এখনো মুখোমুখি পুলিশ-শিক্ষকরা, পরিস্থিতি থমথমে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও ইবতেদায়ি শিক্ষকরা

পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপের পর এখনো মুখোমুখি অবস্থান করছে পুলিশ ও ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে দুপক্ষকে মুখোমুখি অবস্থানে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। শিক্ষকরা ‘নারায়ে তাকবির—আল্লাহু আকবার’, ‘আমার ভাই আহত কেন—প্রশাসন জবাব চাই’, ‘চাকরি আছে বেতন নাই—এমন কোনো দেশে নাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। অন্য পাশে পুলিশ লাঠিসোঁটা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এখনো মুখোমুখি পুলিশ-শিক্ষকরা, পরিস্থিতি থমথমে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মীর আসুদজ্জামান বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল যে তারা ব্যারিকেড পার হয়ে শাহবাগের দিকে যাবেন না। কিন্তু তারা তাদের কথা না রেখে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে আমরা পানি নিক্ষেপ করি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এখনো মুখোমুখি পুলিশ-শিক্ষকরা, পরিস্থিতি থমথমে

তবে লাঠিচার্জের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এমন কিছু হয়নি বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি বলে জানান তিনি।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে জড়ো হন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে যাচ্ছিলেন বলে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছাতেই পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে।

বিজ্ঞাপন

এতেও শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ না হলে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় ১০ জনেরও বেশি শিক্ষক আহত হন। তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাঠিচার্জের সময় পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতেও দেখা যায়।

এমএইচএ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।