রাজনীতিতে মাশরাফি-ধারা আমাদের প্রেরণা

শেখর দত্ত
শেখর দত্ত শেখর দত্ত
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৯

মাশরাফি বিন মর্তুজা বর্তমান বাংলাদেশের তারুণ্যের প্রতীক। রক্ত-ঘাম, শ্রম-সৃজন, সফলতা-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, ঐক্য-অনৈক্য, আশা-নিরাশা, দৃঢ়তা-দোদুল্যমানতায় ও স্বপ্ন-বাস্তবতার টানাপোড়েনের ভেতর দিয়ে আজ বাংলাদেশ যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে; তার উজ্জ্বলতম প্রতিনিধি হচ্ছে মাশরাফি।

এটা তো ঠিক যে, পাকিস্তানি আমলে আমাদের মাতৃভূমি ‘বন্যা-দুর্ভিক্ষের দেশ’, ‘ভীরুদের দেশ’ হিসেবে পরিচিতি করানোর অপচেষ্টা ছিল। এই অপবাদ ঘুচিয়ে বিশ্বের বুকে গর্বিত জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর জন্য একাত্তরে আমাদের জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, স্বাধীনতার পর ‘মুজিবের বাংলাদেশ’, ‘জয় বাংলার দেশ’ বলে একটা খ্যাতি অর্জন করার পথে পা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশি-বিদেশি পরাজিত শত্রুরা যুদ্ধ ও বন্যা বিধ্বস্ত নবজাত একটি দেশকে কলংকের কালিমা এঁটে দিতে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যায়িত করতে অনেকটাই সফল হয়েছিল।

কিছুদিন আগেও বিএনপি-জামায়াত আমলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছিল। কিন্তু শত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ আবারও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে এই প্রচেষ্টা শুভ ফল এনে দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। এই অঙ্গনে বিশ্ব দরবারে শক্তি ও অনন্যতার প্রতীক ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পরিচিতি পাচ্ছে। সমীহ জাগানো দল হিসেবে সামনে আসার নায়ক হচ্ছে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা পেসবোলার ও সেরা অধিনায়ক ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি।

এই ভাবমূর্তি নিয়ে বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে নড়াইল আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ক্রিকেট অধিনায়ক মাশরাফি যখন রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করে, তখন মনে একটা প্রশ্ন ছিল পারবে তো মাশরাফি অর্থ ও পেশিশক্তির দাপট, দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রভৃতির ঘেরাটোপে জর্জরিত রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌরবের আইকন হিসেবে টিকে থাকতে? পারবে কি ‘জনগণের সেবক’ হতে? তারুণ্য ও গৌরবের প্রতীক কি বাস্তবতার টানে আগামী দিনে কলংকের কালিমায় ডুবে যেতে পারে? তাই গভীর আগ্রহ ভরে নির্বাচনের পর থেকে নড়াইলের এমপি কি করে, তা দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করার মধ্যে ছিলাম।

সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে তাই নড়াইল ও মাশরাফি প্রসঙ্গ থাকলেই তা গভীর আগ্রহ সহকারে পড়ে নিতাম। সর্বোপরি রাজনীতির অঙ্গনে কেবল যুক্ত আছি বলেই নয়, আমার ছেলেদের মামার বাড়ি নড়াইল হওয়ায় এবং সহধর্মিণী নিজ পাড়ার ছেলে ‘বলাকা-পুত্র’ (মায়ের নাম হামিদা বেগম বলাকা) সম্পর্কে গভীর আগ্রহ থাকায় খবরাখবর পেয়ে তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ ছিল স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য অবারিত। বলাই বাহুল্য মাশরাফি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে নড়াইল থেকে যেসব খবর কানে আসছিল, তার সবটাই ছিল কমবেশি সুখপ্রদ ও উৎসাহজনক।

