লাইসেন্সবিহীন চালকের ঔদ্ধত্য!

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৯ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরছে না। বরং দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে চালকরা। আইন-কানুন কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। যাত্রীদের সাথে অশোভন আচরণ, মারধরের ঘটনাও ঘটছে। যা অনাকাঙ্খিত। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে যে কোনো উপায়ে। মানুষজন গণপরিবহনের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি চায়।

এবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে দৈনিক প্রথম আলোর অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক কমল জোহা খানকে (৩৮) মারধরের পর ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নিউ ভিশন বাস চালকের বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পল্টন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে ট্রাফিক সদস্যদের সহযোগিতায় চালক মো. রাসেলকে (২৬) বাসসহ (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-২৫৩৯) আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার ও তাদের উপর দিয়ে বাস চালিয়ে যাবার হুমকিও দেয় চালক।

শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন আহত সাংবাদিক কমল জোহা খান। চালকের লাইসেন্স ও বাসটির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। নেই রুট পারমিটও। কমল জোহা খান গণমাধ্যমের কাছে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা শিউরে উঠার মত- ‘অফিস শেষে প্রেস ক্লাব যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্ত্রীকে নিয়ে কারওয়ান বাজার থেকে নিউ ভিশন বাসে উঠি। উঠার সময় বাসে অল্প যাত্রী ছিল। তবে বাংলামোটরে যেতেই সিটিং সার্ভিস হওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত ১০/১৫ জন যাত্রী উঠায়। মৎস্য ভবন পার হওয়ার পর হেলপারকে বলি সামনেই প্রেস ক্লাব যাত্রীদের সরিয়ে আমাদের নামার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু হেলপার ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত। বাসটি প্রেস ক্লাব পার হয়ে পল্টন মোড়ের পশ্চিম পাশে পৌঁছায়। এবার চালককে বাস থামাতে বললে তিনি রেগে যান। ইঞ্জিন বন্ধ করে চালকের আসন থেকে নেমে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার শুরু করে। প্রতিবাদ করায় মুখে, মাথায় ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সজোরে ঘুষি ও লাথি মারেন। বাসের মেঝেতে পড়ে গেলে চালক পকেট থেকে পাঁচশ টাকা বের করে নেয় এবং স্ত্রী ও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়।’

একজন চালকের ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে গেছে যে যাত্রীর গায়ে হাত তুলতেও পিছপা হচ্ছে না। তাও আবার চালকের লাইসেন্স নেই। গাড়িরও নেই রুট পারমিট। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে খোদ রাজধানীতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে চলছে এসব গাড়ি। এদের শাস্তি হয় না বলে এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে সাহস পায়। উল্লিখিত ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চালককে আটক করা হয়েছে। দোষীদৈর উপযুক্ত শাস্তিই কাম্য।

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কথা হয়েছে। এবার সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার। গণপরিবহন নিশ্চিত এবং যাত্রীস্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো শৈথিল্য কাম্য নয়।

এইচআর/জেআইএম

একজন চালকের ঔদ্ধত্য কোন পর্যায়ে গেছে যে যাত্রীর গায়ে হাত তুলতেও পিছপা হচ্ছে না। তাও আবার চালকের লাইসেন্স নেই। গাড়িরও নেই রুট পারমিট। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে খোদ রাজধানীতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে চলছে এসব গাড়ি। এদের শাস্তি হয় না বলে এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে সাহস পায়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।