নিজের সব কিছুকে ভালোবাসুন

মাকসুদা আখতার প্রিয়তী
মাকসুদা আখতার প্রিয়তী মাকসুদা আখতার প্রিয়তী , বৈমানিক, মডেল
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০

 

নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই, অবশ্যই সম্মানের সাথে। আমার ছোট্ট জ্ঞানের পরিধি থেকে আমার মনে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণের মাঝে দুটো অন্যতম কারণে কিছু নারী আরেকজনের প্রতি ঘৃণা/ হিংসা/ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে থাকেন।

১। পারিবারিক ও সামাজিক কারণে যাদের স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখা হয়, মানসিক চাপ, নৈরাশা/ হতাশা কিংবা কর্মক্ষেত্রে অবহেলা/ চাপ এবং যখন নিজের শখ কিংবা ইচ্ছা পূরণে সীমাবদ্ধতা থাকে।

২। যারা নিজেদের শারীরিক গঠন কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন।

প্রথম কারণটা নিয়ে আমার আসলে তেমন কিছু বলার নেই কারণ পারিপার্শ্বিকতা ও পরিস্থিতি পরিবর্তন করার শক্তি সবার থাকে না। তবে নিজেকে নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা আমাদের আছে, যা দিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারি, ইতিবাচক উত্তর খুঁজতে পারি, যার সমাধানও পেতে পারি, নিজের সাথে নিজেই কাউন্সেলিং করতে পারি কিংবা অভিজ্ঞ কারোর সাথে।

দ্বিতীয় কারণ নিয়ে কথা বলি-
নিজের সব কিছুকে ভালোবাসুন, এমনকি নিজের যেটাকে আপনি স্বল্পতা মনে করেন, সেটাকেও আশীর্বাদ হিসেবে নিন। পৃথিবীর কোন মানুষই পারফেক্ট / নিঁখুত নয়। বাহ্যিক সৌন্দর্য তো ক্ষণস্থায়ী, আজ আছে তো কাল নেই , কোন গ্যারান্টি নেই । মনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন , পজিটিভিটি ছড়ান, দেখবেন চেহারায় এমনিতেই গ্লো করবে, বিশ্বাস করুন।

মনে ঘৃণা, হিংসার অনুভূতি তৈরি হলে প্রশ্ন করুন নিজেকে, প্রশ্ন করে নিজের মস্তিষ্কের কাছে সিগন্যাল পাঠান, আপনি এই ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি থেকে কি পাচ্ছেন বা অর্জন/ উপার্জন করছেন? যা করছেন তা হলো, আপনি মনের অজান্তেই নেগেটিভিটিকে এট্রাক্ট করছেন অর্থাৎ নেতিবাচক এর দরজা নিজেই খুলে দিচ্ছেন নিজের জীবনে প্রবেশ করার জন্য। আপনার জীবনে ততক্ষণ পর্যন্ত পজিটিভ কিছু ঘটবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি নিজে নেগেটিভিটির দরজা বন্ধ না করবেন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন হচ্ছে এমন নেতিবাচক অনুভূতি, কারণ আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ আপনার নিজের হাতে নিন, নতুন করে চিন্তা করার পক্রিয়া (Thought Process) তৈরি করুন। মস্তিষ্ককে নতুন পজিটিভ বার্তা দিন। মনে রাখবেন মস্তিষ্ক সবসময় নেগেটিভ/ নেতিবাচক খাদ্য পেতে পছন্দ করে, স্পঞ্জের মতো শুষে নেয়, আপনার জীবনশক্তি ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে থাকে, যা আপনি টেরও পাবেন না। সুতরাং শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোষের নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছেই, দরকার শুধু সঠিক সিগন্যাল পাঠানো ।

লেখক : বৈমানিক। মডেল। সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড। মির্থ আর্থ।

এইচআর/এমএস

‘নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন হচ্ছে এমন নেতিবাচক অনুভূতি, কারণ আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা করুন। মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ আপনার নিজের হাতে নিন, নতুন করে চিন্তা করার পক্রিয়া (Thought Process) তৈরি করুন। মস্তিষ্ককে নতুন পজিটিভ বার্তা দিন। মনে রাখবেন মস্তিষ্ক সবসময় নেগেটিভ/ নেতিবাচক খাদ্য পেতে পছন্দ করে, স্পঞ্জের মতো শুষে নেয়, আপনার জীবনশক্তি ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে থাকে, যা আপনি টেরও পাবেন না। সুতরাং শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোষের নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছেই, দরকার শুধু সঠিক সিগন্যাল পাঠানো ।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।