আবরার ফাহাদ হত্যা: শিবির স্টাইলে ছাত্রলীগের রাজনীতি

আনিস আলমগীর
আনিস আলমগীর আনিস আলমগীর , সাংবাদিক ও কলামিস্ট
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৯

ফেসবুক নিউজ ফিডে খবরটি প্রথম চোখে পড়ে। হেডলাইন পড়ে মনে হয়েছিল বাইরের কাউকে হলে ডেকে নিয়ে বাদানুবাদের ঘটনায় বুয়েটের ছেলেরা মেরেছে। পুরো খবর পড়ে স্তব্ধ হয়ে যাই। আবরার ফাহাদ নামের একজন সহপাঠী কিংবা তাদের বুয়েটেরই ছোট ভাইকে দলে বলে সবাই পিটাতে পিটাতে মেরে ফেলল! তাও শুধুমাত্র ছেলেটির ফেসবুক স্ট্যাটাস, চিন্তাধারা তাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে। মৃত্যুতো সহজ জানতাম, সেকেন্ডের ভরসা নেই, কিন্তু এবার জানলাম মানুষ মারাও সামান্য ব্যাপার! একজন সহপাঠীকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস পছন্দ হয়নি বলে পিটিয়ে মেরে ফেলা যায়! বাহ! কী অবাধ ক্ষমতা। কী অফার শক্তি। যেন কানের কাছে ভোঁ ভোঁ করে বিরক্ত করছিল কোনও মশা। এক থাপ্পড়ে মারার মতোই সহজ।

স্যোশাল মিডিয়ায় কারও প্রতি বিরক্ত হলে তাকে শেষ করে দেওয়ার তরিকা আছে। ব্লক করে দাও। ‘হারামজাদাকে’ দেখতে হল না। কিন্তু আবরারতো শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই, তাদের চোখের সামনেও আছে। তাকে যেহেতু হাতের কাছে গো বেচারা হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে, বাস্তবে ব্লক করে দিতে সমস্যা কোথায়! শুধু সোশ্যাল মিডিয়া না, দুনিয়াতেই চোখের সামনে পড়তে পারবে না সে। হাসতে হাসতে, মারতে মারতে শেষ করে দিয়েছে তারা একটি মেধাবী ছেলের জীবন প্রদীপ। যেই সেই প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের সেরা বিদ্যাপিঠ বুয়েটে পড়তো সে। তারাও সে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ৬ অক্টোবর রাতে রুম থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তারা বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিওকর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। অতি সাধারণ একটি পরিবারে বেড়ে উঠা ছেলে সে। কত রাত জেগে, কত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাকে বুয়েট পর্যন্ত এনেছে তার চাকুরিজীবী মা বাবা- সেটা শুধু তারাই জানে। আরও জানে যারা এমন সংগ্রাম করছেন নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে। আশ্চর্য হয়েছি আবরার হত্যার ঘটনা শুনার পরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ঘটনাস্থলে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি। ছাত্ররা তার চেহারা দেখার দাবি করার ৩৬ ঘণ্টা পর তিনি দেখা দিয়েছেন। একজন ছেলেহারা বাবা যখন তার ক্যাম্পাসে ছিল তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সে প্রতিষ্ঠান অভিভাবক। তার মাকে ফোন করে সান্ত্বনার বাণী শোনাননি। তার জানাজায়ও শরিক হননি। মুনষ্যত্ব আজ কোথায় ঠেকছে! কাদের হাতে আমরা তুলে দিচ্ছি আমাদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব। ভিসি পদকে ইদানিং যাচ্ছেতাই বানিয়ে দিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নামের কিছু কুলাঙ্গার।