কয়েক দিন আগে নড়াইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েকে ভর্তি করার জন্য এক নিকটাআত্মীয়া বাসায় এসেছেন। স্বাভাবিকভাবেই কথায় কথায় এমপি মাশরাফি প্রসঙ্গ উঠে এলো। জনস্বার্থে মাশরাফি কি কি কাজ করে চলছে, তার বিবরণ যেন আর ওই নড়াইলবাসীর ফুরায় না। প্রসঙ্গত বলতেই হয়, সুনাম কিংবা দুর্নাম যখন কারো সম্পর্কে ছাড়ায়, তখন ঘটনার ডালপালা গজায় এবং ঘটনা এক সময় পরিণত হয় গল্পকথায়। বাস্তবেই গল্পের মতো সব বর্ণনা। হাসপাতালে ডাক্তার নেই নিয়ে দেশব্যাপী সারা জাগানো ওই ঘটনার পর এখন কতবার ঝাড়ু দিয়ে ও মোছামুছি করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে নড়াইল হাসপাতাল। হাসপাতালে ডাক্তাররা এখন রোগীদের কীভাবে দেখছেন বা ব্যবহার করছেন থেকে শুরু করে নড়াইল মাদকমুক্ত হচ্ছে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠছে প্রভৃতি সব কথা যেন গল্পকেও হার মানায়।

নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ ও প্রশাসনের সহায়তায় রূপগঞ্জ থেকে নড়াইল পর্যন্ত রাস্তায় সিসিটিভি কিংবা ডাস্টবিন বসেছে, এসব বলার সময় ওই গৃহবধূ বক্তার চোখে-মুখে ছিল নিজ এমপি নিয়ে তৃপ্তি ও গর্বের আনন্দ। মাশরাফি একদিকে পুলিশ দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে, অন্যদিকে উকিলদের অনুরোধ করেছে সন্ত্রাসীদের কেইস না নিতে, তাই সন্ত্রাসমুক্ত হচ্ছে বা হবে নড়াইল, এমন প্রত্যাশা কথায়-গল্পে যেন ঝড়ে পড়ছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় মাশরাফি কি করে চলেছে, সেই গল্পকথা শুনে উৎসাহিত না হয়ে উপায় রইল না। মাশরাফি যখন খেলার কারণে নড়াইল থাকে না, তখন ‘বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেট ক্যাপ্টেনের স্ত্রী’ কীভাবে জনতার সাথে মিশে কাজ করে তাও শুনতে হলো। মাশরাফি বক্তৃতা দেয় ‘এক লাইন’ আর কাজ করে অনেক বেশি- ভোটদাতা গৃহবধূর এমনটাই হচ্ছে মাশরাফি সম্পর্কে মূল্যায়ন। এসব কথার সত্যতা যাচাই করতে টেলিফোন করা হলো নড়াইলে। বলাই বাহুল্য শুনতে হলো আরো আরো সব এমপি মাশরাফিকাণ্ডের কথা। এসব নিয়ে যখন গাড়িতে যেতে যেতে কথা হচ্ছে, তখন ঝালকাঠির ছেলে ড্রাইভার জুয়েল এমপি মাশরাফি সম্পর্কে টেলিভিশনে কি দেখেছে আর লোকমুখে কি কি শুনছে, সেসব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলো। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, মাশরাফির জনহিতকর কাজ নিয়ে গল্পকথা ক্রমে দেশব্যাপী বাতাসে ছড়াচ্ছে।

মাশরাফি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর এক বছর সময়ও পার হয় নাই। এই সময় এলাকাবাসীর মধ্যে এমন ইমেজ দাঁড় করানো সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়। ভোরই বলে দেয় পুরো দিনটা কেমন হবে- এমনটাই যেন হয় মাশরাফির জন্য সত্য। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজনের সাথে এক আড্ডায় এমপি মাশরাফি প্রসঙ্গে কথা বলায় একজন সাথে সাথে বললেন, মাশরাফি যেদিন বলেছে ক্রিকেট খেলোয়াড়রা নয়, মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন আসল বীর সেদিনই বুঝে গেছি রাজনীতিক হিসেবে মাশরাফি কত দূর যাবে।

