সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা হোক

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ০২ এপ্রিল ২০১৮

আজ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে বসছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী। উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গত ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে প্রশ্নফাঁসের ফাঁস থেকে তাদের মুক্তি দিতে হবে।

প্রস্তাবিত রুটিন অনুযায়ী আজ ২ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। এরপর টানা পাঁচদিন চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবার কম্পিউটার বিষয়ে আলাদাভাবে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। আইসিটি বিষয়ের মধ্যে কম্পিউটার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে প্রতি বছর এ পরীক্ষা মোট ৪৪ দিন ধরে আয়োজিত হলেও এবার দুদিন কমিয়ে ৪২ দিন পর্যন্ত চলবে এইচএসসি পরীক্ষা।

এ বছর ঢাকা বোর্ডে মোট ৫৮টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নফাঁস ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছরের চাইতে এবার মোট ছয়টি কেন্দ্র কমানো হয়েছে। বাতিল কেন্দ্রগুলো মধ্যে ড. শহীদুল্লাহ কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ধানমন্ডির নিউ মডেল কলেজ, ঢাকা ক্যান্ট গালর্স কলেজ, আবতাব নগরের ইমপেরিয়াল কলেজসহ আরো একটি কলেজ রয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক পরীক্ষার্থীদের প্রতি একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।

বলতে গেলে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এই পরীক্ষার্থীরাই আগামীতে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি একটি মহাসমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এবার যেন কোনো অবস্থাতেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার্থীদেরও কোনো গুজবে কান না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। আর পরীক্ষাকে নকলমুক্ত রাখতেও সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। সকল পরীক্ষার্থীর জন্য রইলো আমাদের শুভ কামনা।

এইচআর/জেআইএম

‘পরীক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে প্রশ্নফাঁসের ফাঁস থেকে তাদের মুক্তি দিতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।