্যু দেখা ঠিক আছে।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টের রোগীদের ব্যাপারে স্বাভাবিক প্রটোকল হলো যেকোনো সরকারি হাসপাতালে করোনা বা ফ্লু কর্নারে গিয়ে চিকিৎসা নেয়া। দায়িত্বরত ডাক্তার প্রাথমিক যাচাই শেষে তাকে সন্দেহভাজন মনে হলে হয় নিজেদের হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করবেন বা করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবেন। আর সাধারণ ফ্লু মনে হলে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু সমস্যা হলো, বাংলাদেশে এখনও সব হাসপাতালে করোনা কর্নার হয়নি। বাস্তবতা হলো জ্বর-শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারদের অনেকেই কোনোরকমে সেই রোগীকে বিদায় করতে পারলে বাঁচেন। সেই রোগী যদি কুয়েত মৈত্রী বা কুর্মিটোলা হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন; তাহলে সেখানকার ডাক্তার বলে দেবেন, এখানে শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। আপনি করোনা টেস্ট করে আসুন, পজেটিভ হলে আসবেন। আর করোনা পজেটিভ হতে হতে আপনার জীবন নেগেটিভ হয়ে যাবে।

সবচেয়ে মজার কথা হলো, করোনা হাসপাতালে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা নেই। টেস্ট এক জায়গায়, চিকিৎসা এক জায়গায় এইসব হয়রানি আরও কাবু করে দেয় অসুস্থ মানুষগুলোকে। আমরা সময়ের কাজ সময়ে করতে পারিনি। সময়মতো বিমানবন্দর লক করতে পারিনি, একটা যথাযথ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানাতে পারিনি, পর্যাপ্ত হাসপাতাল তৈরি করতে পারিনি, টেস্টের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে পারিনি। অথচ আমরা অন্তত আড়াই মাস সময় পেয়েছিলাম প্রস্তুতি নেয়ার। তখন কিছু করিনি, এখন করোনা ঘাড়ের ওপর আসার পর এটা সেটা করছি সমন্বয়হীনভাবে। কখনো দোষ দিচ্ছি ডাক্তারদের, কখনো হাসপাতালকে। কেন আমরা করোনার জন্য আলাদা করা হাসপাতালগুলোকে করোনা টেস্ট এবং চিকিৎসার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তুলিতে পারিনি এখনও? নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখন ব্যস্ত কোনো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না, কোন ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ তা নিয়ে।

এমনিতেই এখন হাসপাতালে রোগী কম। বেসরকারি হাসপাতালে আরও কম। আর ডাক্তারদের প্রাইভেট চেম্বার তো নির্দেশ দিয়ে বন্ধ করা উচিত। কারণ ডাক্তারদের চেম্বার হতে পারে করোনা বিস্তারের উর্বর ক্ষেত্র। অধিকাংশ ডাক্তারই এখন টেলিমেডিসিন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সরকারি হাসপাতালগুলোকে পুরোপুরি কার্যকর করা এবং করোনা হাসপাতালগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ করাটাই মূল কাজ। তাহলে আর চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা হবে না। করোনা আতঙ্কে এখন এমনিতেই রোগী কম, তাই ডাক্তারদের ব্যস্ততাও কম। যেসব হাসপাতালে রোগী কম, সেসব হাসপাতালের ডাক্তারদের এবং যাদের চেম্বার বন্ধ, তাদের করোনা ইমার্জেন্সির জন্য তৈরি রাখা যেতে পারে।

এই মুহূর্তে প্রাইভেট চেম্বারে অভিযান না চালিয়ে দেশের কোথাও কোনো রোগী যাতে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঢালাও অভিযোগ না করে, যদি কোনো ডাক্তার রোগীকে ফিরিয়ে দেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি কোনো ডাক্তার ভয় পান, তাকে ছুটি দিয়ে সাহসী ডাক্তারদের দায়িত্ব দিতে হবে।

এই সময়ে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমি একটা পরামর্শ দিতে পারি। ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি যে ১২টি হাসপাতালকে করোনার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে, সেগুলোকে যেন করোনা টেস্টসহ অবিলম্বে প্রস্তুত করা হয়। সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী এবং কুর্মিটোলা ছাড়া বাকিহুলো এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। এই হাসপাতালগুলোকে বলে দিতে হবে, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথার কোনো রোগীকেই যেন ফিরিয়ে দেয়া না হয়। এ ধরনের সমস্যা নিয়ে কেউ আসার সাথে সাথে তাকে টেস্ট করা হোক।

হাসপাতালগুলোতে দুই ভাগ করে দিতে হবে। প্রাথমিক আইসোলেশন ওয়ার্ড হবে সন্দেহভাজনদের জন্য। টেস্টে পজেটিভ হলে তাকে করোনা ওয়ার্ড বা আইসিইউতে স্থানান্তর করা যেতে পারে। আর যদি নেগেটিভ আসে; তাহলে তাকে প্রয়োজনমতো কোনো হাসপাতালে পাঠাতে হবে। ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে সবাইকে জানাতে হবে, যেন এ ধরনের সমস্যা হলে কেবল নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতেই যায়। কারণ নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরা পিপিই পরে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তৈরি থাকবে। সাধারণ হাসপাতালে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আতঙ্কিত করে, ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয় না; এই প্রচারণা অর্থহীন।

যে হাসপাতালগুলো করোনার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে, আপাতত তা যথেষ্ট। আর না লাগুক। তবে মনে হয় আরও লাগতে পারে। যদি লাগে তখন, বসুন্ধরার পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল এবং আকিজের উদ্যোগে নির্মিয়মান হাসপাতালগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। করোনার রোগী হোক আর সাধারণ জ্বরের রোগী; কোনো অবস্থাতেই দেশের কোথাও যেন একটি মানুষও চিকিৎসা বঞ্চিত না হন; এটা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের প্রধান সংগ্রাম।

এইচআর/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।