মনোনয়ন পর্বে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেহারা!

শেখর দত্ত
শেখর দত্ত শেখর দত্ত
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

রাজনীতিতে একটা কথা আছে যে, মনোনয়ন পর্বেই বুঝা যায়, কোন দলের চেহারা কি রকম! মুখোশ খুলে তখন বের হয়ে আসে আসল রূপ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩১টি আসনে এবং বিএনপি বেশকিছু আসনের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বাকি আসন খালি রেখেছে মহাজোটের প্রার্থীদের জন্য। বিএনপি কতটি খালি রাখবে, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকার ৮টি আসনে দুজনের নাম রয়েছে আর বিএনপির এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ৬১টি আসনে দুজন করে এবং ২টি আসনে তিনজন করে প্রার্থী রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা মোতাবেক মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ইতোমধ্যে ঘোষিত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হওয়ায় বুঝা যাচ্ছে, আসন বণ্টন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি মহাজোট। আর বিএনপি কবে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে তা এখনো বলেনি।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বলা যাচ্ছে, দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা এবং জোট-বন্ধুদের সঙ্গে আসন বণ্টনের প্রশ্নে দুই দলই রয়েছে সমস্যায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন কথা আছে যে, মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির ওপর ভরসা নেই। যে কোনো সময় এরশাদ সাহেব ডিগবাজি দিতে পারেন। সবই হতে পারে বটে, কিন্তু বর্তমান পর্যায়ে এসে মহাজোট ভেঙে জাতীয় পার্টির বের হয়ে যাওয়া বেশ শক্ত। কেননা প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী যে ৪০টি আসন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চূড়ান্ত হয়েছে, সেই প্রার্থীরা জেতার আশায় এখন আর মহাজোট ভাঙতে চাইবে না।

এদিকে যারা আসন পায়নি তারা দলকে চাপে রাখবে। জাতীয় পার্টি শেষদিকে এসে ২০০টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করাটাকে দল ম্যানেজ করা কিংবা চাপ প্রয়োগ করার কৌশল হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও এরশাদ সাহেব কখন কোথায় আছেন এবং কি করছেন তা রহস্যজনক। তবে মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার সবশেষেও বলেছেন, মহাজোট হিসেবেই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ছাড়াও ১৪ দলের শরিকসহ ইসলামি দলগুলো আসন বণ্টন নিয়ে অসন্তুষ্ট বলে জানা যাচ্ছে।

অপরদিকে জামায়াতের সঙ্গে আসন নিয়ে বিএনপির এখনো রয়ে গেছে বেশ ঝামেলা। এটা সমাধান হতে পারে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির এক বিরাট বোঝা। এতে রয়েছে তিন দল এবং ড. কামাল কথিত সুশীল সমাজের দলবিহীন প্রতিনিধিরা। এটা কিন্তু সবাইকেই মেনে নিতে হবে যে, নির্বাচনে প্রার্থীর জেতাটাই যেহেতু আসল কথা, তাই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও কর্মী জমায়েতের ক্ষমতাই সেখানে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু উল্লিখিত তিন দল ও দলবিহীন সুশীল প্রতিনিধিদের ওই দুটোর কোনোটাই বিন্দুমাত্র নেই। বিএনপির সঙ্গে এদের কোনো রাজনীতিরও মিল নেই। কিন্তু বিএনপিকে ফাটা বাঁশের চিপায় পড়ে এখন এমন সব নেতা ও সুশীলদের মার্কা দিতে বাধ্য হচ্ছে।

ইতোমধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও এমাজউদ্দিনের কথোপকথনের ভাইরাল থেকে এটা সুস্পষ্ট, ঐক্যফ্রন্টের নেতা বা প্রার্থীদের কি ধরনের অবজ্ঞার চোখে দেখছে বিএনপি! বিশেষভাবে আমাদের দেশে রাজনীতিতে লাজলজ্জার বালাই নেই, তাই ওই তিন দলের নির্বাচন ইচ্ছুক নেতারা হয়তো ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার জন্য সবকিছু সহ্য করবেন। কিন্তু দলবিহীন সুশীল প্রতিনিধিরা কি করবেন তা কে জানে! তারাও কি লাজলজ্জা বিসর্জন দিবেন!

বিচিত্র এই দেশ, এখানে সবই সম্ভব! প্রাপ্ত খবরাখবরে জানা যায়, সর্বশেষ আসন সমঝোতার প্রশ্নে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের যে বৈঠক হয়েছে তাতে আ স ম আব্দুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন না। কেননা এই দুই নেতার আসন নিয়েই রয়েছে ঝামেলা। বিএনপি এই দুই নেতার আসন ছাড়তে চাচ্ছে না। রব সাহেব ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে গেছেন বা যাবেন বলেও খবর বের হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের দশা কি হয় কে জানে!

