উদ্যান-প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের দাবি গ্রিন ভয়েসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

খেলার মাঠ, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রিন ভয়েস।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত এক যুব সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ থেকে আরও বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়, দাবি গুলো হলো- শহীদ আনোয়ারা উদ্যান জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, পান্থকুঞ্জ পার্কের অরণ্য ফিরিয়ে দিতে হবে, কারওয়ান বাজার থেকে পলাশী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিল করতে হবে, সবুজে ঘেরা ওসমানী উদ্যান পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে, তাজউদ্দীন পার্কের ইজারা বাতিল করতে হবে এবং মাঠের অভ্যন্তরের নতুন-পুরাতন সব স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। 

সমাবেশে গ্রিন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উন্নয়নের নামে মাঠ-পার্ক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ধানমন্ডি মাঠে জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারছে না। তাজউদ্দীন আহমেদ পার্ক লিজ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের খেলার মাঠ উদ্যান এবং পার্কের একই অবস্থা।

তিনি বলেন, ধানমন্ডি মাঠ একসময় উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের নাম পরিবর্তন করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড করার পরপরই মাঠটি ঘিরে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সর্বসাধারণের বিচরণ ও খেলাধুলা। ধানমন্ডি মাঠসহ সারা দেশে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা খেলার মাঠগুলো আসলে সর্বসাধারণের এজমালি মালিকানাধীন সম্পত্তি। এর ওপর ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর বা কোম্পানির মালিকানা চাপিয়ে দেওয়া লুণ্ঠনেরই আরেক নাম।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটে শহীদ আনোয়ারা পার্ক ছিল এলাকার মানুষের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। একসময় হাজারো মানুষ ছোট্ট উদ্যানটিতে হাঁটাচলা করতো, শিশুরা খেলতো, মানুষ ক্লান্তি দূর করতে জিরিয়ে নিতো। কিন্তু মেট্রো রেলের অফিস এবং অবকাঠামো রাখায় বন্ধ রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি বিজড়িত পার্কটি।

বাপার এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গুলশান মডেল টাউনের নকশা অনুযায়ী, ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের পার্কটির অবস্থান গুলশান ২ নম্বরের ১৩০-এ প্লটে। আগে নাম ছিল গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন নামকরণ হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক। পার্কের ৫ দশমিক ৫৪ একর জায়গা অনেক দিন ধরে ইয়ুথ ক্লাবের দখলে।

যুব সমাবেশে এসময় গ্রিন ভয়েসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এসআইটি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।