শুভ জন্মদিন তারুণ্যের নেত্রী

সিলভিয়া পারভিন লেনি
সিলভিয়া পারভিন লেনি সিলভিয়া পারভিন লেনি , কলাম লেখক
প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 

বিশ্বের আজ যত বড় বড় নেতা, রাষ্টনায়কদের নাম উচ্চারিত হয় তার মধ্যে বাংলাদেশ ও তার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সকল বৈষম্য অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তার নেতৃত্ব আজ সারাবিশ্বে প্রশংসিত। তিনি এখন উন্নয়নের রোল মডেল এর প্রধান কারিগর।

বাংলাদেশ এর মতো এত ছোট দেশ তার নেতৃত্বে যে ভাবে এগিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে তা এক কথায় মিরাকল। সময়ের সাথে সাথে নিজের ভেতরের মানুষকে যে তারুণ্যের শক্তিতে জয় করা যায় তা তিনিই একমাত্র দেখিয়েছেন। বাংলাদেশ আজ তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান একটি উন্নয়নশীল দেশ। বিগত এক দশকে আমাদের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ হার ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে আমাদের রপ্তানি আয় ও বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় নয় গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে। ১৯৯১ সালে আমাদের দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ, বর্তমান সরকার ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অতিদারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেই তার সরকার কাজ করছে।

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার বাবা, মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যার মা, তাদের সন্তান শেখ হাসিনা এমনই এক নেতা হবেন তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। শেখ হাসিনার উপর অনেক আঘাত, আক্রমণ তার বিরুদ্ধে শত ষড়যন্ত্র হয়েছে যেগুলো তিনি সারাজীবন ধরে সাহসের সাথে মোকাবেলা করেছেন ও জয় করেছেন। ঠিক যেনো "পরাজয়ে ডরে না বীর"।

শেখ হাসিনা বর্তমান সময়ের বীর। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যেভাবে গোছাতে চেয়েছিলেন, যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তা পূরণ হয়নি ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাত্রির কারণে।

এরপর যেসব কুচক্রী মহল বাংলাদেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের কুক্ষিগত করেছিল তারা ব্যস্ত ছিল হত্যা, লুণ্ঠন, ক্যু আর দূর্নীতিতে। একটা দেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে তুলে ধরতে যে শক্তি, মনোবল, দৃঢ়তা, ইচ্ছা আর পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল তার কোনটাই ছিল না বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সরকার গুলোর মধ্যে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে- সোনার বাংলা বানানোর। তার ফলশ্রুতিতে তিনি বিদেশ থেকে শত বৈরিতা সত্ত্বেও, জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে এসে হাল ধরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর। একের পর বাধা, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্ব মঞ্চের এক অনন্য উচ্চাতায়।
অর্থনৈতিকভাবে আজ বাংলাদেশ যেমন শক্তিশালী তেমনই বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের প্রভাবও এখন অনেক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে মাথা উঁচু করেই চলে বাংলাদেশ। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ তলাবিহীন ঝুড়ি বলার কথা চিন্তাও করতে পারে না। তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের রোল মডেল।

তরুণ প্রজন্মকে সাথে রেখে শেখ হাসিনা একের পর এক কাজ করে চলছেন, বাংলাদেশকে বানিয়েছেন "ডিজিটাল বাংলাদেশ"। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাইতো তিনি আজ প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, একজন জনপ্রিয় নেতা। তরুণদের মেধা, মননকে কাজে লাগাতে তিনি একের পর এক তৈরি করছেন আইটি পার্কসহ নানাবিধ কর্মপরিবেশ, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালয়, যেন তরুণ প্রজন্ম বেকার না থাকে।

ভিশন ২০২১ এর যে রুপরেখা দিয়েছিলেন তিনি তা আজ বাস্তব। তার সব কর্মকাণ্ডে, নিজ দলে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সংসদে তরুণ প্রজন্মকে প্রাধান্য দেওয়াই প্রমাণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে তিনি কতটা উৎসাহিত করেন।

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি, ১৬ কোটি জনতার প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত এই বিশ্বনেত্রীকে জানাই জন্মদিনের অন্তর্ময় শুভেচ্ছা। সেই সাথে নিরন্তর শুভ কামনা। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাক।

লেখক : পরিচালক রেডিও ঢোল।

এইচআর/এমএস

‘আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি, ১৬ কোটি জনতার প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত এই বিশ্বনেত্রীকে জানাই জন্মদিনের অন্তর্ময় শুভেচ্ছা। সেই সাথে নিরন্তর শুভ কামনা। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাক।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।