সার্বিক বিবেচনায় জোট বন্ধুদের সঙ্গে আসন বণ্টনে আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি পিছিয়ে কিংবা বিপদে রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। সহজেই ধারণা করা যায়, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার দিন পর্যন্ত এমন ধরনের টানাপড়েন, রাগ-অভিমান থাকবে। শেষ পর্যন্ত আসন বণ্টনে সার্বিক ফয়সালা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটবন্ধুদের সঙ্গে করতে পারবে কিনা কে জানে? জোট ভাঙার রিস্ক বড় দলগুলোর জন্য যেমন সমস্যা তেমনি ছোট দলগুলোরও সমস্যা।

বড় দলগুলোর সমস্যা ক্ষমতা, যার সঙ্গে এবারে জড়িয়ে আছে অস্তিত্বের প্রশ্ন। বলাই বাহুল্য দুই বড় দলের যে দল জোট অক্ষু্ণ্ণ রেখে আসন বণ্টন যত ভালোভাবে সমাধান করতে পারবে, সেই দল থাকবে জনগণের রায়ের প্রশ্নে এগিয়ে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে করার কারণ রয়েছে যে, বিগত সময়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষই কিছু আসন উন্মুক্ত করে দিতে পারে।

তখন দুই বড় দল বাদে অন্য দলগুলোকে দুই বা তিন মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে হতে পারে। এমনটা হলে তা হবে অদ্ভুত! কেউ কেউ এমনটা বলেন যে, এই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটার পেছনে রয়েছে ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’। এই প্রসঙ্গে এবারে এটা বলতেই হয় যে, আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এবারে এই অভিযোগ ওঠেনি। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে, মনোনয়ন প্রশ্নে নেত্রী শেখ হাসিনা সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে নেয়ায় আওয়ামী লীগে তেমনটা হয়নি। বিএনপিতে তা প্রচণ্ডভাবে হয়েছে। এমনকি লন্ডনে গিয়ে বাম হাতের কাজ করে মনোনয়ন কেনা হয়েছে বলেও জানা যায়। জাতীয় পার্টিতেও তেমন হয়েছে বলে খবর রটেছে।

আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে যে হয় নাই, এটা শুভ লক্ষণ। সাম্প্রতিক সময়কালের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিচ্ছে, সর্বময় ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে যেমন আওয়ামী লীগের মতো মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হতে পারে; তেমনি হাওয়া ভবনের মতো লুটপাটের মৃগয়া ক্ষেত্রও সৃষ্টি হতে পারে। দেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার পথ নিয়ে যারা ভাবেন কিংবা গবেষণা করেন, তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া একান্ত প্রয়োজন। গণতন্ত্র যে একবাক্যে সোজা পথে চলে না, ভালো-মন্দ, চড়াই-উৎরাই নানা পথ যে অতিক্রম করতে হয়, তা বোধকরি এই অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিচ্ছে।

এদিকে মনোনয়নের পর যেমনটা ভাবা হচ্ছিল, তেমন কিছু কিছু লক্ষণ পরিদৃষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের পর কোথাও কোথাও অন্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য আবার কোথাও কোথাও মহাজোটকে আসন দিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ হয়েছে। কাফনের কাপড়ও পরে রাস্তায় শুয়ে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। এতে গ্রেপ্তার হওয়ারও খবর জানা গেছে। বিগত সময়ের চেয়ে এটা কম। তবে এতে আওয়ামী লীগের আত্মসন্তুষ্টির অবকাশ নেই।

বিগত সময়ের মতো বিদ্রোহী এবারেও দাঁড়াবে কি না কিংবা দলীয় প্রার্থীকে ‘সাইজ আপ’ করা ঘটনা কোথায় কতটুকু হবে, তা বলা শক্ত। তবে ঢাকা শহরের একটি আসনে আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন না পেয়েও মনোনীত প্রার্থী সাদেক খানের স্টেজে উঠে কাঁদার পরও সমর্থন করে যে সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেই স্পিরিট যদি আওয়ামী লীগ সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারে, তবে নিঃসন্দেহে লাভবান হবে। এ ক্ষেত্রে বলতেই হয়, গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও বিজয়ী কয়েকজনকে এবারে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই এমনটা এবারেও কমবেশি হতে পারে। জানা গেছে, বিদ্রোহী ও ‘সাইজ আপ’ কমাতে আওয়ামী লীগ একটা কমিটি গঠন করেছে। এটা যদি কার্যকর হয় তবে আওয়ামী লীগ এর সুফল পাবে।

এদিকে বিএনপি অনেক আসনেই দুই বা তিন জন প্রার্থী রেখেছে। একজন বাছাইয়ের পর কিংবা জামায়াত বা যুক্তফ্রন্টকে আসন দিয়ে দেয়ার পর বিক্ষোভ, বিদ্রোহী প্রার্থী প্রভৃতি থাকবে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। জাতীয় পার্টিতেও এমন অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরো মজার ব্যাপার হলো, তৃতীয় বিকল্প করার মানসে গঠিত বামজোট এখনো প্রার্থী প্রশ্নে একমত হতে পারেনি। জেতার আশা অবশ্য তাদের শূন্য। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন তারা করছে। কিন্তু তাতেও এখন পর্যন্ত সমঝোতা করতে পারেনি।

