সচিবালয়ে আগুন
যে কারণে কিছু আলামত পাঠানো হবে সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায়
বৈদ্যুতিক তারের লুজ কানেকশনের কারণে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হলেও অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কিছু আলামত সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণি এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো ধরনের নাশকতার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও কী কারণে আলামত বিদেশে পাঠানো হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আলামতগুলো সেনাবাহিনীর ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু কিছু উন্নতমানের পরীক্ষার সুব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই। দেশে অগ্নিকাণ্ডের বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুব্যবস্থা থাকা এখন সময়ের দাবি।
এসব কারণে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগে কিছু আলামত সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আনা হবে বলে জানান নাসিমুল গণি।
আরও পড়ুন
- সচিবালয়ের আগুনে পোড়া কুকুরের মরদেহ বলে দেয় এটি ষড়যন্ত্র: সারজিস
- বিমর্ষ আসিফ, বললেন ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে’
ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) মাকসুদ হেলালী, সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুব রাসেল, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও উপপ্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এমকেআর/এমএস