বিশ্বসভায় অনন্য উচ্চতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ড. মিল্টন বিশ্বাস
ড. মিল্টন বিশ্বাস ড. মিল্টন বিশ্বাস , অধ্যাপক, কলামিস্ট
প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বর্তমান বিশ্বে জাতিসংঘ আজ অপরিহার্য- এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। জাতিসংঘকে আরও শক্তিশালী ও জোরদার করার জন্য সকল সদস্যভুক্ত দেশের প্রতি এভাবেই একদা আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্যে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। অধিবেশনে যথারীতি বাংলায় ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর; ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর ৭৩তম জন্মদিন।

২০০৯ সাল থেকে একটানা ভাষণের এটি হলো ১১তম ভাষণ; সর্বমোট ক্ষমতার ১৬ বছরে ১৪তম ভাষণ। কারণ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত শাসনকালে তিনি তিনবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে ভাষণ শুরু করেন এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু; বাংলাদেশ চিরজীবী হোক, জাতিসংঘ দীর্ঘজীবী হোক; খোদা হাফেজ বলে তাঁর লিখিত ভাষণ শেষ করেন।

১৯৯৬ সালে জাতিসংঘের ৫২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিশ্ব নেতৃবর্গের কাছে শেখ হাসিনা পরিচিত ও প্রশংসিত হন যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালেও তিনি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। কেবল অধিবেশনে নয় তিনি সেসময় কথা বলেছিলেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে; বৈঠক করেছিলেন বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে। অনুরূপভাবে ২০১৯ সালে অধিবেশনের ভাষণ ছাড়াও জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও শরণার্থী বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের প্রধানদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে জনগণের পক্ষে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছিলেন বাংলায়। সে ভাষণে তিনি বিশ্ববাসীর কাছে গণতন্ত্র, ন্যায়পরায়ণতা, স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি অবিচল বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন। সেদিন তিনি জাতিসংঘের মহান আদর্শ ও সনদের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল আস্থার কথা উচ্চারণ করেছিলেন। স্মরণীয়, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে শেখ হাসিনাও ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়া শুরু করেন।

জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা তাঁর একাধিক ভাষণে, জাতিসংঘে যোগ দেয়ার পর থেকে গত ৪৫ বছরে বিশ্বে দারিদ্র্য বিমোচন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া, রোগমুক্তি, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষাসহ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল প্রকল্প ও প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।

অতীতে তিনি বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক একবিংশ শতাব্দীতে আরও সম্প্রসারিত ও জোরদার করার কথাও ক্রমাগত তুলে ধরেন। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ মনে করে শান্তি একটি মৌলিক অধিকার যাকে অর্জন, লালন, উন্নয়ন করতে হবে এবং সর্বদা ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ন ছাড়া শান্তি সম্ভব নয় এবং উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা। সে কারণেই দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর এবং উন্নয়নের জন্য জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে প্রকৃত সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সদস্য দেশের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

সীমিত সম্পদকে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয় না করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়নে ব্যয় করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা ও ১৯৮১ সাল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে হামলা-মামলা ও মৃত্যুভীতি উপেক্ষা করে নিরলসভাবে আন্দোলন চালিয়েছেন যা বিশ্বসভা জানেন তাঁর বক্তৃতা থেকে। তাঁর প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে এবং এর শিকড় দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রোথিত।

বাংলাদেশে আজ সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। তাঁর শাসনামলে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি সঙ্কল্পবদ্ধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও পদক্ষেপ, বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, দারিদ্র্য বিমোচন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন, আশ্রয়ণ, চিকিৎসা, বয়স্ক ভাতা, ক্ষুদ্র ঋণ, মহিলা ও শিশু কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া শেখ হাসিনার ১৩টি ভাষণ পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই বিশ্বসভায় তিনি নতুন পৃথিবী বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা পালনের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন প্রথম থেকেই। বিশ্ববাসীকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের গৃহীত যে কোনো আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ড এদেশের ওপর ন্যস্ত করা হলে সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম আমরা।

লক্ষ করা যায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত প্রত্যয়দীপ্ত কণ্ঠে অসাধারণ কথা উচ্চারণ করেছেন একটানা কয়েক বছর। তিনি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ, বিশ্বব্যাপী সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ এবং ক্ষুধা ও পরমাণু অস্ত্রের শঙ্কামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আরও বলিষ্ঠ, কার্যকর, বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বারবার।

