স্বাস্থ্য খাতে পিপিভিদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
দেশের স্বাস্থ্য খাতে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেইড পিয়ার ভলান্টিয়ার (পিপিভি) পদে ৩৬৮৬ জনের চাকরি পুনর্বহাল ও স্থায়ীকরণের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন এ পদে কর্মরতরা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানবন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন উপজেলায় 'কাজ নাই ভাতা নাই' ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২৪ মে থেকে কর্মরত আছি। যোগদানের পর থেকে আমরা নিয়মিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে আসছি। এছাড়া আমাদের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগকৃত (এফডাব্লিউএ) পরিবার কল্যাণ সহকারী পদের সব কাজগুলো পিপিভিদের দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর করানো হয়েছে।
বক্তারা বলেন, আমরা নব বিবাহিত দম্পতিদের পদ্ধতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা, গর্ভবতী মা রেফার করা, গর্ভকালীন সেবা, প্রসবোত্তর সেবা, স্যাটেলাইট ক্লিনিকে ক্লায়েন্ট রেফার ও সেবা দেওয়ার সহযোগিতা করা, ইপিআই কার্যক্রম, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেউন, হাম রুবেলা ভ্যাকসিন প্রদানে সহযোগিতা ও কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি। কিশোর-কিশোরী সেবা ও পরামর্শ দেওয়া, শিশু রোগীদের সেবা (নবজাতক) ও পরামর্শ দেওয়া, স্বাস্থ্য সেবা, গর্ভবতী মায়েদের তালিকা হালনাগাদ করাসহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
তারা বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাকালীন সময়ে অনেক সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে। এ পদে আমরা যারা বিগত ৮ বছরের অধিক সময় ধরে চাকরি করে আসছি তাদের মধ্যে অনেকেই বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা। এমনকি কর্মরতদের অধিকাংশের চাকরির বয়স অতিক্রম করেছে। কর্মরতদের একমাত্র অবলম্বন এই চাকরি।
মানবন্ধনে অংশ নেওয়ারা বলেন, গত ২৩ জুন অধিদপ্তরের চিঠির মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম ৩০ জুলাই তারিখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারি। আমরা আমাদের যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক অবস্থান তৈরি করেছিলাম তা থেকে আমার পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।
কার্যক্রম ও সফলতার সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবং আর্থিক কষ্ট লাঘব করার জন্য বিভাগীয় কাজের স্বার্থে ও আর্থিক দুরবস্থার কথা সুবিবেচনা করে এ পদের চাকরি পুনর্বহাল ও স্থায়ী করার দাবি জানান তারা।
এসময় তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এম. এ আকমল হোসেনের কাছে কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানান।
এনএস/এমএইচআর