ডাকসু নির্বাচন হোক গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার সোপান

শেখর দত্ত
শেখর দত্ত শেখর দত্ত
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৯

আজ ডাকসু নির্বাচন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ এবং জাতীয় ইতিহাসের বহু আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হোক- এমন প্রত্যাশা রাখছি। ছাত্রসমাজের নেতৃত্বদানকারী সংস্থা ঐতিহ্যবাহী ডাকসুর নেতৃত্ব এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বের হয়ে আসবে। সুদীর্ঘ ২৮ বছর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে, পাকিস্তানের কেন্দ্র বা পূর্ববাংলার সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানি শাসক-শোষকগোষ্ঠী নানা ফন্দিফিকির ও টালবাহনা করে বাতিল বা বানচাল করতে সক্ষম হলেও ডাকসু নির্বাচন পণ্ড করতে পারেনি। সামরিক শাসনের মধ্যেও ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সংস্থাটি যথাযোগ্য মর্যাদায় কার্যকর থেকেছে। ষাটের দশকে আইয়ুব-মোনায়েমের ঠেঙ্গারে বাহিনী এনএসএফ পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন পণ্ড বা বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি।

কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করে রাখা সম্ভব হয়েছে। এই নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য দেশের আদালতে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তাই অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন অত্যধিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতীয় রাজনীতির মূলধারার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারছে। তাতে এই নির্বাচনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। কলামটি লেখার সুযোগ নিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এই নির্বাচন সামনে রেখে স্বাধীনতার মাস মার্চে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন- পারবে কি এই নির্বাচন ঐতিহ্য অনুযায়ী ডাকসুকে স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে?

একটু খেয়াল করলেই এটা স্মরণে আসবে যে, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ৫ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অবস্থা তখন স্বাভাবিক ছিল না। নবজাত দেশটিতে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠান তখনো গড়ে ওঠেনি। লাখ লাখ শরণার্থী তখনো বসতবাটিতে থিতু হয়ে বসেনি। খাদ্য ঘাটতি ছিল। যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল ভঙ্গুর। এই অবস্থার মধ্যে ঘটছিল নানা অনভিপ্রেত ঘটনা। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ শহীদ দিবস পালনের সকালে সেখানে অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। ওই দিনগুলোতে পিলখানায় ইপিআর ও গণবাহিনীর মধ্যে হয় গুলি বিনিময়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র অপতৎপরতা শুরু হলে আবারো ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ডাকা হয়। শিল্পাঞ্চলে ঘেরাও শুরু হলে তা বেআইনি করা হয়। এরই মধ্যে দুর্নীতিবাজ এমসিএদের বহিষ্কার শুরু হয়। সুতার লাইসেন্স বাতিল হতে থাকে। এদিকে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নবজাত বাংলাদেশের প্রতি নতুন নতুন দেশের স্বীকৃতি আদায় হতে থাকে। ইজারাদারি প্রথা বাতিল হয়। ঘাতক-দালালদের বিচারকার্য শুরু হয়।

এ অবস্থায় অস্ত্র জমাদান অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, তিন বছর কিছু দিতে পারব না। যুদ্ধ আরো তিনি বছর চললে তোমরা তো যুদ্ধ করতে। এবারে যুদ্ধ তাই দেশগড়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের হাতিয়ার হচ্ছে লাঙল ও কোদাল। সহজেই ধারণা করা যায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে সুসংবদ্ধ ছাত্রসমাজকে কাজে লাগাতে ওই অবস্থার মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ ভেঙে যায়।

কেন, কী জন্য তখন ওই সংগঠনটি ভেঙে যায়, তা এখনো দেশের ইতিহাসের বড় এক প্রশ্ন হিসেবে থেকে গেছে। ডাকসুর ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া)। প্রথমদিকে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ডাকসু দেশগড়ার কাজে যথাযথ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অনভিপ্রেত ও হৃদয়বিদারক এক ঘটনায় তাতেও ছেদ পড়ে।

