উদ্বেগজনক

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮

এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে নারীরাও জঙ্গিবাদের মত ভয়ঙ্কর বিষয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। নরসিংদীতে যার সর্বশেষ নজির দেখা গেল। শেষ পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি ছাড়াই জঙ্গি আস্তানা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আত্মসমর্পণ করেছে দুই নারী জঙ্গি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যাতে জঙ্গিবাদে যুক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারেও চালাতে হবে সর্বাত্মক কার্যক্রম।

স্বস্তির বিষয় যে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ছোট গদাইরচরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা নিলুফা ভিলা থেকে দুই নারী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে। বুধবার বিকেল ৩টায় অভিযান শেষ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আত্মসমর্পণ করা দুই নারী জঙ্গি হচ্ছে- ইশরাত জাহান ওরফে মৌসুমী ওরফে মৌ (২৪) ও খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা (২৫)।

এর আগে সোমবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মাধবদী পৌরসভার ছোট গদাইরচর গাঙপাড় এলাকার আফজাল হাজির সাত তলা ভবন ‘নিলুফা ভিলা’ এবং সদর উপজেলার শেখেরচরের দীঘিরপাড় এলাকার বিল্লালের বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। এর মধ্যে মঙ্গলবার ‘অপারেশন গর্ডিয়ান নট’ নামে এ অভিযানে শেখেরচর ভগীরথপুরে নারীসহ দুই জঙ্গি নিহত হয়।

নারীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নারীরা স্বামীর কারণে বাধ্য হয়ে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত হয়। পুলিশের ভাষ্যমতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর পুরুষ সদস্যরা অন্য সদস্যদের আত্মীয়দের বিয়ে করছে এবং বিয়ের মাধ্যমে নারীদের সরাসরি জঙ্গিবাদে যুক্ত করছে।

জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই তাদের বোনদেরও এ পথে নিয়ে আসছে। কারণ, সংগঠনে নারী সদস্য থাকলে স্ত্রী-সন্তানসহ যাতায়াত করা, অস্ত্র বহন করা, তথ্য সংগ্রহ করা সব ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। অনেকক্ষেত্রে নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। রাজি নাহলে বিবাহিত নারীদের তালাক দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় নারীদের জঙ্গিবাদের মতো বিষয়ে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের। এতে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। সন্দেহ, অবিশ্বাস দানা বাঁধছে। তাই যে কোনো মূল্যে জঙ্গিবাদের মত বিষয় থেকে তাদের দূরে রাখতে হবে। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেও এর কোনো বিকল্প নেই। জঙ্গিবাদ রুখতে সমাজের সর্বস্তরে ঘটাতে হবে নবজাগরণ।

এইচআর/জেআইএম

জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই তাদের বোনদেরও এ পথে নিয়ে আসছে। কারণ, সংগঠনে নারী সদস্য থাকলে স্ত্রী-সন্তানসহ যাতায়াত করা, অস্ত্র বহন করা, তথ্য সংগ্রহ করা সব ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। অনেকক্ষেত্রে নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। রাজি নাহলে বিবাহিত নারীদের তালাক দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।