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছে। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা, আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগের নামে এবং ভিন্নমত দমানোর নামে নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা, এবং ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি এর অন্তর্ভুক্ত আছে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছে বুয়েটের শিক্ষক সমিতিও। কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছিল আবরার ফাহাদের স্ট্যাটাসে, আমি দেখার জন্য আগ্রহী ছিলাম। আমি সত্যি আপত্তির কিছু খুঁজে পাইনি। মামুলি দুটি স্ট্যাটাস ছিল ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দেনা-পাওনা নিয়ে। কথাগুলো কেউ ভাবতে পারে দেশপ্রেম, কেউ ভাবতে পারে- ভারত বিদ্বেষ। এরচেয়ে কত নিকৃষ্ট কথাবার্তা আমি দেখি পত্রিকার কলাম বা সংবাদ প্রকাশ করা হলে তার নিচের কমেন্ট বক্সে। হাতের কাছে তাদের পাওয়া যায় না। আবরারকে পাওয়া গেছে বলে মেরে ফেলতে হবে? বাক স্বাধীনতাকে দেশে তাহলে এই পর্যায়ে নামিয়েছি আমরা। ভীতির সংস্কৃতি তাহলে আমরা এতটা ছড়াচ্ছি যে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে করা চুক্তির বিরোধিতা করলে কাউকে জীবন দিতে হবে! কে তাদের এই অধিকার দিয়েছে এমন বিচারের চর্চা করার? রাষ্ট্রতো দেয়নি, সংবিধান দেয়নি। তাদের দলও দেয়নি। তাহলে এমন আশকারা তারা কোথায় পায়?

আবরারের এই মৃত্যু আমাকে মনে করিয়ে দেয় শিক্ষাঙ্গনে বাহুবল আর নিজের মত প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের দেখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের হত্যার রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকি হানাদারদের সহযোগী জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ স্বাধীন দেশে ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্র শিবির নামে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় জবাই করে হত্যার রাজনীতি শুরু করে তারা চট্টগ্রাম থেকে। ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে শিবির ক্যাডাররা চট্টগ্রাম সিটি কলেজের নির্বাচিত এজিএস, ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেনকে কলেজ ক্যাম্পাসেই কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিরিচের এলোপাথাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়।

১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরের কর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে। তার সহপাঠী, শিবির কর্মী রুমমেট এতে অংশ নেয়। কী ভয়াবহ হিংস্রতা! ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের হায়নারা জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের ডান হাতের কবজি কেটে নেয়। পরবর্তীতে ওই কর্তিত হাত বর্ষার ফলায় গেঁথে তারা উল্লাস প্রকাশ করে। শিবির একে একে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে তাদের এই হত্যাযজ্ঞ আর রগকাটার রাজনীতি চালু করে। এইতো ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে পৈচাশিক কায়দায় ম্যানহোলের ভিতরে ফেলে রেখে যায় শিবির ক্যাডাররা। তার হাত-পায়ের রগ ছিল কাটা।

রুমে ডেকে নিয়ে এই কায়দায় টর্চারের রাজনীতি ছাত্রলীগে কখন ঢুকেছে আমি জানি না। তবে এখনও এইটুকু বিশ্বাস আছে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, ক্ষমতার দাপট দেখাতে হয়তো তারা এটা করেছে, যেটি গড়িয়েছে মৃত্যু পর্যন্ত। ছাত্রলীগকে এই ক্ষমতা তো কেউ অর্পণ করেনি যে তারা ভিন্নমতের লোক হলে শিবির স্টাইলে তাকে রুমে ডেকে নিয়ে টর্চার করবে! এমনকি একটা লোক শিবিরের রাজনীতি করলেও তারা সেটা পারে না। শিবিরকেতো নিষিদ্ধও করা হয়নি এই দেশে। তাহলে ছাত্রলীগের আর শিবিরের রাজনীতির যে তফাৎ আছে ছাত্রলীগ নামধারী এইসব অর্বাচীনরা তাকে কি ঘুচিয়ে দিতে চায়?

আমি অবশ্য এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার বিরুদ্ধে, কারণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে হত্যাকারীরা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সহজ হয়। শিবির ভিন্ন মতের লোকদের হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতো। তারা কখনো এইসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মিদের জবাবদিহি করতে বলেছে, বহিষ্কার করেছে শুনিনি। করেনি। বরং পুরস্কৃত করেছে। ঝামেলায় পড়লে তাকে এবং তার পরিবারকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়েছে। হাতুড়ি, রড, ইট, মুগুর দিয়ে হাড় গুঁড়ো করে দেয়া, রিকশার স্পোক কানের ভেতর ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মগজ বের করে আনা, হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়া, চোখ উপড়ে ফেলা, মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলা, কব্জি কেটে নেয়া, কিরিচ, ছোরা, কুড়াল ব্যবহার করে হত্যা করার মতো নৃশংসতা এদেশের ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে কেবল শিবিরের নামের সঙ্গেই যুক্ত। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে শিবিরের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে শিবির সরাসরি হত্যার মিশনে নামে। যাকে আঘাত করে তাকে চিরতরে পঙ্গু-অচল করে দেয়। অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদেরকে সাবধান করে। এজন্য শিবিরের নৃশংসতার সঙ্গে অন্য কারো তুলনা হয় না।

