কিশোর অপরাধীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০২ জুন ২০১৮

এটা খুবই উদ্বেগজনক খবর যে দেশে কিশোর অপরাধ বাড়ছে। অবস্থা এমন হয়েছে খুনখারাবির মত ঘটনাও ঘটছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করা হচ্ছে। শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত সর্বত্র একই অবস্থা।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বখে যাওয়া কিশোর অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড, অপহরণ ছিনতাই থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এমনকি টাকা পেলে যে কাউকে হত্যা করতে দ্বিধা করে না তারা। পাড়া-মহল্লায় গ্রুপ বেঁধে চলাফেরা করে এরা। গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডায় লিপ্ত থাকে। স্কুল-কলেজের মেয়েদের দেখলেই নানাভাবে হয়রানি করে। এ অবস্থার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

কিশোর এসব অপরাধীর ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিপথগামী এসব কিশোরদের যদি এখনই ফেরানো না যায় তাহলে এর চরম মূল্য দিতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালের এসব কিশোরদের হিতাহিত জ্ঞান খুব একটা কাজ করে না। অনেক ক্ষেত্রে এরা পারিবারিক সান্নিধ্য থেকেও বঞ্চিত হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ও পেয়ে থাকে এরা। ফলে হয়ে ওঠে আরো বেপরোয়া। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে। সমাজকে অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে। পারিবারিক বন্ধন, নৈতিক শিক্ষা, অনুশাসনও এদের বিপথ থেকে ফেরাতে পারে। কাজেই এ ব্যাপারে পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, কার সাথে মেশে- এটা নজরদারিতে রাখলে অনেক সমস্যা থেকেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

এইচআর/জেআইএম

‘বয়ঃসন্ধিকালের এসব কিশোরদের হিতাহিত জ্ঞান খুব একটা কাজ করে না। অনেক ক্ষেত্রে এরা পারিবারিক সান্নিধ্য থেকেও বঞ্চিত হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ও পেয়ে থাকে এরা। ফলে হয়ে ওঠে আরো বেপরোয়া।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।