চট্টগ্রাম আদালতে ১৯১১টি মামলার নথি গায়েব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম আদালত থেকে বিচারের এক হাজার ৯১১টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। এসব নথির মধ্যে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার কেস ডকেট (সিডি) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রোববার (৫ জানুয়ারি) সিএমপির কোতোয়ালী থানায় এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এসব মামলার নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাস-কামরা। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণা থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আদালত ভবনে নিরাপত্তা জোরদার থাকার কথা। আদালতের প্রত্যেক ফ্লোরে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। আদালত থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন তারা।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

মহানগর পিপি মফিজুল হক ভুঁইয়া জানান, ১ হাজার ৯১১টি মামলার সিডি কে বা কারা নিয়ে গেছে। নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে এসব নথি বারান্দায় রাখা হয়েছিল।

কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি হারানোর ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডির তদন্ত শুরু হয়েছে।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।