অন্যদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রেীয় নেতৃত্ব এ ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অপকর্মকে নিজেদের ঘাড়ে নিতে চায় না। অপকর্ম হিসেবে দেখে। বুয়েটের ঘটনাও তারা সেই চোখে দেখছে এখন পর্যন্ত। যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বহিষ্কার করেছে। সরকার তৎপর হয়েছে, পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। কোনো পক্ষ থেকেই হত্যাকারীদের পক্ষে কেউ দাঁড়ায়নি। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে ছাত্রলীগ নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য শিবির স্টাইলে রাজনীতি করবে কেন? ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তাদের কর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন ও নির্যাতনের অনেক ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার বার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। সংবাদ মাধমে এসেছে, যারা এরকম ঘটনার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ যেমন আছেন, তেমনি নিজের দলের অনেক নেতা-কর্মীও রয়েছেন।

গত ৮ অক্টোবর ২০১৯ দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি নিষ্ঠুর ও নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছাত্রলীগের নাম। প্রথম আলোর হিসাবে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ছাত্রলীগের নিজেদের কোন্দলে নিহত হন ৩৯ জন। আর এই সময়ে ছাত্রলীগের হাতে প্রাণ হারান অন্য সংগঠনের ১৫ জন। ২০০৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ ওরফে রাজীবকে হত্যা করে লাশ বহুতল ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে নিজ সংগঠনের কর্মীরাই মারধর করে বহুতল ভবন থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেন। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবুবকর সিদ্দিক। একই বছর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ।

বিশ্বজিৎ হত্যার স্মৃতি এখনও তাজা। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন ওই এলাকার একটি দর্জি দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস। সেদিন বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলছিলো। বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে কুপিয়ে প্রকাশ্যে মারা হয়। বিশ্বজিতের অনেক খুনি এখন মুক্ত, অনেকের ফাঁসি মওকুফ হয়ে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। অতিসম্প্রতি বরগুনায় রিফাত কে যারা হত্যা করেছে তারাও ছিল ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাস্তান। গত কয়েক বছরে ছাত্রলীগ নিজেদের অনেক সহকর্মীকে হত্যা করেছে নানা তুচ্ছ কারণে, টেন্ডারবাজিসহ নানান চাঁদাবাজির ঘটনায়। যখম কত করেছে তার হিসাব রাখা কঠিন।

আমার বিশ্বাস, আবরার হত্যায় জড়িতরা দৃষ্টান্তমূলক সাজা পাবে কিন্তু এটাও জানি শিবির স্টাইলে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের এই কালচার যদি শিক্ষাঙ্গন থেকে না যায়, সরকারি ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের গুন্ডা পান্ডারা এখন যে নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করছে তা না থামলে আরও বহু আবরার ফাহাদ মারা যাবে। আমরা একটি ঘটনা লিখতে আরেকটির উদাহরণ দিয়ে যাবো শুধু।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট। ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।
[email protected]

এইচআর/জেআইএম

আমার বিশ্বাস, আবরার হত্যায় জড়িতরা দৃষ্টান্তমূলক সাজা পাবে কিন্তু এটাও জানি শিবির স্টাইলে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের এই কালচার যদি শিক্ষাঙ্গন থেকে না যায়, সরকারি ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের গুন্ডা পান্ডারা এখন যে নৈরাজ্যের রাজত্ব কায়েম করছে তা না থামলে আরও বহু আবরার ফাহাদ মারা যাবে। আমরা একটি ঘটনা লিখতে আরেকটির উদাহরণ দিয়ে যাবো শুধু।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।