সীমানা নির্ধারণ আইনের জটিলতা কাটাতে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ/ফাইল ছবি

বিদ্যমান সীমানা নির্ধারণ আইনের জটিলতা দূর করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের কাছে সংশোধন প্রস্তাব পাঠাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ লক্ষ্যে ইসির এ সংক্রান্ত কমিটিকে আগামী কমিশন সভার মধ্যে প্রস্তুতি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাশাপাশি ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে আরও গবেষণা করে পর্যালোচনা মতামত কমিশনে উপস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ১১টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পরে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সভায় বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত আমরা বেশকিছু কমিটি গঠন করেছি।

ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর পর্যালোচনার বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের মনে হয়েছে এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। সুতরাং সংশ্লিষ্ট কমিটিকে আরও পর্যালোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, দেশের জনসাধারণের শহরমুখী প্রবণতা রয়েছে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে করলে শহরের দিকে আসন সংখ্যা বাড়বে, অন্য এলাকায় কমে যাবে। সেটা সঠিক রিপ্রেজেন্টেশন হবে না বলে কমিশন মনে করে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ পর্যালোচনার বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, এর দুটি বিষয় সমস্যার সৃষ্টি করছে। মূলত জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এ সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি করা হয়। আমরা ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থান, সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে চাচ্ছি।

‘একটি উপধারায় করণিক (টাইপিং মিসটেক) ভুল রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। আসলে সেটা হওয়ার কথা নয়। আমরা সমস্যাটি তুলে ধরে সংশোধনের (সরকারের কাছে) জন্য লিখবো।’ যোগ করেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

যে কারণে সীমানা নির্ধারণে সংশোধন চায় ইসি

সীমানা নির্ধারণ আইনের বিষয়ে ইসি সুপারিশ আকারে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগে আমাদের কমিশনে আসুক, তারপর কমিশন মনে করলে পাঠাবো। আমরা যেগুলো পাঠাবো- সীমানা নির্ধারণের ভুলটা।

বিজ্ঞাপন

এ নির্বাচন কমিশনার জানান, বলা রয়েছে- আইনের ধারা ৮ এর উপধারা ১, ২, ৩ এ- ইসি যে গ্রাউন্ডে সীমানা নির্ধারণ করতে পারে, বিশেষ কারণে এবং যা-ই থাকুক ১ উপধারা করতে পারবে না। ৮ এর ২ লিখতে গিয়ে ১ লেখা হয়েছে।

এই কমিশনারের ভাষ্য, একই আইনের সাংঘর্ষিক প্রভিশন থাকলে তাহলে আমরা করতে পারবো না; তাহলে এটা রিমুভ করতে হবে। এ জিনিসটার কারেকশন চাইবো। এটা ডেফিনেটলি পাঠাবো। আমরা সংশোধনের প্রস্তাব দিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে ৪১টি আসনে এরই মধ্যে ২৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কী সিদ্ধান্ত আসে সংস্কার কমিশনেরও সুপারিশ রয়েছে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কমিটি পরবর্তী কমিশন সভায় উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তাদের প্রস্তুতি জানাবে। এখনো আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। ইসিকে সিদ্ধান্তের জন্য ওয়েট করতে হচ্ছে।

‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে ইসির আইন সংশোধন প্রস্তাব কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি করবে না বলে মনে করে ইসি।’ বলেন এই কমিশনার।

এমওএস/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।