কলামটা লিখতে গিয়ে মাশরাফি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কি কথা বলেছিল, তা জানা সত্ত্বেও বের করে আনতে চেষ্টা করলাম এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন আবেগে আপ্লুত হলাম যে, তা হুবহু তুলে না ধরে পারলাম না। মাশরাফি বলেছেন, ‘আজ কিছু কথা পরিষ্কার করে বলি। আমরা সবাইকে বিনোদন দেই। আমরা প্রকৃত অর্থে বীর নই। বীর হলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আরে ভাই, তারা জীবন দিয়েছেন। জীবন যাবে বলেই ফ্রন্টে গেছেন দেশের জন্য।’ দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ আর ইতিহাস সম্পর্কে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা ছাড়া এমন সহজ সরল কথা আসলে কেউ বলতে পারে না।

এমপি হওয়ার পরই কেবল নয়, আগেও প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে গঠিত ‘প্রজেক্ট লন্ডন-১৯৭১’ এর ‘কুইজ আয়োজনে’ যোগ দিয়ে মাশরাফি বলেছিল, ‘লেখাপড়া, ব্যবসা বা আমার খেলাধুলা, যাই বলি না কেন, প্রতিদিন এক ঘণ্টা সময় বের করতে পারবো না মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট জানার জন্য, এটা কিন্তু হয় না। ১৫-২০ দিন টানা একটু একটু করে জানুন মুক্তিযুদ্ধকে। দেখবেন একদিন সবার মনে একটা আবেগের জায়গা তৈরি হয়েছে।’ এসব কথা থেকে সুস্পষ্ট, মাশরাফি আসলে যুক্তি ও আবেগকে এক করতে প্রয়াসী হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটাই কিন্তু দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমকে জাগ্রত করে মানুষ ও দেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।

নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের ক্যাম্পে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে যারা ভারত গিয়েছিল, তাদের গেরিলা যুদ্ধে ট্রেনিংয়ে পাঠানোর আগে ইন্টারভিউ নেওয়া হতো। তখন বয়সইবা ছিল কত আর গেরিলা যুদ্ধের কিইবা জানতাম। ওই ইন্টারভিউ নেওয়া সময় দেখেছি কত আবেগ আর যুক্তি জড়িয়ে আছে দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে জীবন বিলিয়ে দেওয়ার জন্য। বলাই বাহুল্য পরিস্থিতি ও কর্তব্যের ভিন্ন পরিবেশে মাশরাফির মধ্যে যেন সেই যুক্তি ও আবেগের সম্মিলন ঘটছে বলে মনে হচ্ছে। তাই এক বছর না যেতেই সব শুনে শুরুতেই মনে হচ্ছে, রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্রিকেটের মতোই মাশরাফি অনেক দূর যাবে এবং তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে উদ্দিপ্ত করবে।

