দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিতে রাশিয়ার প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন/ছবি-সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ ও ভিসা পদ্ধতি সহজ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি রাশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগদানেরও আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম এক ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যর্পণে রাশিয়া সরকারের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই রাশিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক বজায়ে রেখে আসছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিন দিন এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আগামী দিনগুলোতে রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন রাষ্ট্রপতি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য রাশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, সময়মতো এই প্রকল্প শেষ করা খরচ-নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অপরিহার্য। রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অব্যাহত সহায়তার জন্য রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার সঙ্গে সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতা আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম এবং রাশিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর একেতেরিনা সেমেনোভা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।