বজ্রের আজাব : তালগাছে ভরসা

মোস্তফা কামাল
মোস্তফা কামাল মোস্তফা কামাল , সাংবাদিক
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে ২০১৮

কৃষিক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে নিহত হলে কৃষকের পরিবারকে দুই লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। উদ্যোগ হিসেবে তা অবশ্যই দরদী। কিন্তু, টাকা তো সমাধান নয়। টাকায় এ শোক কাটবে না কোনো পরিবারের। দরকার প্রতিকার। যথাসম্ভব প্রতিরোধ। সতর্কতা। বজ্রপাতে ডজন ডজন মৃত্যু ও ঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতিতে সম্প্রতি তালগাছ খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে খোলা প্রান্তর ও বজ্র নিরোধক বৃক্ষের অভাবকে। সেই শ্রেণির অন্যতম বৃক্ষ তালগাছ। তা না থাকায় গ্রামাঞ্চলে বজ্রমৃত্যুর হার বেশি। শহরাঞ্চলের অনেক বাসাবাড়িই এখন বজ্র নিরোধক। গ্রামাঞ্চলে বজ্রপ্রতিরোধক হয়ে কাজ করতে পারে শুধু বিশাল বৃক্ষ। বিশালতা ও শক্ত-সামর্থের প্রশ্নে সেটা হলো তালগাছ। বজ্রপাত উঁচু কিছুতে আঘাত করে বলে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকেই বেছে নেয়া হয়।

সরকারের দিক থেকেও তালগাছের ব্যাপারে তাগিদ ও পরামর্শ ছিল। শোনা গিয়েছিল, সরকারিভাবে সারা দেশে ১০ লক্ষাধিক তালগাছ রোপণের পরিকল্পনার কথা। 'কাজের বিনিময়ে খাদ্য' ও 'কাজের বিনিময়ে টাকা' কর্মসূচির নীতিমালা পরিবর্তন করে এই কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতার আলোকে এই কর্মসূচি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। তালগাছের সুবাদে দেশ দুটিতে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় কিছু চিঠি চালাচালিও করেছে। কিন্তু এর ফলো আপ অজানার খাতায়ই পড়ে আছে।

বজ্রপাত গত ক’দিন মূর্তিমান আতঙ্ক। বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ এখনো সুনির্দিষ্ট নয়। তবে, আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উষ্ণায়নের ফলে মেঘ তৈরির তীব্রতা বাড়ছে। পরিবেশ আগের তুলনায় উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল অবস্থানে আসতে অনেক সময় নিচ্ছে। এতে বাষ্পায়ন ছড়ছে বেশি। বাড়ছে মেঘ তৈরির তীব্রতা। পরিণতিতে বাড়ছে বজ্রপাত। বাতাসে ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহ যত দ্রুততর হয়, বজ্রপাত তত বেশি মাত্রায় হয়। পজিটিভ ও নেগেটিভ মেঘ থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনকালে বজ্রের সৃষ্টি হয়, তখন মেঘের ভেতরে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন গ্যাসের সম্প্রসারণ ঘটে। এতে প্রচুর ঝলকানি দিয়ে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে বজ্র। তখন এর সামনে মানুষ বা পশুপাখি যা পড়ে, তারই নির্ঘাত মৃত্যু।

এটি বজ্রপাতের বাহ্যিক তথা বৈজ্ঞানিক কারণ। ধর্মাশ্রয়ীদের মত ভিন্ন। তারা বজ্রপাতকে আসমানি গজব, নাহালত ইত্যাদি বলতে অভ্যস্ত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, বজ্রপাত আল্লাহর মহশক্তির একটি নিদর্শন। যা দিয়ে বান্দাদের সাবধান করা হয়। শাস্তি দেয়া হয়। যদিও সব ক্ষেত্রে পরম করুণাময় আল্লাহ এমনটি করেন না। সুরা রা’দের ১৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বজ্র তাঁরই তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তাঁর ভয়ে ফেরেশতাগণও তাসবিহরত। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান, তারপর যার ওপর ইচ্ছা একে বিপদরূপে পতিত করেন।

এর সারমর্ম হচ্ছে, মানুষের অপকর্মই বজ্রপাতের মূল কারণ। বিজ্ঞান ও ধর্মের ব্যাখ্যা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। বজ্রপাতের হানায় বাংলাদেশের হালহকিকত বড় করুণ- এটাই খাসকথা। এ তথ্য নিয়ে কোনো বিরোধ বা মতান্তর নেই। সর্বশেষ জরিপে বর্তমান বিশ্বে সব’চে বজ্রপাতপ্রবণ দেশ বাংলাদেশ। আগামীতে তা আরো বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট সেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমালয়ের পাদদেশ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের এ অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরও এ নিয়ে একটি গবেষণায় রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বজ্রপাত বাড়ে অন্তত ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের জন্য এটি ভয়ঙ্কর খবর। এ তীব্রতা বুঝে ২০১৬ সালের মে মাসে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