ব্যক্তির চাইতে দল বড় এই কথাটা এখন পর্যন্ত সব দলের জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক নেতারাই প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর দলের চাইতে দেশ বড় কথাটা তো দিল্লি দুরস্তের মতোই! নতুবা নির্বাচনের নাকের ডগায় রেখে রাজনীতি বিসর্জন দিয়ে কেবল আসনের জন্য দল বদল কিংবা দলে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে না। সুশীলরা এবারে এ ক্ষেত্রে ভালো খেলা দেখাচ্ছেন, হয়তো আরো দেখাবেন। ড. কামাল সুস্থ রাজনীতির কথা বলেন, এটা কি সুস্থ রাজনীতি!

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী মোটামুটি চূড়ান্ত করায় অনুধাবন করা যাচ্ছে, দেশব্যাপী বিতর্কিত ও ধিকৃত কারা কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ বলেছে যে, কয়েকটা জরিপের ভিত্তিতে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, দেশব্যাপী বিতর্কিত-ধিকৃত হলেও এলাকায় তাদের যথেষ্ট ভোট রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ যে এই দিকটা বিবেচনায় নিয়েছে, তা বুঝা যায় সাবেক সংসদ সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন ৪৬ জনকে দলটি মনোনয়ন দিয়েছে। গণসমালোচনা আওয়ামী লীগ যথাসম্ভব বিবেচনায় নিয়ে অগ্রসর হয়, এটা আবারো প্রমাণিত হলো। কিন্তু এটা কি করল বিএনপি! এই প্রশ্ন সামনে রেখে দৃষ্টি দেয়া যাওয়া যাক ২০০৭ সালের প্রথম আলো ইত্তেফাকসহ পত্রপত্রিকার খবর ও বাংলাভাইয়ের জবানবন্দির দিকে। একই রকম সব খবর।

জবানবন্দিতে বাংলাভাই বলেন, শুরুতে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শীষ মোহাম্মদের বাসায় তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কথোপকথন হয়। ব্যারিস্টার আমিনুল হক ছাড়াও তৎকালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গৃহায়ণ ও পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা, শামছুদ্দিন প্রামাণিক ও ডা. ছালেক চৌধুরী ও রাজশাহী সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো।

প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হওয়ার সময় তিনি বহুবার তার বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। অভিযান চলাকালে সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা জেএমবির তহবিলে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এ টাকা তিনি পুঠিয়া থানার ওসির মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দেন। তৎকালীন ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে বড় নেতারা সবাই বিএনপির মনোনয়ন তালিকায় রয়েছে। তাই কি বলা যাবে বিএনপির এই মনোনয়নকে। কি রূপ নিয়েছে এখন বিএনপি! জানি না কতটুকু প্রতিবাদ করবে নিরপেক্ষ দাবিদার সুশীল সমাজ ও পত্রিকাগুলো। এদিকে হাওয়া ভবনখ্যাত বাংলাভাই ও মুফতি গংদের প্রত্যক্ষ মদদদাতা, জামায়াতকে বুকে জড়িয়ে ধরার নায়ক, আইএসআইর সহচর এবং ডন ইব্রাহীমের সঙ্গে সংযোগকারী তারেক রহমান মনোনয়ন পর্বে বিএনপির সর্বেসর্বা রূপে অবির্ভূত হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বলাবলি হচ্ছে, ড. কামালের ঘাড়ে উঠে জিয়া দম্পতির ‘সুযোগ্য পুত্র’ ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছে। তিনিই বিএনপির অঘোষিত প্রজেকটেড প্রধানমন্ত্রী। তাই মনোনয়ন পর্বে যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে, তা হলো দেশ আবারো কি ২০০১-০৬ শাসনামলের মতো বিএনপি-জামায়াত জমানায় ফিরে যাবে? দেশ কি আবারো হবে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র অকার্যকর রাষ্ট্র? জনগণই দেশের মালিক, সব ক্ষমতার উৎস- তারাই রায় দিক কোন দল যাবে ক্ষমতায়! কি হবে দেশের!

লেখক : রাজনীতিক।

এইচআর/জেআইএম

ব্যক্তির চাইতে দল বড় এই কথাটা এখন পর্যন্ত সব দলের জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক নেতারাই প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর দলের চাইতে দেশ বড় কথাটা তো দিল্লি দুরস্তের মতোই! নতুবা নির্বাচনের নাকের ডগায় রেখে রাজনীতি বিসর্জন দিয়ে কেবল আসনের জন্য দল বদল কিংবা দলে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে না। সুশীলরা এবারে এ ক্ষেত্রে ভালো খেলা দেখাচ্ছেন, হয়তো আরো দেখাবেন। ড. কামাল সুস্থ রাজনীতির কথা বলেন, এটা কি সুস্থ রাজনীতি!

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।