পশুর হাটের নিরাপত্তা দিন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯

পশুর হাটের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এই সময় নগদ টাকার লেনদেন অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টি, জালিয়াতচক্রের অপরাধীরা এই সময় আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোরবানির পশুর হাটের ইজারা এবং হাসিল আদায় নিয়েও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।

এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোনো পশুর হাট বসতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সম্প্রতি ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদুল আজহা, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় কমিশনার বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ইজারাকৃত পশুর হাটের নির্ধারিত সীমানার বাইরে পশুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না।

পশুর হাটগুলোতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম আর কোটি কোটি টাকার লেনদেন হবে। তাই সবকিছু মাথায় রেখে এবার রাজধানীর পশুর হাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার পরিকল্পনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাটের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবার সমন্বিতভাবে কাজ করবে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র‌্যাব।

কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এরপরও নানা রকম অপতৎপরতা চলতেইই থাকে। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পশুর হাটকে কেন্দ্র করেও চলে নানা অপতৎপরতা। এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। গরু ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে। এদের অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এছাড়া মলম পার্টির লোকজনও সক্রিয় হয় এ সময়। তারা সুযোগ বুঝে চোখে মলম লাগিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। অতীতে এরক ঘটনার অনেক নজির আছে। সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশুর হাটে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। ক্রেতা বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করে পছন্দের পশু কিনতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় নগদ অর্থের লেনদেনও বেশি হবে। এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। পশুর হাটে জাল টাকার বিস্তার রোধেও নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। জল নোট শনাক্তকারী মেশিনও রাখতে হবে পশুর হাটে। বিভিন্নক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করে পশুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

এইচআর/এমকেএইচ

কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এরপরও নানা রকম অপতৎপরতা চলতেইই থাকে। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পশুর হাটকে কেন্দ্র করেও চলে নানা অপতৎপরতা। এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। গরু ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে। এদের অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।