রিজওয়ানা হাসান

গাছ লাগিয়ে ধুলিদূষণ কমানো সম্ভব, যা পদ্মা সেতু এলাকায় দেখা গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান//ফাইল ছবি

সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানোর মাধ্যমে ধুলোবালির দূষণ কমানো সম্ভব, যা পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় এরই মধ্যে দেখা গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন আগামী বছর শীতকালে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প’ শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার জানিয়ে তিনি বলেন, বায়ুদূষণ কমানো অর্থনৈতিক সক্ষমতা, উন্নয়নের ধরন, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। আমাদের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে বাইরের দেশ থেকে এবং ২৮ শতাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা জরুরি।

আরও পড়ুন

জ্বালানির মানোন্নয়ন ও রিফাইনারির সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে দূষণ কমানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে রিফাইনারি উন্নত হওয়ার পরও দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। তাই বাংলাদেশকেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রকল্প তখনই অর্থবহ হবে, যখন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূষণ কমানোর স্পষ্ট অগ্রগতি দেখা যাবে। শুধু পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরলেই চলবে না, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর একটি হটলাইন চালু করবে, যেখানে মানুষ শীতকালীন মাসগুলোতে বায়ুদূষণের অভিযোগ জানাতে পারবে।

jagonews24

বায়ুদূষণ কমাতে কড়া অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ উপদেষ্টা বলেন, দূষিত ইটভাটাগুলোতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কিছু স্টিল কারখানা শীতকালে ২-৩ মাস বন্ধ রাখতে হতে পারে। এছাড়া ২০ বছরের পুরোনো বাস রাস্তায় না চালানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন

রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই প্রকল্প এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে জনগণ যেন বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি দেখতে পায়। ধুলোবালির দূষণ যদি ১৩ শতাংশ কমানো যায় এবং শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাহলে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারবো।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে প্রকল্পটিতে যুক্ত হয়েছে। অন্য উন্নয়ন সহযোগীদেরও সম্পৃক্ত করা দরকার, যেন প্রকল্পটি দেশের প্রকৃত চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং জনগণের জন্য বাস্তবসম্মত সমাধান নিয়ে আসে।

আরএএস/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।