জলবায়ুতে ওলটপালটের জের সইছে গোটা বিশ্ব। দেশে দেশে বজ্রপাত, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমি-পাহাড় ধস, খরা, অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টির এমন হানা বছর কয়েক আগেও দেখা যায়নি। অস্বীকার করার জো নেই নৈতিকতা ও ধর্মচর্চা দুটার হালই বড় করুণ। প্রকৃতির ওপর অবিচার ভয়াবহ। তাপে-পাপে গোটা জগতই কম-বেশি আক্রান্ত।

রাজনৈতিক-সামাজিক দুর্যোগের সঙ্গে প্রাকৃতিক নানা দুর্বিপাক। কখনো কখনো শোনা যায়, বজ্রপাতে নিহতের লাশ চুরি করে বেচাকেনার জঘন্য তথ্যও। আদম সন্তান আশরাফুল মাখলুকাত (শ্রেষ্ঠ জীব) হয়ে থাকলে মৃত্যুর পরও অবশ্যই সম্মানিত। এর বাইরেও সৃষ্টি ও প্রকৃতির ওপর অত্যাচার কম হচ্ছে না। আমরা নিজেরাই নিজেদের তৈরি আবর্জনা খাচ্ছি- এমন কথা শোনা গিয়েছিল সত্তরের দশকে।

পরিবেশ দূষণের পরিনাম নিয়ে কিছুটা নড়াচড়া শুরু হলেও সচেতনতা সেই মাত্রায় বাড়েনি। সমস্যাটি বৈশ্বিক। পরিবেশ দূষণ যেই করুক ভোগান্তি সবার জন্যই শিরোধার্য। এর কোপ থেকে নিস্তার নেই কারোই। প্রাচীরশূন্য আকাশের মতো এক দেশের দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে আরেক দেশে। বিজ্ঞানীদের কাছে বিশুদ্ধতম জলাধার নামে পরিচিত সুমেরু অঞ্চলের সমুদ্রের পেটেও না-কি এখন প্লাস্টিক বর্জ্যের পাহাড়। গ্রিনল্যান্ডের চারপাশে আর বারেন্টস সাগরে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে জমা হচ্ছে সেখানে। প্লাস্টিকের বোতল, খেলনা, মাছ ধরার জাল, দড়ি, সূতা, জুতা এমন কি টুথব্রাশ পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে সেই বিশুদ্ধ জলাধারে। হিসাব বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা মাছের ওজনের চেয়েও বেশি হবে। বড় উদ্বেগজনক তথ্য।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন বিশ্বের বিভিন্ন মেরুতেই। সঙ্গে ইবোলা, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, নিপাহ্ অ্যানথ্রাক্স, এইচআইভিসহ নতুন-পুরান বিমারীর ছড়াছড়ি। বাংলাদেশে জলোচ্ছ্বাস, বন্যা-পাহাড় ধসের সঙ্গে উদ্বেগজনক মাত্রায় যোগ হয়েছে বজ্রপাত। ভারতে মহাপ্লাবন। তলিয়ে গেছে মুম্বাইয়ের মতো উঁচু শহর। ফ্লোরিডা, মেক্সিকোসহ কয়েকটি অঞ্চল প্রলয়ঙ্করী ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত। তা সামলাতে আমেরিকার মতো দেশও নাস্তানাবুদ। প্রকৃতির উপর জুলুম-অত্যাচারের কৃতকর্মের একটা প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক।

ইঁদুর, বাদুর, বিড়াল, গরু-ছাগল, হাস-মুরগিসহ বিভিন্ন পশু-পাখি ও কীট-পতঙ্গ বাহিত অসুখও বাড়ছে। বাংলাদেশে চিকনগুনিয়ার পর জ্বরের রাজ্যে সুপার ম্যালেরিয়া নামের আরেক প্রভাবশালী সদস্যের আতঙ্ক। এ আচানক জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। বেশি জেকে বসেছে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও লাওসে। চিকিৎসকরাও উদ্বিগ্ন এ নিয়ে। কারণ সুপার ম্যালেরিয়ার কোনো দাওয়াই এখন পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। জলবায়ু পরিবর্তন, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন কারণে গত ২৫ বছরে আরও নতুন ৩৫টি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ। বন উজাড়, নদী দখলেও মানববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেখানে মানুষ বেশি, সেখানে ক্ষতি বেশি।

