গাজীপুর সিটির নির্বাচন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ২৮ জুন ২০১৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ৪১৬টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতকীকে চার লাখ ১০ ভোট পেয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের চেয়ে প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৬১১ ভোট। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় মেয়র পদের ভোট গণনা শেষ হয়। এরপরই তাকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্র ৪২৫ টি। এর মধ্যে অনিয়ম ও ব্যালট লুটপাটের কারণে ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয় গত মঙ্গলবার বিকেল চারটায়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত এ ফলই চূড়ান্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তাই বিজয়ী প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এরপর ফল পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে। সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৭ জন মেয়র পদে, ৮৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৫৭টি সাধারণ এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বিশিষ্ট এ সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এটি জাতীয় নির্বাচনের রূপ লাভ করে। দলীয় প্রার্থীদের জয় ছাপিয়ে রাজনৈতিক নানা হিসাব-নিকাশও কাজ করে। বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করেছেন। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়ম হয়েছে-এমনটি বলা হচ্ছে। তারা পুনরায় নির্বাচনের দাবিও জানাচ্ছেন। গাজীপুর সিটির নির্বাচনের ফল দেখে তারা তফসিল ঘোষিত বাকি তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। নির্বাচনের পর গাজীপুরে অনিয়মের অভিযোগ করলেও বাকি তিন সিটির নির্বাচনে বিএনপি থাকছে- এমনটিই বলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থক-কারো ভূমিকা কম নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। আগামী নির্বাচনগুলোতেও বিষয়টি মনে রাখতে হবে। গাজীপুরে নবনির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে অভিনন্দন। ভোটারদের আস্থার প্রতি তিনি সুবিচার করবেন-এমনটিই প্রত্যাশিত।

এইচআর/জেআইএম

‘একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থক-কারো ভূমিকা কম নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। আগামী নির্বাচনগুলোতেও বিষয়টি মনে রাখতে হবে। গাজীপুরে নবনির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে অভিনন্দন। ভোটারদের আস্থার প্রতি তিনি সুবিচার করবেন-এমনটিই প্রত্যাশিত।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।