প্রথম থেকেই বঙ্গবন্ধু সরকার ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধবাজ নীতির বিরুদ্ধে এবং ভিয়েতনামবাসীর পক্ষে। কিন্তু ওই ডাকসুর উদ্যোগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে ১ জানুয়ারি ’৭৩ অনুষ্ঠিত মিছিলে ইউসিস ও প্রেসক্লাবের সামনে গুলি হয় এবং মতিউল-কাদের শহীদ হয়। কী কারণে, কেন ওই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল, তা এখনো ইতিহাসে প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্বাধীন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় ডাকসু নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে কলঙ্ক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। আজ ৪৬ বছর পর ওই দিনগুলোর দিকে যখন ফিরে তাকাই তখন মনে হয়, ওই নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগ জিতলে এমনকি উনিশ-বিশ হতো! বলার অপেক্ষা রাখে না, এক ন্যক্কারজনক ঘটনা আরো আরো তেমন ধরনের ঘটনার জন্ম দেয়।

এরই পরিণতি ছিল ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে ৭ খুনের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু সরকার চিহ্নিত ওই খুনিকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেনাশাসক জিয়া ওই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়। ওই সেনাশাসকের আমলে হিযবুল বাহার জাহাজে সাগর ভ্রমণ করে কীভাবে ছাত্রদের জন্য ছাত্র আন্দোলন-সংগঠনকে ‘ডিফিক্যাল্ট’ করা হয়েছিল, তা কারোরই অজানা হয়।

তখন থেকে ছাত্র আন্দোলন ও সংগঠনে অস্ত্র ও অর্থের শক্তি তথা দুর্বৃত্তায়ন প্রতিষ্ঠা পায়। এরশাদ সেনাশাসন আমলে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদককে এক লাফে মন্ত্রী বানিয়ে ওই ধারাকে আরো কতটা পুষ্ট ও পোক্ত করা হয়েছিল, তা দেশবাসী সবারই জানা। জামায়াতের রগ কাটা রাজনীতি ছিল ওই বোঝার ওপরে শাকের আঁটির মতো।

এর মধ্যে স্বৈরাচারী এরশাদ আমলে নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের ছাত্র আন্দোলন ছিল প্রকৃত বিচারে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যেরই আলোর ঝলকানি বিশেষ। বস্তুতপক্ষে ডাকসু নির্বাচনের উল্লিখিত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটা সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, অর্থ-অস্ত্র, চাঁদাবাজি-মাস্তানি, দলাদলি-রক্তারক্তি হচ্ছে ডাকসু নির্বাচন এত বছর বন্ধ থাকার প্রধান কারণ।

পরিস্থিতির এমনই অধঃপতন হয়েছিল যে, এক পর্যায়ে ছাত্র আন্দোলন নিষিদ্ধ করার পর্যন্ত আওয়াজ ওঠে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে এটা সুস্পষ্টভাবে দেখা যাবে যে, স্বাধীনতার পর পরাজিত শক্তি যেন পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ছাত্র-যুবসমাজের নৈতিকতা ও আন্দোলনের দুর্গকে তছনছ করতে, নিয়তির টানে ছাত্র আন্দোলন-সংগঠনকে ওই পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আর ছাত্র আন্দোলন-সংগঠন ওই পর্যায়ে থাকার কারণেই ডাকসুসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচন বন্ধ করে রাখা সম্ভব হয়েছে।

এ কথা বোধ করি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার এক দুর্বলতম ক্ষণে এবং ছাত্র আন্দোলন ও সংগঠন সম্পর্কে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের ডাকসু নির্বাচন। কলামটা লেখার সময়ে মনে পড়ছে সংসদে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের বর্ষীয়ান নেতা রাশেদ খান মেননের বক্তব্য।

‘নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে’ এই মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ দেশের ওপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, তবে কেবল রাজনৈতিক দল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনাও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।’ এই যদি হয় ক্ষমতাসীন জোটের কোনো এক দলের নেতার অবস্থান, তবে কোন পর্যায় থেকে গণতন্ত্রকে টেনে যথা স্থানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তা সহজেই অনুমান করা চলে।

এবারের ডাকসু নির্বাচন হতে পারে এ ক্ষেত্রে এসিড টেস্টের মতো। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ডাকসু নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথকে অনেকটাই অবারিত করতে পারে। এই বিচারে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে সংগ্রামের অংশবিশেষ।

ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ সেই সুযোগকে অবারিত করেছে। কিন্তু বেশ কিছু অভিযোগ পত্রপত্রিকার খবর ও সম্পাদকীয় মারফত পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এটা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলেও ছাত্রলীগের বিজয়ে সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এটাই বাস্তব যে, ছাত্রলীগ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যদি জয়লাভ করে, তবুও সব ছাত্র সংগঠন মিলে অভিযোগ তুলবে নির্বাচন যথাযথ হয়নি।

এই অবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকতে হবে ছাত্রলীগকেই। কেননা যে কোনো ধরনের অনিয়ম ঘটলেই দোষ পড়বে শাসক দল আওয়ামী লীগের ওপরে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষত আওয়ামী লীগের এ ব্যাপারে যথাযোগ্যভাবে সজাগ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।

১৯৭৩ সালে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে আসলে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করা হয়েছিল। তাতে শেষ বিচারে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। এখনো পর্যন্ত সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়নি। যদি এবারে যথাযোগ্য নির্বাচন করা যায়, তবে জয়-পরাজয় যাই হোক না কেন, ওই অভিযোগের দায়মোচন কিছুটা হলেও করা সম্ভব হবে।

একটা কথা এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, নির্বাচনে যে-ই জিতুক বা হারুক, তাতে জাতীয় রাজনীতির তেমন কিছুই হবে না। এক বছর পর আবারো হবে নির্বাচন, যদি এবারে হারও হয় তবে ভালো কাজ করে পরের বার ছাত্রসমাজের হৃদয়-মন জয় করা যাবে। প্রসঙ্গত বলতেই হয়, ষাটের দশকের শুরুতে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের ছিল জয়জয়কার। কিন্তু ওই দশকের শেষ দিকে ৬ দফা, জয় বাংলা স্লোগান ও সোনার বাংলা শ্মশান কেন পোস্টার প্রভৃতি যথোপযুক্ত রাজনৈতিক কাজ সবকিছুকে প্রায় পাল্টে দেয়।

ছাত্র ইউনিয়নের ‘দুর্গ’ ইকবাল হল (এখন জহিরুল হক হল) ছাত্রলীগ ছিনিয়ে নেয় এবং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ বিজয়ী হয়। তাই একবারের জয়-পরাজয়েই সব শেষ, তা বলা যাবে না। ভালো কাজ করে সাধারণ ছাত্রদের মন জয় করা ভিন্ন বিকল্প আর কিছু শাসক দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের থাকতে পারে না। কোন পথ নেবে ছাত্রলীগ, এটাই স্বাধীনতার মাস মার্চে দেখার বিষয়।

প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়, আমাদের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে ১১ মার্চ একটা বিশেষ দিন। আজ থেকে ৭০ বছর আগে ১৯৪৮ সালের এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে পূর্ববাংলা আলোড়িত হয়ে উঠেছিল। অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ হরতাল। তাতে ৫০ জনেরও বেশি ছাত্রজনতা গ্রেপ্তার বরণ করেছিল। সেই আন্দোলনেরও সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই দিনই পূর্ববাংলার মানচিত্রে জাতিসত্তার ভ্রুণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। যার পরিণতিই আমরা স্বাধীন স্বদেশ পেয়েছি, নিজেরা নিজের দেশের ভাগ্যবিধাতা হয়েছি। জন্মের উৎসমুখের এই পবিত্র দিনটি ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের ভেতর দিয়ে আরো উজ্জ্বলতর হোক, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ক্রমে কণ্টকমুক্ত হোক- এটাই স্বাধীনতার মাসের একান্ত কামনা।

লেখক : রাজনীতিক।

এইচআর/এমকেএইচ

আমরা স্বাধীন স্বদেশ পেয়েছি, নিজেরা নিজের দেশের ভাগ্যবিধাতা হয়েছি। জন্মের উৎসমুখের এই পবিত্র দিনটি ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের ভেতর দিয়ে আরো উজ্জ্বলতর হোক, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ক্রমে কণ্টকমুক্ত হোক- এটাই স্বাধীনতার মাসের একান্ত কামনা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।