সস্ত্রীক দুদকের জালে সাদেক খান ও ইকবালুর রহিম
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও সন্তান ফাহিম খানের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম এবং তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানার নামে মামলা করেছে দুদক।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাদেক পরিবারের ২৫০ ব্যাংক হিসাব
সাদেক খানের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তার ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে ফেরদৌসী খান ও ফাহিম খানের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা এবং ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরদৌসী খানের ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা ও ফাহিম খানের ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ৩৬ কোটি ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৮ টাকার লেনদেনের অভিযোগ এনেছে দুদক।
অন্যদিকে, ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২০ টাকা ও ১২টি ব্যাংকের ২৪টি হিসাবে ৭১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৭০৩ টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে ৭৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ২৪ আগস্ট সাদেক খানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাদেক খান।
অন্যদিকে গত বছরের নভেম্বরে ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এসএম/এমকেআর/এমএস