কিভাবে সইবো এ বেদনাভার

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৮

নেপালে ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। দুর্ঘটনার খবরে গোটা দেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পরিবারের প্রিয়তম মানুষটিকে হারিয়ে বেদনার্ত হয়েছেন স্বজনহারা মানুষজন। এই শোক কাটিয়ে ওঠা সত্যি এক কঠিন কাজ। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রার্থনাও রইলো।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ চার ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে সোমবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে এমনটি বলা হচ্ছে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের, ৩২ জন বাংলাদেশের নাগরিক। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের পাশে ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালে নেয়ার পর ১৮ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। নিহতদের মধ্যে ২১জন নেপালি, চীন ও মালদ্বীপের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের প্রধান পাইলট আবিদ সুলতানসহ অন্য তিন ক্রুও মারা গেছেন। বিমানের অন্য তিন ক্রু হলেন, কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ, খাজা হোসাইন মোহাম্মদ শাফি ও শামিম আক্তার।

ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট নয়। অবতরণের আগে বিমানের চাকায় গোলোযোগ দেখা দিয়েছিল একটি সূত্রে এমনটি বলা হচ্ছে। অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় বলে অন্য একটি সূত্র বলছে। নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি ঝুকিপূর্ণ বন্দরগুলোর একটি। পাহাড়ঘেঁষা এই বন্দরে বিমান ওঠানামায় বেগ পেতে হয় পাইলটদের। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

প্রতিটি জীবন মূল্যবান। জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। এরপরও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে হবে দ্রুত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ঘটনায় কারো কোনো গাফিলতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটিও তদন্ত করে দেখতে হবে।

এইচআর/জেআইএম

‘প্রতিটি জীবন মূল্যবান। জীবনের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। এরপরও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে হবে দ্রুত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ঘটনায় কারো কোনো গাফিলতি বা অনিয়ম হয়ে থাকলে সেটিও তদন্ত করে দেখতে হবে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।