দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হলেও শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলে আঘাত হানেনি সেভাবে। তবে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে আট জেলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে আঘাত হানার পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে গাছপালা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে লক্ষাধিক। এর মধ্যে শুধু সাতক্ষীরায় বুলবুলের তাণ্ডবে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই কর্তব্য।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর উপদ্রুত এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নেয়া হয় ব্যাপক প্রস্ততি। তাৎক্ষণিক ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয় সবকিছু। কিন্তু এরপরও প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়। এবারও দুর্যোগপূর্ববর্তী ব্যাপক প্রস্তুতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো গেছে। এরপরও প্রাণহানি ও সম্পদ বিনাশের দিক থেকে ক্ষতি একেবারে কম নয়। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দুর্যোগ কাটিয়ে তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এবারও সুন্দরবন রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে। কাজেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য বনরক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। এমন কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে যা এড়ানোর সুযোগ নেই। তবে চাইলেই আমরা পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পারি যেন প্রকৃতি বৈরি হয়ে না ওঠে। এই সচেতনতাটুকু অত্যন্ত জরুরি।
এইচআর/পিআর