শেখ হাসিনার আহ্বান সবসময়ই ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। একবিংশ শতাব্দীর বাসিন্দারা চায় যুদ্ধ ও সমরসজ্জার উন্মত্ততামুক্ত, পরমাণু অস্ত্রের শঙ্কামুক্ত এক শান্তিময় বিশ্ব; চায় রাজনৈতিক দিক থেকে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ পৃথিবী। বিশ্ববাসীর এই প্রত্যাশা পূরণের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে জাতিসংঘ। কারণ, একমাত্র জাতিসংঘই হচ্ছে এমন একটি বিশ্বসংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী স্থায়ী ও ব্যাপকভিত্তিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার কাঠামো নির্ধারণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করার জন্য পৃথিবীর মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কর্মোদ্যগের প্রতিনিধিত্ব করে। আর সে কারণেই জাতিসংঘ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছে।

এই শতাব্দীতে এসে বিশ্ববাসী জাতিসংঘের কাছে আরও সক্রিয় ও বলিষ্ঠতর ভূমিকা প্রত্যাশা করে। এই জাতিসংঘেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একসময় জাতিসংঘ বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে আর্থিক সহায়তা প্রদান, বাংলাদেশের অভিবাসীদের বিষয়ে প্রস্তাবনা সমর্থন এবং সামুদ্রিক অর্থনীতির বিষয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘের একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

যেমন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শেখ হাসিনাকে “প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন” হিসেবে মনোনীত করা হয়। সেই সঙ্গে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম তাঁকে “এজেন্ট অব চেইঞ্জ” পুরস্কারে ভূষিত করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কো শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালের ‘ফেলিক্স হুফে বইনি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। ১৯৯৯ সালে ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (FAO) কর্তৃক ‘সেরেস পদক’ লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। শিশুমৃত্যু হ্রাস সংক্রান্ত এমডিজি-৪ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ কর্তৃক এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ২০১২ সালে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ‘কালচারাল ডাইভারসিটি পদক’ লাভ করেন শেখ হাসিনা। ১৭ ডিসেম্বর সাধারণ অধিবেশনের সভায় ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে জাতিসংঘে তাঁর দেওয়া ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব পাস হয়।

২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ পুরস্কার লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নারী ও কন্যা শিশুদের সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তির বৃক্ষ’ (ট্রি অব পিস) স্মারক উপহার প্রদান করে ইউনেস্কো। একই বছর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ২৯তম বিশেষ অধিবেশনের ক্রেডেনশিয়াল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে গ্লোবাল নিউজ এজেন্সি ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য তাঁকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে তার অত্যন্ত মর্যাদাশীল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

তাছাড়া গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন তাঁকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব (২০০৭-২০১৫) বান কি মুন বলেছেন, শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে, সামরিক শাসন ও জঙ্গীবাদ উৎখাত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবল করার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক কার্যক্রম (ইউএনএইচসিআর) ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা এবং বর্তমান মহাসচিব বাংলাদেশে আশ্রিত শরণার্থীদের অবস্থা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এদিক থেকে বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যে বাংলাদেশই সব চাইতে ভালো কাজ করেছে। এই সরকারই আটকে পড়া বিহারিদেরকে নাগরিকত্ব দেবার ব্যবস্থাও গ্রহণ করে। তবে শেখ হাসিনা জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব প্রদান করেন কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কফি আনান কমিশনের বাস্তবায়ন চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা, তার ফলাফলও শূন্য।

দেশে দেশে অসহিষ্ণুতার অবসান ও শ্রদ্ধাবোধ সৃজনের কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। যা যুদ্ধহীন ও সংঘাতমুক্ত টেকসই উন্নয়নের জন্য জরুরি কিন্তু জাতিসংঘ সেটা করতে ব্যর্থ। বিভিন্ন দেশে জাতি ধর্ম নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে যা শান্তি নষ্ট করছে। এসব সত্ত্বেও জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বর্তমান সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকেন তাঁর মৌলিক চিন্তা ও দিক-নির্দেশনা প্রদানের মধ্য দিয়ে।

লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

এইচআর/এমএস

‘দেশে দেশে অসহিষ্ণুতার অবসান ও শ্রদ্ধাবোধ সৃজনের কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। যা যুদ্ধহীন ও সংঘাতমুক্ত টেকসই উন্নয়নের জন্য জরুরি কিন্তু জাতিসংঘ সেটা করতে ব্যর্থ। বিভিন্ন দেশে জাতি ধর্ম নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে যা শান্তি নষ্ট করছে। এসব সত্ত্বেও জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বর্তমান সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকেন তাঁর মৌলিক চিন্তা ও দিক-নির্দেশনা প্রদানের মধ্য দিয়ে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।