ঐক্য যেন ভেঙে না যায়: আদিলুর

গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই কোনো শক্তি যেন ঐক্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করতে না পারে। আমাদের ঐক্য যেন ভেঙে না যায়। আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো দুর্বলতার সুযোগে আবারও ফ্যাঁসিবাদ ফিরে আসার চেষ্টা করতে পারে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা হবে।
উপদেষ্টা আদিলুর বলেন, পাঁচ আগস্টের শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের বইমেলা। আমাদের এ কথাটি মনে থাকে যেন। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়ে যে ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ বদলে দিয়েছে সেই বদলে যাওয়া ন্যারেটিভের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের এই বইমেলা।
এ বইমেলা শেষ চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলাপ্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।
আদিলুর রহমান বলেন, গণমানুষের ঐক্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ যেটা আশা করে, সেটা হচ্ছে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। একুশ মানে মাথা নত না করা। আজকে তো পয়লা ফেব্রুয়ারি। আমাদের ২১শে ফেব্রুয়ারি এবার যেন সেটা মনে রেখেই করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা মনে করি বইপড়ার কোনো বিকল্প নেই। তাইতো পবিত্র আল কোরআনের প্রথম আয়াত- ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’।
তিনি বলেন, আজকে বইমেলার স্টলগুলোতে আমাদের যাওয়া উচিত। সবার বই কেনা উচিত। আমরা বই না কিনলে লেখক ও প্রকাশকরা নিরুৎসাহিত হবেন। বই না পড়লে আমাদের জ্ঞানের পরিধিও বাড়বে না। তাই বই কিনতে হবে, বই পড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রাম-২০২৫ এর আহ্বায়ক চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের শাহাবুদ্দিন বাবু ও আলী প্রয়াস প্রমুখ।
এমডিআইএইচ/এমকেআর