জলবায়ু ওলটপালটে রোগ-বালাইয়ের বাইরে বিশ্বে বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০০ সালে যেখানে বছরের একটি নির্ধারিত সময়ে দুইবার বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়েছে, সেখানে এখন একই সময়ে তিনবার বজ্রপাত হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে শুধু এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশে বজ্রপাত বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। উপকূলীয় এলাকায় এর মাত্রা কয়েক গুণ বেশি। বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। সারা পৃথিবীতে যত মানুষ মারা যায় তার এক-চতুর্থাংশ মারা যায় এ দেশে। বজ্রপাত বেড়ে যাবার কারণ নিয়ে বাংলাদেশে বিস্তারিত গবেষণা নেই। তবে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন গবেষক এর নানা কারণ জানাচ্ছেন।

বাংলাদেশে বজ্রপাতে নিহতদের বেশিরভাগই মাঠে কাজ করেন। বন্যা এবং সাইক্লোনের মতো দুর্যোগের ক্ষেত্রে কিছু প্রস্তুতি নেবার সুযোগ থাকলেও বজ্রপাতের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। বিষয়টি আকস্মিক। তারপরও মেঘের ঘনঘটা দেখে বজ্রপাতের শঙ্কা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। সেই আলোকেই নিতে হয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। বজ্রের আজাব বা হানা থেকে রক্ষার কিছু উপায়ও রয়েছে। এর অন্যতম দাওয়াই তালগাছ। শক্ত মজবুত গভীরমূলী বলে ঝড়-তুফান, টর্নেডো, বাতাস প্রতিরোধ ও মাটি ক্ষয় রোধে তালের গাছের ভূমিকা অতুলনীয়। তালগাছ বজ্রপাতের আক্রমণ রুখতে পারে এমন একটি বিশ্বাস প্রচলিত গাঁও গেরামে।

‘তালগাছ আমার’- এ মানসিকতা কেউ ছাড়তে চান না। আবার তালগাছ লাগাতেও গরজ কম মানুষের। অধিকাংশ মানুষ তালগাছ লাগিয়ে এর ফল খেয়ে যেতে পারেন না। তার ফল-সুফল নেয় পরবর্তী প্রজন্ম। আর কেউ কেউ মধ্য কিংবা শেষ বয়সে এসে তালগাছ লাগাতে পছন্দ করেন। যে কারণে জীবদ্দশায় তালগাছ মারা যাওয়ার ঘটনা কেউ কোনোদিন দেখেননি। এ গাছটির দানের ক্ষমতা অনেক। একপায়ে দাঁড়ানো তালগাছ নিরপেক্ষতারও প্রতীক। আকাশ পানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই তালগাছ কারো ধার ধারে না। কারো কাছে কিছু চায় না। নেয় না। শুধু দেয়। তালগাছে পরিশ্রম ও ঐক্যের প্রতীক বাবুই পাখির ঝুলন্ত মনোরম বাসা রাজনীতি, অর্থনীতি, গণতন্ত্রসহ কতো কিছুর উপমা। শির উঁচা করে সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি দেয়া তাল গাছের গুরুত্ব আমাদের শিল্প-সাহিত্যেও।

গুচ্ছমূলী বৃহৎ অশাখা এই বৃক্ষটি হায়াত পায় দেড়’শ বছর পর্যন্ত। রোগ-বালাইও কম। বাড়েও বুঝে-শুনে, ধীরে, শিনা টান করে। তালগাছের চরিত্র-বৈশিষ্ট্যে কোনো গোলমাল নেই। কারো পক্ষে-বিপক্ষে যায় না। সাইকাস প্রজাতির শক্ত মেরুদণ্ডী এ উদ্ভিদটি হয় পুরুষ, নইলে স্ত্রী। মোটেই উভলিঙ্গ হয় না। ফুল-ফলেও একই ঘ্রাণ। তালকে কিলিয়ে পাকানো যায় না। যথানিয়মে পাকার পর আপনি ঝরে পড়ে যথাসময়েই। তালের আঁশ এবং ছালবাকলার ইউটিলিটিও অনেক। কষ্টসহিষ্ণু ও শাখা-প্রশাখা না থাকায় আশপাশের জমির ফসলের ক্ষতি করে না।

লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন।

এইচআর/আরআইপি

‘‘তালগাছ আমার’- এ মানসিকতা কেউ ছাড়তে চান না। আবার তালগাছ লাগাতেও গরজ কম মানুষের। অধিকাংশ মানুষ তালগাছ লাগিয়ে এর ফল খেয়ে যেতে পারেন না। তার ফল-সুফল নেয় পরবর্তী প্রজন্ম। আর কেউ কেউ মধ্য কিংবা শেষ বয়সে এসে তালগাছ লাগাতে পছন্দ করেন। যে কারণে জীবদ্দশায় তালগাছ মারা যাওয়ার ঘটনা কেউ কোনোদিন দেখেননি। এ গাছটির দানের ক্ষমতা অনেক।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।