খেলোয়াড়ের গুণ মাশরাফির বোধকরি সহজাত। একজন খেলোয়াড় ভালো করেই জানে, খেলার মাঠে যদি পজেটিভ পারফর্ম বা কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করা না যায়, তবে জনপ্রিয়তা থাকে না। বাস্তবে রাজনীতির মাঠও তেমনি। কথায়-বক্তৃতায় কত বড় বড় রাজনীতিক বা পেশাজীবীরা যে রাজনীতির মাঠে গিয়ে কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেননি, এমন প্রমাণ আছে ভূরি ভূরি। এমনটা যদি না হতো তবে ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, মিডিয়া ক্যু, রাতের কারবার প্রভৃতি কথাগুলো রাজনীতিতে স্থান পেতো না। জনগণের ভোটে জনগণের জন্য জননন্দিত জনপ্রতিনিধি শব্দটি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষত রাজনীতিতে আসা তরুণদের মধ্যে ধারা হিসেবে দাঁড় করাতে মাশরাফি ভূমিকা রাখুক, এটাই কিন্তু মানুষের কামনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এখানে দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতেই হয় যে, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দেশের জন্য অনেক কিছু করেছে আবার অনেক কিছু করতে পারেনি। জীবন দিয়ে যারা রণাঙ্গনে গেছে, তারাও নবজাত বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা, ব্যর্থতা, দুর্বলতা প্রভৃতি প্রদর্শন করেছে। জাতির পিতাকে আমাদের প্রজন্ম বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি। এমনকি চার বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর নামে রাজনীতি করা যাবে না, এমন সামরিক ফরমান মেনে নিতে ওই প্রজন্ম বাধ্য হয়েছে। একে একে ওই প্রজন্ম কালের করাল গ্রাসে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাই মাশরাফির মতো দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের যুক্তি ও আবেগে ভরপুর নতুন প্রজন্ম রাজনীতির সামনে আসা আজ সময়ের দাবি। এই দাবি পূরণে মাশরাফি-প্রজন্ম এগিয়ে আসছে, এটাই এখন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম ও দেশবাসীর একান্ত ভরসার জায়গা।

সবশেষে লোকসঙ্গীত শিল্পী, কুষ্টিয়ার শিলাইদহের গগণ হরকরার একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃত করতেই হচ্ছে। কবিগুরু এই বাউল সাধকের গুণমুগ্ধ ছিলেন এবং আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির সুর কবিগুরু নিয়েছিলেন এই মহান শিল্পীর গানের সুর থেকে। এই বাউল কবি লিখেছিলেন, ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।’ বাস্তবে যথার্থ রাজনৈতিক নেতা তিনিই যিনি সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যক্তিকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাকে এগিয়ে যেতে ও রক্ষা করতে সবকিছু করতে পারেন। বাস্তবেই যেন ‘অমূল্য রতন’ মাশরাফিকে রাজনীতির অঙ্গনে টেনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেবল তাই নয় ডাক্তার সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ ওকে যখন সমালোচনা কিংবা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছিল, তখন এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওর পক্ষে এসে দাঁড়ান এবং মুখ খোলেন। আরো লক্ষ্য করার মতো বিষয় হচ্ছে, এক ক্রিকেট বীর মাশরাফিকে তিনি প্রার্থী মনোনয়ন দিলেন এবং আরেক বীর সাকিবকে ডেকে বললেন, তোমার সময় হয়নি।

এই ধরনের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতাই তো চায় বর্তমান বাংলাদেশ। মাশরাফি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিক্ষণ অটল থাকুক, রাজনীতির ক্ষেত্রেও মডেল হিসেবে বিশেষভাবে তরুণদের উৎসাহিত করুক, জনপ্রতিনিধিদের কেমন হতে হবে এমন একটা স্থায়ী ধারা দাঁড় করাক, এটাই আজকের একান্ত কামনা। মেহনতী মানুষের পেশিশক্তিকে যেমন তুলে এনেছিলেন বাংলার চিত্রকলার অমর শিল্পী নড়াইলের গর্ব এসএম সুলতান, তেমনি রাজনীতির শিল্পী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ ও তেভাগা আন্দোলনের (বিশ্বের বৃহৎ কৃষক আন্দোলনের একটি) স্মৃতিবিজড়িত নড়াইলকে গর্বিত করুক মাশরাফি, এটাই যেন আজ চাইছে বাংলাদেশ।

লেখক : রাজনীতিক।

এইচআর/এমকেএইচ

মাশরাফি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিক্ষণ অটল থাকুক, রাজনীতির ক্ষেত্রেও মডেল হিসেবে বিশেষভাবে তরুণদের উৎসাহিত করুক, জনপ্রতিনিধিদের কেমন হতে হবে এমন একটা স্থায়ী ধারা দাঁড় করাক, এটাই আজকের একান্ত কামনা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।