জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন যে ৮ পরিচালক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভ্যুলেশন’ কর্মসূচির আওতায় ৮টি বিভাগে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের কনটেন্ট বা ফিল্ম নির্মাণে ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য ৮ জন চলচ্চিত্র পরিচালককে নির্বাচন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিচালকদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সুমন রহমান নির্বাচিত পরিচালকদের নাম ঘোষণা করেন।

এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।

সুমন রহমান বলেন, সার্চ কমিটির লক্ষ্য ছিল আটজন চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা, যারা ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা করে পরিচালনা করবেন এবং কর্মশালায় প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচিত পরিচালকরা হচ্ছেন- অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মো. তাওকীর ইসলাম।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে জানিয়ে সুমন রহমান বলেন, এক. শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকার ও ঢাকার বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা এবং তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। দুই. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সরাসরি কাজে লাগানোর জন্য ওই প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করা।

‘এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যমন্ডিত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরও স্বচ্ছন্দ হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষ্য এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করি। আমরা মনে করি, এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটা বিরাট জনগোষ্ঠীকে এই শিল্পপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, এ চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি তিনি ৫০ টা কাজ করেছিল কি না, এটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে একটা কাজ করেছে কি না, যেটাকে আমি উল্লেখ করতে পারি। আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তাদের মধ্যে আগুনটা আছে কি না।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এই আটজনই জানেন তাদের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে। তারা যে কাজটি করবেন, সেই কাজের দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন। তারা এটার ওজন জানেন এবং তারা সেটা রক্ষা করবেন।

‘তারা কী নির্মাণ করবেন, সে বিষয়ে আমরা তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। এটা যেন আর একটা সরকারি কাজ হয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়। আমরা চাই এ আটটি ছবি এনগেইজিং হোক। আমরা চাই ছবিগুলো আগামী দিনের চলচ্চিত্রের পথ দেখাবে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তাদের গল্পের মধ্যে থাকবে।’ যোগ করেন ফারুকী।

এই চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা দেবে। এ ক্ষেত্রে কত খরচ হবে সেটি পরিচালক এবং সার্চ কমিটি মিলে ঠিক করবে। আগামী জুনের মধ্যে এ চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

প্রতিটি বিভাগে কর্মশালার জন্য একটি গুগল ফর্ম তৈরি করা হবে, সেটার মাধ্যমে আবেদনকারীদের আবেদন করতে বলা হবে। নির্দিষ্ট বিভাগের পরিচালকরা প্রার্থীদের নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন সুমন রহমান।

আরএমএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।